• ঢাকা, বাংলাদেশ রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ১১:০৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম
রাজশাহী রুটে একটি পুরো ট্রেন ভাড়া করেছেন সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুন্না মহিলাদলের প্রভাব খাটিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখলের অভিযোগ খড়খড়ি বাইপাস দৈনন্দিন বাজার কমিটির তালিকা প্রকাশ মিটফোর্ডে নারকীয় হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচারে সরকার বদ্ধপরিকর: আইন উপদেষ্টা আবারও সংলাপে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন, অংশ নিচ্ছে ৩০টি রাজনৈতিক দল ৫ আগস্ট আমাদের লক্ষ্য ছিল গণভবন, এবার সংসদ: নাহিদ ইসলাম ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচনের প্রত্যাশা বিএনপির, ফখরুল আজ থেকে শুরু এইচএসসি পরীক্ষা ১৬ জুলাই আবু সাঈদ ও ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থান দিবস ঘোষণা কলম্বো টেস্টের প্রথম দিনে শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২২০ রান দেশে ফিরছেন তেহরানে থাকা ২৮ বাংলাদেশি

ব্যাংক বন্ধ হলে ক্ষতিপূরণ বাবদ ২ লাখ টাকা পাবেন গ্রাহক!

Reporter Name / ৯১ Time View
Update : সোমবার, ১২ জুন, ২০২৩

কোনো ব্যাংক অবসায়ন বা বন্ধ হয়ে গেলে বিমা থেকে আমানতকারীদের ২ লাখ টাকা দেওয়ার বিধান রেখে ‘ব্যাংক আমানত বিমা আইনের সংশোধনী বিল’ রোববার জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে। পুরোনো আইনে ছোট-বড় সব আমানতকারী বিমার আওতায় এক লাখ টাকা করে পাওয়ার বিধান আছে। সংশোধনী আইনে কোনো ব্যাংক অবসায়ন বা বন্ধ হয়ে গেলে বিমা থেকে আমানতকারীদের ২ লাখ টাকা দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সংসদে ‘ব্যাংক আমানত বিমা বিল’ তোলেন। পরে বিলটি পরীক্ষা করে এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। বিলে বাংলাদেশ ব্যাংক আমানত সুরক্ষা ট্রাস্ট তহবিল করার কথা বলা হয়েছে। এই তহবিলে বিমাকৃত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান হতে প্রাপ্ত অর্থ, তহবিলের অর্থ বিনিয়োগের আয়, অবসায়িত ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান হতে প্রাপ্ত অর্থ ও অন্য কোনো উপায়ে পাওয়া অর্থ থেকে এ তহবিলের ফান্ড গঠন হবে।

বিলে তহবিলের দায়ের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, কোনো বিমাকৃত ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অবসায়নের আদেশ দেওয়া হলে অবসায়িত ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেক আমানতকারীকে তার আমানতকৃত অর্থের সমপরিমাণ (সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা) অথবা বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত অর্থ আমানত সুরক্ষা ট্রাস্ট তহবিল থেকে প্রদান করতে হবে। বিদ্যমান আইনে এটি আছে সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা।

বিলে আরও বলা হয়েছে, কোনো বিমাকৃত ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান প্রিমিয়াম দিতে ব্যর্থ হলে বাংলাদেশ ব্যাংক তার কাছে রক্ষিত ওই ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের হিসাব থেকে সমপরিমাণ অর্থ প্রিমিয়াম বাবদ কেটে ওই ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের তহবিলে জমা রাখার নির্দেশ দিতে পারবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

৯৯ রান যোগ করেই শেষ রাজশাহী, রংপুরের বড় জয়জাতীয় ক্রিকেট লিগে তৃতীয় দিন শেষেই জয়ের সুবাস পাচ্ছিল রংপুর বিভাগ। জয়ের জন্য চতুর্থ দিন দরকার ছিল রাজশাহীর চার উইকেট। প্রথম সেশনে রাজশাহীর গোলাম কিবরিয়া কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও সেটি যথেষ্ট ছিল না। মঙ্গলবার রাজশাহীর জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২০১ রান। কিন্তু আগের দিন ৬২ রান করা রাজশাহী আজ আরও ৯৯ রান যোগ করেই থেমে গেছে। তাতে ১০১ রানের বড় জয় পেয়েছে রংপুর। দলটির জয়ের নায়ক আরিফুল হক। সেঞ্চুরির পাশাপাশি তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন তিনি। রাজশাহীর শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার জয়ের সুবাস নিয়েই খেলতে নেমেছিল রংপুর। লিগের চতুর্থ রাউন্ডে সোমবার ম্যাচের তৃতীয় দিন ২৬৩ রানের লক্ষ্য দেয় তারা। কিন্তু শেষ সেশনে ব্যাটিংয়ে নেমে রাজশাহী ৬২ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। চতুর্থ দিনে জয়ের জন্য রংপুরের প্রয়োজন ছিল আরও ৪ উইকেট। তার পর প্রতিপক্ষকে সহজেই ১৬১ রানে অলআউট করেছে। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন গোলাম কিবরিয়া। ৬৫ বলে খেলেছেন ৫৬ রানের ইনিংস। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসে সানজামুলের ব্যাট থেকে (২৩) রান। রংপুরের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন আরিফুল হক। তৃতীয় দিনে তার চমৎকার বোলিংয়ে মূলত ম্যাচে ফেরে রংপুর। ৩ ওভারে ১০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে রংপুরের জয়ের পথটা তিনিই তৈরি করেছেন। পরপর দুই বলে প্রিতম ও ওয়াসিকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগান তিনি। শেষ পর্যন্ত যদিও কীর্তিটি গড়তে পারেননি। এছাড়া রবিউল হক, আব্দুল গাফফার ও আবু হাসিম প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট নেন। শুরুতে টস হেরে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছিল রংপুর। প্রথম ইনিংসে আরিফুলের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে ভর করে ১৮৯ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় তারা। আরিফুল ছাড়া দলের সবাই ছিলেন ব্যর্থ। ১৬১ বলে ১০৩ রানে সতীর্থদের আসা যাওয়ার মিছিলের সাক্ষী হয়েছেন তিনি। রংপুরকে অল্পরানে গুটিয়ে দেওয়ার নায়ক ছিলেন সাব্বির হোসেন। তিনি একাই নেন ছয়টি উইকেট। এরপর রাজশাহী তাদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান ও রবিউল হকের বোলিংয়ে ১৮৯ রানে থামে দলটির ইনিংস। সাব্বির হোসেন ৪৭ ও ওয়াইসি সিদ্দিকি খেলেন ৩৯ রানের ইনিংস। জবাবে রংপুরের টপ অর্ডার ভালো শুরুর পরও ইনিংস বড় করতে পারেনি। অধিনায়ক আকবর আলী ৭৭ রানের ইনিংস খেলে দলকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করেছেন। তাছাড়া তানভীর হায়দার (৪০), মিম মোসাদ্দেক (৩৩), চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান (৩২) রানের ইনিংস খেলেছেন। তাদের অবদানে রংপুরের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৬২ রান।