• ঢাকা, বাংলাদেশ সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:২৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
রাজশাহী রুটে একটি পুরো ট্রেন ভাড়া করেছেন সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুন্না ঢাবি ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা নামল ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রিতে নির্বাচন নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে-ড. আসাদুজ্জামান রিপন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘিরে রাজশাহীতে জমজমাট মেস ব্যবসা, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা আরও পেছাল খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রা সোমবার থেকেই খুলছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আজ মধ্যরাতে অথবা কাল ভোরে খালেদা জিয়াকে লন্ডন নেয়া হবে আরও ৩৬ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করলো বিএনপি খালেদা জিয়াকে লন্ডন নিতে চায় বিএনপি; সরকারের অনুরোধে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাঠাবে কাতার রাজশাহীতে কাপড়ের দোকানে আগুন, ১৫-২০ লাখ টাকার ক্ষতি

কোভিড লক্ষণে এসেছে পরিবর্তন, যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা

Reporter Name / ১৩০ Time View
Update : শনিবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২২

করোনা মহামারি এখনো শেষ হয়নি। বিশ্বের দেশের মানুষের মধ্যে এখনো ঘটছে সংক্রমণ। যদিও কোভিড-১৯ এ আক্রান্তের সংখ্যা অতীতের তুলনায় বর্তমানে কম।

তবে কোভিড লক্ষণে এসেছে পরিবর্তন, এমনটিই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। বর্তমানে কোভিডে আক্রান্তদের মধ্যে নতুন যে লক্ষণগুলো দেখা দিচ্ছে সে সম্পর্কে জেনে নিন ও সতর্ক থাকুন।

কোন কোন উপসর্গ দেখেলে সতর্ক হতে হবে?

জ্বর, মাথাব্যথা, ঠান্ডা-সম্পর্কিত উপসর্গগুলো বর্তমানে করোনা রোগীদের মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ হল গলা ব্যথা।

কিংস কলেজ লন্ডনের জেনেটিক এপিডেমিওলজির অধ্যাপক ও কোভিড ‘জো’ স্টাডি অ্যাপের সহ-প্রতিষ্ঠাতা টিম স্পেক্টর (পিএইচডি) জানিয়েছেন, কোভিড ১৯ এ আক্রান্ত দুই-তৃতীয়াংশ মানুষের মধ্যে একটি উপসর্গ হিসেবে গলা ব্যথা হচ্ছে।

ইন্ডিপেনডেন্ট দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিবেদনে স্পেক্টর বলেছেন, ‘বর্তমানে করোনা সংক্রমণের ফলে মানুষের মধ্যে জ্বর, গন্ধ ও স্বাদ হারানো খুব কমই দেখা যাচ্ছে।’

চলতি বছরের ১ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে, ‘স্প্যাক্টর’স জো কোভিড অ্যাপ জানায়, কোভিড ১৯ এর সাধারণ লক্ষণের মধ্যে ক্ষুধা কমে যাওয়া আরও একটি নতুন উপসর্গ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।

জানা যায়, মহামারীর শুরুর দিকে কোভিযে আক্রান্ত প্রতি ১০ জন প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে ৩ জনের ক্ষুধা কমে যাওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছিল।

তবে বর্তমানে ৬৫ বছরের বেশি বয়সী প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৪ জনে বেড়েছে এই উপসর্গ। রিপোর্টে বলা হয়েছে, করোনা টিকা গ্রহণের কারণে বিভিন্ন উপসর্গে পরিবর্তন এসেছে।

অন্য কোন উপসর্গ সম্পর্কে সতর্ক হওয়া উচিত?

কোভিডের অন্যান্য লক্ষণগুলোর মধ্যে দেখা যায়- নাক দিয়ে পানি পড়া, মাথাব্যথা, হাঁচি, ক্রমাগত কাশি, শ্বাসকষ্ট ও কখনো কখনো জ্বর।

কোভিডের সময় ও পরে মানুষের মধ্যে ক্লান্তি অব্যাহত থাকে। বর্তমানে এটি লং কোভিডের অন্যতম লক্ষণ হিসেবে বিবেচিত।

এছাড়া ডায়রিয়া, বুকে ব্যথা, টিনিটাস, ঘুমের সমস্যা, স্মৃতিশক্তি হ্রাস ও কাজে ফোকাস করার সমস্যা যদি দীর্ঘকাল ধরে চলতে থাকে তবে উপেক্ষা করা উচিত নয়।

