• ঢাকা, বাংলাদেশ সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৪১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
রাজশাহী রুটে একটি পুরো ট্রেন ভাড়া করেছেন সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুন্না খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা এখনও অপরিবর্তিত-বিএনপি আজ বিশ্বে সর্বোচ্চ বায়ুদূষণ ঢাকায় ঢাবি ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা নামল ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রিতে নির্বাচন নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে-ড. আসাদুজ্জামান রিপন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘিরে রাজশাহীতে জমজমাট মেস ব্যবসা, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা আরও পেছাল খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রা সোমবার থেকেই খুলছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আজ মধ্যরাতে অথবা কাল ভোরে খালেদা জিয়াকে লন্ডন নেয়া হবে আরও ৩৬ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করলো বিএনপি

ভাঙ্গায় মহাসড়কে গাছের গুড়ি ফেলে রেখেছে, বাস চলাচল বন্ধ

Reporter Name / ২৯ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৫

প্রিয়জন ডেস্কঃ লকডাউনকে কেন্দ্র করে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ, যুব লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের সুয়াদী এবং চান্দ্রার পুলিয়া এলাকায় গাছের গুড়ি ফেলে ও টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছে। এতে ফরিদপুর আন্তঃজেলা ও ঢাকার সঙ্গে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।

হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের সুয়াদী এবং চান্দ্রার পুলিয়া এলাকায় গাছের গুড়ি ফেলে রাখায় ঢাকা–খুলনা ও ঢাকা–বরিশাল মহাসড়কের কয়েকটি অংশে যান চলাচল বন্ধ ছিল। এতে দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে ঢাকার সড়ক যোগাযোগ কিছু সময়ের জন্য বিচ্ছিন্ন ছিল। তবে সুয়াদীতে এখনও গাছের গুড়ি পরে রয়েছে। পাশাপাশি ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে মুনসুরাবাদও টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করেছে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ।

ভাঙ্গা হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রোকিবুজ্জামান বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে মোবাইল টিম পাঠিয়েছি। জেলা পুলিশের সহায়তায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। ভাঙ্গার পুলিয়া এলাকায় এক ঘণ্টার মধ্যেই অবরোধ উঠে গেছে। তবে সুয়াদীতে এখনও রয়েছে।
গোল্ডেন লাইন বাস কাউন্টারের ম্যানেজার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, সকাল ছয়টা থেকে বিকেল তিনটা পর্যন্ত আমাদের রুটে বাস চলাচল বন্ধ আছে। পরিস্থিতি বুঝে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ফলে অনেক যাত্রী যাত্রা স্থগিত রাখতে বাধ্য হন এবং অর্ধদিবসের কর্মসূচিতে বিঘ্ন দেখা দেয়।

অপরদিকে ঢাকা–বরিশাল মহাসড়কের মাধবপুর অংশে ভোরে টায়ারে আগুন দেওয়ার ঘটনায় প্রায় ১০ মিনিট যানবাহন চলাচল ব্যাহত হওয়ার কথা পুলিশ জানায়। তবে সেখানে অবরোধ তীব্র হয়ে উঠতে পারেনি এবং চলাচল দ্রুত পুনরায় স্বাভাবিক করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, সড়ক অবরোধকারীদের সংখ্যা সময়ের সাথে বাড়ছিল এবং কিছু ক্ষেত্রে দেশীয় অস্ত্র—দা ও লাঠিসহ কয়েকজন অবস্থান করছিলেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি সামাল দিতে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে এবং অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। হাইওয়ে পুলিশের মোবাইল টিম ঘটনাস্থলে রয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এই বিভাগের আরো খবর

৯৯ রান যোগ করেই শেষ রাজশাহী, রংপুরের বড় জয়জাতীয় ক্রিকেট লিগে তৃতীয় দিন শেষেই জয়ের সুবাস পাচ্ছিল রংপুর বিভাগ। জয়ের জন্য চতুর্থ দিন দরকার ছিল রাজশাহীর চার উইকেট। প্রথম সেশনে রাজশাহীর গোলাম কিবরিয়া কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও সেটি যথেষ্ট ছিল না। মঙ্গলবার রাজশাহীর জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২০১ রান। কিন্তু আগের দিন ৬২ রান করা রাজশাহী আজ আরও ৯৯ রান যোগ করেই থেমে গেছে। তাতে ১০১ রানের বড় জয় পেয়েছে রংপুর। দলটির জয়ের নায়ক আরিফুল হক। সেঞ্চুরির পাশাপাশি তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন তিনি। রাজশাহীর শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার জয়ের সুবাস নিয়েই খেলতে নেমেছিল রংপুর। লিগের চতুর্থ রাউন্ডে সোমবার ম্যাচের তৃতীয় দিন ২৬৩ রানের লক্ষ্য দেয় তারা। কিন্তু শেষ সেশনে ব্যাটিংয়ে নেমে রাজশাহী ৬২ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। চতুর্থ দিনে জয়ের জন্য রংপুরের প্রয়োজন ছিল আরও ৪ উইকেট। তার পর প্রতিপক্ষকে সহজেই ১৬১ রানে অলআউট করেছে। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন গোলাম কিবরিয়া। ৬৫ বলে খেলেছেন ৫৬ রানের ইনিংস। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসে সানজামুলের ব্যাট থেকে (২৩) রান। রংপুরের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন আরিফুল হক। তৃতীয় দিনে তার চমৎকার বোলিংয়ে মূলত ম্যাচে ফেরে রংপুর। ৩ ওভারে ১০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে রংপুরের জয়ের পথটা তিনিই তৈরি করেছেন। পরপর দুই বলে প্রিতম ও ওয়াসিকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগান তিনি। শেষ পর্যন্ত যদিও কীর্তিটি গড়তে পারেননি। এছাড়া রবিউল হক, আব্দুল গাফফার ও আবু হাসিম প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট নেন। শুরুতে টস হেরে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছিল রংপুর। প্রথম ইনিংসে আরিফুলের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে ভর করে ১৮৯ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় তারা। আরিফুল ছাড়া দলের সবাই ছিলেন ব্যর্থ। ১৬১ বলে ১০৩ রানে সতীর্থদের আসা যাওয়ার মিছিলের সাক্ষী হয়েছেন তিনি। রংপুরকে অল্পরানে গুটিয়ে দেওয়ার নায়ক ছিলেন সাব্বির হোসেন। তিনি একাই নেন ছয়টি উইকেট। এরপর রাজশাহী তাদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান ও রবিউল হকের বোলিংয়ে ১৮৯ রানে থামে দলটির ইনিংস। সাব্বির হোসেন ৪৭ ও ওয়াইসি সিদ্দিকি খেলেন ৩৯ রানের ইনিংস। জবাবে রংপুরের টপ অর্ডার ভালো শুরুর পরও ইনিংস বড় করতে পারেনি। অধিনায়ক আকবর আলী ৭৭ রানের ইনিংস খেলে দলকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করেছেন। তাছাড়া তানভীর হায়দার (৪০), মিম মোসাদ্দেক (৩৩), চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান (৩২) রানের ইনিংস খেলেছেন। তাদের অবদানে রংপুরের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৬২ রান।