• ঢাকা, বাংলাদেশ সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:২৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
রাজশাহী রুটে একটি পুরো ট্রেন ভাড়া করেছেন সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুন্না ঢাবি ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা নামল ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রিতে নির্বাচন নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে-ড. আসাদুজ্জামান রিপন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘিরে রাজশাহীতে জমজমাট মেস ব্যবসা, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা আরও পেছাল খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রা সোমবার থেকেই খুলছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আজ মধ্যরাতে অথবা কাল ভোরে খালেদা জিয়াকে লন্ডন নেয়া হবে আরও ৩৬ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করলো বিএনপি খালেদা জিয়াকে লন্ডন নিতে চায় বিএনপি; সরকারের অনুরোধে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাঠাবে কাতার রাজশাহীতে কাপড়ের দোকানে আগুন, ১৫-২০ লাখ টাকার ক্ষতি

বাংলাদেশে প্রায় ৩৫ ধরনের ক্যানসার আছে, ১০ ধরনের ক্যানসারে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ

Reporter Name / ১৩০ Time View
Update : শনিবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২২

আবহাওয়া, জলবায়ু পরিবর্তন ছাড়াও অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাপনের ফলে দেশে ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলছে। আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান গ্লোবোকনের অনুমিত তথ্যমতে বাংলাদেশে প্রায় ৩৫ ধরনের ক্যানসার রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ১০ ধরনের ক্যানসারে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। রোগটি মানবদেহের সব অঙ্গেই হচ্ছে। তবে জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সবশেষ ক্যানসার নিবন্ধন তথ্য বলছে-দেশে পুরুষের ফুসফুস, নারীর স্তন ক্যানসার বেশি হচ্ছে।

নারী-পুরুষ নির্বিশেষে শীর্ষ ১০ ধরনের ক্যানসারের মধ্যে আছে যথাক্রমে ফুসফুস (১৭ দশমিক ৪ শতাংশ), স্তন (১৩ দশমিক ৪ শতাংশ), জরায়ুমুখ (১০ দশমিক ৯ শতাংশ), খাদ্যনালি (৪ দশমিক ৯ শতাংশ), পাকস্থলী (৪ দশমিক ৩ শতাংশ), লিভার (৩ দশমিক ৯ শতাংশ), লসিকা গ্রন্থি (৩ দশমিক ৮ শতাংশ), মলাশয় (৩ দশমিক ১ শতাংশ), গাল (৩ শতাংশ) ও পিত্তথলি (১ দশমিক ৫ শতাংশ) ক্যানসার। পুরুষদের মধ্যে শীর্ষ ক্যানসার ফুসফুস (২৬ দশমিক ৬ শতাংশ) এবং নারীদের মধ্যে স্তন ক্যানসার ২৯ দশমিক ৩ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. শামিউল ইসলাম বলেন, পরিবেশ ও খাদ্যাভ্যাস ক্যানসারের একটি বড় কারণ। ধূমপানসহ নানা অভ্যাসের কারণে অনেকে ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছে কিনা তা ভেবে দেখা উচিত। পাশাপাশি এটি নিয়ন্ত্রণে সক্ষমতা বাড়াতে হবে। নীতিনির্ধারকদের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে হবে। পৃথক লিঙ্গ ও বয়সকে গুরুত্ব দিতে হবে। কোন বয়সে কোন ক্যানসারে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে, সেটিও দেখতে হবে।

রাজধানীর ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সপ্তম ক্যানসার রেজিস্ট্রি রিপোর্ট প্রকাশ হয় সাত ডিসেম্বর। এ গবেষণা সম্পর্কে ইনস্টিটিউটের এপিডেমোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, ক্যানসার হাসপাতালে আসা রোগীদের ৫৫ শতাংশই নারী। বাকি ৪৫ শতাংশ পুরুষ। পুরুষদের মধ্যে ২৬ দশমিক ৬ শতাংশ ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত। আর নারীদের মধ্যে ২৯ দশমিক ৩ শতাংশ স্তন ক্যানসারের রোগী। অর্থাৎ লিঙ্গভেদে পুরুষদের ফুসফুস ও নারীদের স্তন ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি।

২০১৮-২০২০ সালের প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, তিন বছরে জাতীয় ক্যানসার হাসপাতালের বহির্বিভাগে মোট ৮৩ হাজার ৭৯৫ জন রোগী সেবা নেওয়ার জন্য এসেছেন। যাদের মধ্যে ৩৫ হাজার ৭৩৩ (৪২ দশমিক ৬ শতাংশ) জনের চূড়ান্ত কিংবা প্রাথমিকভাবে ক্যানসার হিসেবে রোগ নির্ণয় হয়েছে। তাদের রেজিস্ট্রিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নিবন্ধিত রোগীদের মধ্যে ১৯ হাজার ৫৪৬ জন (৫৫ শতাংশ) পুরুষ ও ১৬ হাজার ১৮৭ জন (৪৫ শতাংশ) নারী।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. রোবেদ আমিন বলেন, ২০১৩ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জাতীয়ভাবে একবার জনসংখ্যাভিত্তিক গবেষণা করেছিল, এরপর আর হয়নি। এটি হওয়া জরুরি। কিন্তু এর জন্য বাংলাদেশ কতটা প্রস্তুত সেটা নিয়েই প্রশ্ন।

