• ঢাকা, বাংলাদেশ সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:২৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
রাজশাহী রুটে একটি পুরো ট্রেন ভাড়া করেছেন সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুন্না ঢাবি ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা নামল ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রিতে নির্বাচন নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে-ড. আসাদুজ্জামান রিপন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘিরে রাজশাহীতে জমজমাট মেস ব্যবসা, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা আরও পেছাল খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রা সোমবার থেকেই খুলছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আজ মধ্যরাতে অথবা কাল ভোরে খালেদা জিয়াকে লন্ডন নেয়া হবে আরও ৩৬ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করলো বিএনপি খালেদা জিয়াকে লন্ডন নিতে চায় বিএনপি; সরকারের অনুরোধে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাঠাবে কাতার রাজশাহীতে কাপড়ের দোকানে আগুন, ১৫-২০ লাখ টাকার ক্ষতি

মানুষের রক্তে প্লাস্টিকের সন্ধান, আতঙ্কিত বিজ্ঞানীরা

Reporter Name / ১৪৮ Time View
Update : রবিবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
মানুষের রক্তে প্লাস্টিকের সন্ধান

প্লাস্টিকের সবচেয়ে ক্ষুদ্র কণা মাইক্রো প্লাস্টিকের সন্ধান পাওয়া গেছে মানুষের রক্তে। এটি নিয়ে রীতিমতো বিজ্ঞানীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করেছে। খাবারের প্যাকেট ও কৃত্রিম রঙে যে প্লাস্টিক পাওয়া যায়, সেই প্লাস্টিকই রক্তে পাওয়া গেছে। জার্নাল ‘প্লস ওয়ান ‘-এ প্রকাশিত নতুন গবেষণার দাবি, মানুষের রক্তে ভেসে বেড়াতে পারে প্লাস্টিক এবং তা কলাকোষে জমতেও পারে। কিন্তু বিজ্ঞানীরা এখনো এটা বলতে পারেননি, মানুষের স্বাস্থ্যে এর প্রভাব ঠিক কতটুকু।

গবেষণায় বলা হয়েছে, রোগীদের বাইপাস সার্জারির সময় তাদের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। পরে সেটি নিয়েই গবেষণা চালায় হাল বিশ্ববিদ্যালয় ও হাল ইয়র্ক মেডিকেল স্কুলের এক গবেষক দল। গবেষকরা প্রতি গ্রাম শিরার ভেতরে ১৫ ধরনের মাইক্রোপ্লাস্টিক কণা ও পাঁচটি ভিন্ন ধরনের পলিমার পেয়েছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ মিলেছে অ্যালকাইড রেসিন, সাধারণত যা কৃত্রিম রঙে পাওয়া যায়।

সব মিলিয়ে এ গবেষণার ফলাফল নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন বিজ্ঞানীরা। রক্ত ও কলাকোষে প্লাস্টিক থাকলে ঠিক কী ক্ষতি হতে পারে তা এখনো জানা না গেলেও অতীতের বিভিন্ন পরীক্ষায় যে ধরনের ইঙ্গিত মিলেছে তাতে উদ্বেগ বাড়ছে। এ নিয়ে গবেষক অধ্যাপক জিনেট্টি রচেল বলেন, ‘যদিও আমি জানি না মানুষের স্বাস্থ্যে এর প্রভাব ঠিক কী। কিন্তু এটুকু বলতেই পারি, গবেষণা থেকে দেখা গেছে কোষের মধ্যে প্রদাহ ও চাপ তৈরি হতে পারে।’ এর আগে গত বছর মাতৃদুগ্ধেও মিলেছিল প্লাস্টিক।


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এই বিভাগের আরো খবর

৯৯ রান যোগ করেই শেষ রাজশাহী, রংপুরের বড় জয়জাতীয় ক্রিকেট লিগে তৃতীয় দিন শেষেই জয়ের সুবাস পাচ্ছিল রংপুর বিভাগ। জয়ের জন্য চতুর্থ দিন দরকার ছিল রাজশাহীর চার উইকেট। প্রথম সেশনে রাজশাহীর গোলাম কিবরিয়া কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও সেটি যথেষ্ট ছিল না। মঙ্গলবার রাজশাহীর জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২০১ রান। কিন্তু আগের দিন ৬২ রান করা রাজশাহী আজ আরও ৯৯ রান যোগ করেই থেমে গেছে। তাতে ১০১ রানের বড় জয় পেয়েছে রংপুর। দলটির জয়ের নায়ক আরিফুল হক। সেঞ্চুরির পাশাপাশি তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন তিনি। রাজশাহীর শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার জয়ের সুবাস নিয়েই খেলতে নেমেছিল রংপুর। লিগের চতুর্থ রাউন্ডে সোমবার ম্যাচের তৃতীয় দিন ২৬৩ রানের লক্ষ্য দেয় তারা। কিন্তু শেষ সেশনে ব্যাটিংয়ে নেমে রাজশাহী ৬২ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। চতুর্থ দিনে জয়ের জন্য রংপুরের প্রয়োজন ছিল আরও ৪ উইকেট। তার পর প্রতিপক্ষকে সহজেই ১৬১ রানে অলআউট করেছে। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন গোলাম কিবরিয়া। ৬৫ বলে খেলেছেন ৫৬ রানের ইনিংস। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসে সানজামুলের ব্যাট থেকে (২৩) রান। রংপুরের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন আরিফুল হক। তৃতীয় দিনে তার চমৎকার বোলিংয়ে মূলত ম্যাচে ফেরে রংপুর। ৩ ওভারে ১০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে রংপুরের জয়ের পথটা তিনিই তৈরি করেছেন। পরপর দুই বলে প্রিতম ও ওয়াসিকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগান তিনি। শেষ পর্যন্ত যদিও কীর্তিটি গড়তে পারেননি। এছাড়া রবিউল হক, আব্দুল গাফফার ও আবু হাসিম প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট নেন। শুরুতে টস হেরে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছিল রংপুর। প্রথম ইনিংসে আরিফুলের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে ভর করে ১৮৯ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় তারা। আরিফুল ছাড়া দলের সবাই ছিলেন ব্যর্থ। ১৬১ বলে ১০৩ রানে সতীর্থদের আসা যাওয়ার মিছিলের সাক্ষী হয়েছেন তিনি। রংপুরকে অল্পরানে গুটিয়ে দেওয়ার নায়ক ছিলেন সাব্বির হোসেন। তিনি একাই নেন ছয়টি উইকেট। এরপর রাজশাহী তাদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান ও রবিউল হকের বোলিংয়ে ১৮৯ রানে থামে দলটির ইনিংস। সাব্বির হোসেন ৪৭ ও ওয়াইসি সিদ্দিকি খেলেন ৩৯ রানের ইনিংস। জবাবে রংপুরের টপ অর্ডার ভালো শুরুর পরও ইনিংস বড় করতে পারেনি। অধিনায়ক আকবর আলী ৭৭ রানের ইনিংস খেলে দলকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করেছেন। তাছাড়া তানভীর হায়দার (৪০), মিম মোসাদ্দেক (৩৩), চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান (৩২) রানের ইনিংস খেলেছেন। তাদের অবদানে রংপুরের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৬২ রান।