অধ্যাপক টিম স্পেক্টর আরও জানান, করোনা মহামারির শুরু থেকেই জ্বরকে সর্বদা কোভিডের প্রাথমিক মূল লক্ষণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে আজকাল জ্বর নেই বলে কোভিডও নেই ভেবে অনেকেই ভুল করছেন।

কারণ বর্তমানে জ্বর ও গন্ধের ক্ষয় সত্যিই বিরল। তাই অনেকে কোভিডে আক্রান্ত হয়েও হয়তো টের পাচ্ছেন না। সাধারণ সর্দি-কাশি-গলা ব্যথা ভেবে ভুল করছেন সবাই। তাই কোভিড উপসর্গ সম্পর্কে ভালোভাবে অবগত থাকা উচিত সবারই।


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এই বিভাগের আরো খবর

৯৯ রান যোগ করেই শেষ রাজশাহী, রংপুরের বড় জয়জাতীয় ক্রিকেট লিগে তৃতীয় দিন শেষেই জয়ের সুবাস পাচ্ছিল রংপুর বিভাগ। জয়ের জন্য চতুর্থ দিন দরকার ছিল রাজশাহীর চার উইকেট। প্রথম সেশনে রাজশাহীর গোলাম কিবরিয়া কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও সেটি যথেষ্ট ছিল না। মঙ্গলবার রাজশাহীর জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২০১ রান। কিন্তু আগের দিন ৬২ রান করা রাজশাহী আজ আরও ৯৯ রান যোগ করেই থেমে গেছে। তাতে ১০১ রানের বড় জয় পেয়েছে রংপুর। দলটির জয়ের নায়ক আরিফুল হক। সেঞ্চুরির পাশাপাশি তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন তিনি। রাজশাহীর শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার জয়ের সুবাস নিয়েই খেলতে নেমেছিল রংপুর। লিগের চতুর্থ রাউন্ডে সোমবার ম্যাচের তৃতীয় দিন ২৬৩ রানের লক্ষ্য দেয় তারা। কিন্তু শেষ সেশনে ব্যাটিংয়ে নেমে রাজশাহী ৬২ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। চতুর্থ দিনে জয়ের জন্য রংপুরের প্রয়োজন ছিল আরও ৪ উইকেট। তার পর প্রতিপক্ষকে সহজেই ১৬১ রানে অলআউট করেছে। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন গোলাম কিবরিয়া। ৬৫ বলে খেলেছেন ৫৬ রানের ইনিংস। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসে সানজামুলের ব্যাট থেকে (২৩) রান। রংপুরের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন আরিফুল হক। তৃতীয় দিনে তার চমৎকার বোলিংয়ে মূলত ম্যাচে ফেরে রংপুর। ৩ ওভারে ১০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে রংপুরের জয়ের পথটা তিনিই তৈরি করেছেন। পরপর দুই বলে প্রিতম ও ওয়াসিকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগান তিনি। শেষ পর্যন্ত যদিও কীর্তিটি গড়তে পারেননি। এছাড়া রবিউল হক, আব্দুল গাফফার ও আবু হাসিম প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট নেন। শুরুতে টস হেরে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছিল রংপুর। প্রথম ইনিংসে আরিফুলের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে ভর করে ১৮৯ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় তারা। আরিফুল ছাড়া দলের সবাই ছিলেন ব্যর্থ। ১৬১ বলে ১০৩ রানে সতীর্থদের আসা যাওয়ার মিছিলের সাক্ষী হয়েছেন তিনি। রংপুরকে অল্পরানে গুটিয়ে দেওয়ার নায়ক ছিলেন সাব্বির হোসেন। তিনি একাই নেন ছয়টি উইকেট। এরপর রাজশাহী তাদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান ও রবিউল হকের বোলিংয়ে ১৮৯ রানে থামে দলটির ইনিংস। সাব্বির হোসেন ৪৭ ও ওয়াইসি সিদ্দিকি খেলেন ৩৯ রানের ইনিংস। জবাবে রংপুরের টপ অর্ডার ভালো শুরুর পরও ইনিংস বড় করতে পারেনি। অধিনায়ক আকবর আলী ৭৭ রানের ইনিংস খেলে দলকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করেছেন। তাছাড়া তানভীর হায়দার (৪০), মিম মোসাদ্দেক (৩৩), চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান (৩২) রানের ইনিংস খেলেছেন। তাদের অবদানে রংপুরের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৬২ রান।