তিনি বলেন, একটি গবেষণায় রোগীর ডায়াগনোসিস থেকে শুরু করে তার অবস্থা কোন পর্যায়ে, কোথায় গিয়ে থামতে পারে সব থাকে। যেটি অনেক বেশি কঠিন। কারণ ডায়াগনোসিস ও সুযোগ-সুবিধার যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে।

সেন্টার ফর ক্যানসার প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চের (সিসিপিআর) উপদেষ্টা ও জাতীয় ক্যানসার গবেষণা হাসপাতালের এপিওিমোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিনের সঙ্গে যুগান্তরের কথা হয়। তিনি বলেন, ক্যানসার রোগীদের প্রয়োজনীয় তথ্য সুনির্দিষ্ট নিয়মে সংগ্রহ, সংরক্ষণ, বিশ্লেষণ ও রিপোর্ট আকারে প্রকাশ করার পুরো ব্যবস্থার নাম ক্যানসার রেজিস্ট্রি বা নিবন্ধন। সাধারণত হাসপাতালভিত্তিক ও জনগোষ্ঠীভিত্তিক দুই ধরনের ক্যানসার নিবন্ধন হয়।

বিশেষজ্ঞরা আরও বলেন, দেশে ক্যানসার চিকিৎসায় বেশি ব্যয় হয়ে থাকে। কাজেই রাষ্ট্রের এই জায়গায় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে প্রযুক্তি সবচেয়ে বেশি উন্নত হয়েছে, কিন্তু দেশে প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যানসার শনাক্ত না হওয়ায় রোগটির চিকিৎসা এখনো পিছিয়ে।


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এই বিভাগের আরো খবর

৯৯ রান যোগ করেই শেষ রাজশাহী, রংপুরের বড় জয়জাতীয় ক্রিকেট লিগে তৃতীয় দিন শেষেই জয়ের সুবাস পাচ্ছিল রংপুর বিভাগ। জয়ের জন্য চতুর্থ দিন দরকার ছিল রাজশাহীর চার উইকেট। প্রথম সেশনে রাজশাহীর গোলাম কিবরিয়া কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও সেটি যথেষ্ট ছিল না। মঙ্গলবার রাজশাহীর জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২০১ রান। কিন্তু আগের দিন ৬২ রান করা রাজশাহী আজ আরও ৯৯ রান যোগ করেই থেমে গেছে। তাতে ১০১ রানের বড় জয় পেয়েছে রংপুর। দলটির জয়ের নায়ক আরিফুল হক। সেঞ্চুরির পাশাপাশি তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন তিনি। রাজশাহীর শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার জয়ের সুবাস নিয়েই খেলতে নেমেছিল রংপুর। লিগের চতুর্থ রাউন্ডে সোমবার ম্যাচের তৃতীয় দিন ২৬৩ রানের লক্ষ্য দেয় তারা। কিন্তু শেষ সেশনে ব্যাটিংয়ে নেমে রাজশাহী ৬২ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। চতুর্থ দিনে জয়ের জন্য রংপুরের প্রয়োজন ছিল আরও ৪ উইকেট। তার পর প্রতিপক্ষকে সহজেই ১৬১ রানে অলআউট করেছে। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন গোলাম কিবরিয়া। ৬৫ বলে খেলেছেন ৫৬ রানের ইনিংস। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসে সানজামুলের ব্যাট থেকে (২৩) রান। রংপুরের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন আরিফুল হক। তৃতীয় দিনে তার চমৎকার বোলিংয়ে মূলত ম্যাচে ফেরে রংপুর। ৩ ওভারে ১০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে রংপুরের জয়ের পথটা তিনিই তৈরি করেছেন। পরপর দুই বলে প্রিতম ও ওয়াসিকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগান তিনি। শেষ পর্যন্ত যদিও কীর্তিটি গড়তে পারেননি। এছাড়া রবিউল হক, আব্দুল গাফফার ও আবু হাসিম প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট নেন। শুরুতে টস হেরে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছিল রংপুর। প্রথম ইনিংসে আরিফুলের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে ভর করে ১৮৯ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় তারা। আরিফুল ছাড়া দলের সবাই ছিলেন ব্যর্থ। ১৬১ বলে ১০৩ রানে সতীর্থদের আসা যাওয়ার মিছিলের সাক্ষী হয়েছেন তিনি। রংপুরকে অল্পরানে গুটিয়ে দেওয়ার নায়ক ছিলেন সাব্বির হোসেন। তিনি একাই নেন ছয়টি উইকেট। এরপর রাজশাহী তাদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান ও রবিউল হকের বোলিংয়ে ১৮৯ রানে থামে দলটির ইনিংস। সাব্বির হোসেন ৪৭ ও ওয়াইসি সিদ্দিকি খেলেন ৩৯ রানের ইনিংস। জবাবে রংপুরের টপ অর্ডার ভালো শুরুর পরও ইনিংস বড় করতে পারেনি। অধিনায়ক আকবর আলী ৭৭ রানের ইনিংস খেলে দলকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করেছেন। তাছাড়া তানভীর হায়দার (৪০), মিম মোসাদ্দেক (৩৩), চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান (৩২) রানের ইনিংস খেলেছেন। তাদের অবদানে রংপুরের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৬২ রান।