• ঢাকা, বাংলাদেশ মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ০১:৪০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
রাজশাহী রুটে একটি পুরো ট্রেন ভাড়া করেছেন সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুন্না রাবির রেজিস্ট্রার ও রাকসুর জিএসের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় দুই প্রীতি ম্যাচ সামনে রেখে আজ দেশে আসছেন হামজা চৌধুরী মুন্সীগঞ্জে বিএনপির দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, গুলিতে একজন নিহত আজও দেশব্যাপী শিক্ষকদের ক্লাস বর্জন কর্মসূচি, বিপাকে শিক্ষার্থীরা শহিদ মিনারে প্রাথমিক শিক্ষকদের অবস্থান, দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি পদ্মার চরে অভিযান,অস্ত্রসহ কাঁকন বাহিনীর ২১ সদস্য আটক আগামী বছরে ঈদ ও পূজার ছুটি কয়দিন, জানালো সরকার ৩৪ টাকায় ধান, ৫০ টাকা কেজি দরে সেদ্ধ চাল কিনবে সরকার তিন দফা দাবিতে শহিদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি প্রাথমিকের শিক্ষকদের ঝালকাঠি-২ আসনে প্রার্থী নিয়ে জেলা বিএনপির ভেতরে দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে

দেশের ৬৫ শতাংশ জ্বালানিই এখন আমদানি নির্ভর, হাঁটতে হবে বিকল্প পথে

Reporter Name / ৩৭ Time View
Update : শনিবার, ১১ অক্টোবর, ২০২৫

প্রিয়জন ডেস্কঃ ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের (আইইউবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. ম. তামিম বলেছেন, বাংলাদেশের প্রাথমিক জ্বালানির ৬৫ শতাংশই এখন আমদানি করতে হচ্ছে। তেল, কয়লা ও গ্যাস–সব ক্ষেত্রেই বাড়ছে বিদেশনির্ভরতা। অথচ স্থানীয় উৎপাদন কমে যাওয়ায় জ্বালানি সরবরাহে ঘাটতি দিন দিন প্রকট হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি টিকিয়ে রাখতে বিকল্প জ্বালানি উৎসের পথে হাঁটতে হবে।

শনিবার (১১ অক্টোবর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের গ্র্যান্ড বলরুমে দৈনিক বণিক বার্তা আয়োজিত ‘বাংলাদেশে এলপিজি : অর্থনীতি, পরিবেশ ও নিরাপত্তা’ শীর্ষক পলিসি কনক্লেভে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনের সময় তিনি এসব কথা বলেন।

ড. ম. তামিম বলেন, স্বল্পমেয়াদে এই ঘাটতি মোকাবিলায় এলপিজি হতে পারে কার্যকর সমাধান, পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ বাড়ানোই হবে টেকসই পথ।

তিনি বলেন, গত ১০ বছরে দেশে প্রাকৃতিক গ্যাসের সরবরাহ প্রতিবছর গড়ে ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট করে কমেছে, বর্তমানে তা বছরে প্রায় ১৫০ মিলিয়ন ঘনফুট হারে হ্রাস পাচ্ছে। এ অবস্থায় নতুন উৎপাদন বাড়ানোর উদ্যোগ তেমন কার্যকর হয়নি। গ্যাস আমদানির অবকাঠামোও সীমিত। বর্তমানে দুটি এফএসআরইউ (ভাসমান গ্যাস টার্মিনাল) থেকে সর্বোচ্চ ১১০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস আমদানি করা সম্ভব।

তিনি বলেন, নিজস্ব উৎস থেকেও গ্যাস সরবরাহ কমছে, আমদানিও সীমিত। ফলে বড় ধরনের জ্বালানি সংকটের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। দেশের গ্যাস সরবরাহের বড় অংশই আসে বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্র থেকে, যা এখন প্রায় ‘লাইফের শেষ পর্যায়ে’।

প্রবন্ধে তিনি তুলে ধরেন, শিল্প, বাণিজ্যিক ও গৃহস্থালি খাতে গ্যাসের ওপর নির্ভরশীলতা অনেক বেশি। শুধুমাত্র শিল্প খাতেই মোট এনার্জি ব্যবহারের প্রায় ৪৫ থেকে ৫৬ শতাংশই গ্যাসনির্ভর। এ অবস্থায় এলপিজি শিল্পখাত, পরিবহন, বাণিজ্যিক ও গৃহস্থালি ব্যবহারে প্রাকৃতিক গ্যাসের বিকল্প হিসেবে কাজ করতে পারে।

তিনি আরও বলেন, এলপিজি হচ্ছে বাংলাদেশের একমাত্র জ্বালানি যা কোনো সময়ই সরকারিভাবে ভর্তুকি পায়নি। তবুও বাজার-চালিত এই খাত দ্রুত বেড়েছে। বর্তমানে দেশে প্রায় ২২টি কোম্পানি এলপিজি সরবরাহ করছে, যার মধ্যে বসুন্ধরা, প্রিমিয়ার, যমুনা, ফ্রেশসহ বেশ কয়েকটি কোম্পানি বড় বাজার অংশীদার। বর্তমানে দেশে বছরে প্রায় ১৫ থেকে ১৬ লাখ টন এলপিজি ব্যবহৃত হচ্ছে, যা সাত বছর আগের এক লাখ টনেরও কম থেকে বেড়ে এসেছে।

ড. ম. তামিম আরও বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন, ক্যাপটিভ পাওয়ার ও শিল্প খাতে গ্যাসের বর্তমান ঘাটতির প্রায় ৩০ শতাংশই এলপিজি দিয়ে পূরণ করা সম্ভব। বর্তমানে দেশে বিদ্যমান অবকাঠামো দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সমমানের এলপিজি সরবরাহ সম্ভব।

অধ্যাপক তামিম বলেন, নতুন এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণে অন্তত পাঁচ বছর সময় লাগবে। কিন্তু এলপিজি খাতে দ্রুত বিনিয়োগ ও নীতিগত সহায়তা দিলে এক বছরের মধ্যেই সরবরাহ সক্ষমতা দ্বিগুণ করা সম্ভব হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান এবং সম্মানিত অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

৯৯ রান যোগ করেই শেষ রাজশাহী, রংপুরের বড় জয়জাতীয় ক্রিকেট লিগে তৃতীয় দিন শেষেই জয়ের সুবাস পাচ্ছিল রংপুর বিভাগ। জয়ের জন্য চতুর্থ দিন দরকার ছিল রাজশাহীর চার উইকেট। প্রথম সেশনে রাজশাহীর গোলাম কিবরিয়া কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও সেটি যথেষ্ট ছিল না। মঙ্গলবার রাজশাহীর জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২০১ রান। কিন্তু আগের দিন ৬২ রান করা রাজশাহী আজ আরও ৯৯ রান যোগ করেই থেমে গেছে। তাতে ১০১ রানের বড় জয় পেয়েছে রংপুর। দলটির জয়ের নায়ক আরিফুল হক। সেঞ্চুরির পাশাপাশি তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন তিনি। রাজশাহীর শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার জয়ের সুবাস নিয়েই খেলতে নেমেছিল রংপুর। লিগের চতুর্থ রাউন্ডে সোমবার ম্যাচের তৃতীয় দিন ২৬৩ রানের লক্ষ্য দেয় তারা। কিন্তু শেষ সেশনে ব্যাটিংয়ে নেমে রাজশাহী ৬২ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। চতুর্থ দিনে জয়ের জন্য রংপুরের প্রয়োজন ছিল আরও ৪ উইকেট। তার পর প্রতিপক্ষকে সহজেই ১৬১ রানে অলআউট করেছে। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন গোলাম কিবরিয়া। ৬৫ বলে খেলেছেন ৫৬ রানের ইনিংস। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসে সানজামুলের ব্যাট থেকে (২৩) রান। রংপুরের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন আরিফুল হক। তৃতীয় দিনে তার চমৎকার বোলিংয়ে মূলত ম্যাচে ফেরে রংপুর। ৩ ওভারে ১০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে রংপুরের জয়ের পথটা তিনিই তৈরি করেছেন। পরপর দুই বলে প্রিতম ও ওয়াসিকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগান তিনি। শেষ পর্যন্ত যদিও কীর্তিটি গড়তে পারেননি। এছাড়া রবিউল হক, আব্দুল গাফফার ও আবু হাসিম প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট নেন। শুরুতে টস হেরে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছিল রংপুর। প্রথম ইনিংসে আরিফুলের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে ভর করে ১৮৯ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় তারা। আরিফুল ছাড়া দলের সবাই ছিলেন ব্যর্থ। ১৬১ বলে ১০৩ রানে সতীর্থদের আসা যাওয়ার মিছিলের সাক্ষী হয়েছেন তিনি। রংপুরকে অল্পরানে গুটিয়ে দেওয়ার নায়ক ছিলেন সাব্বির হোসেন। তিনি একাই নেন ছয়টি উইকেট। এরপর রাজশাহী তাদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান ও রবিউল হকের বোলিংয়ে ১৮৯ রানে থামে দলটির ইনিংস। সাব্বির হোসেন ৪৭ ও ওয়াইসি সিদ্দিকি খেলেন ৩৯ রানের ইনিংস। জবাবে রংপুরের টপ অর্ডার ভালো শুরুর পরও ইনিংস বড় করতে পারেনি। অধিনায়ক আকবর আলী ৭৭ রানের ইনিংস খেলে দলকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করেছেন। তাছাড়া তানভীর হায়দার (৪০), মিম মোসাদ্দেক (৩৩), চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান (৩২) রানের ইনিংস খেলেছেন। তাদের অবদানে রংপুরের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৬২ রান।