• ঢাকা, বাংলাদেশ বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ০২:৫০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
রাজশাহী রুটে একটি পুরো ট্রেন ভাড়া করেছেন সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুন্না নির্বাচনি প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছেন ৪৮ হাজার পুলিশ সদস্য আশরাফুলের কোচ হওয়া প্রসঙ্গে যা বলছেন সাবেকরা চট্টগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪ নেতাকে বিএনপির বহিষ্কার ইসলামি দলগুলোর এক বাক্সে ভোট হবে-ডা. তাহের ছাব্বিশের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন, সরকারের সংকল্প পুনর্ব্যক্ত যৌথ সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে জামায়াতসহ ৮ দল খুলনায় বিএনপির কার্যালয়ে দুর্বৃত্তের বোমা হামলায় নিহত ১, আহত ২ দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে ভারতীয় নারীদের প্রথম বিশ্বকাপ জয় জেলহত্যা দিবস আজ চার বিশ্ববিদ্যায়ে শিবিরের ভূমিধস জয় রহস্যজনক-নুরুল হক নুর

আমরা ক্রমশই কাছে এগিয়ে যাচ্ছি: ফ্লোটিলার জাহাজ থেকে শহিদুল আলম

Reporter Name / ৫২ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর, ২০২৫

প্রিয়জন ডেস্কঃ গাজাবাসীর সাহায্যে ত্রাণসামগ্রী বহনকারী নৌবহর গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার (জিএসএফ) সবশেষ পরিস্থিতি জানিয়েছেন দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও আলোকচিত্রী শহিদুল আলম। আগের রাতের ইসরাইলি আক্রমণের ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা ক্রমশই কাছে এগিয়ে যাচ্ছি। ইসরাইলের আক্রমণে কোনো কারণেই কোনোভাবেই পেছনে যাবো না।’

আজ (বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টার দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেয়া এক ভিডিও বার্তায় এ তথ্য জানান।

শহিদুল আলম বলেন, ‘আমরা গতকাল ঝড়ের ভেতর দিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু এখন ঝড় কমেছে। ঝড়ের আগেই যাওয়ার জন্য জাহাজের ক্যাপ্টেন দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। আমরা সুমুদ ফ্লোটিলার একেবারে শেষ অংশে আছি। এর আগের ফ্লোটিলাগুলো এরই মধ্যে গাজার কাছে পৌঁছে গেছে। সামনের দিকে যেগুলো ছিল, গতকাল রাতে ইসরাইলি হানাদার বাহিনী আক্রমণ করেছিলো। কিন্তু আমাদের জাহাজ এখনও সেই জায়গায় পৌঁছায়নি।’

তিনি বলেন, ‘গতকাল সমুদ্রে তুরস্কের একটি নৌজাহাজ দেখেছিলাম, সেটি দূরেই ছিল। তবে আজকে কারা জানি না। কিন্তু আমরা ক্রমশই কাছে এগিয়ে যাচ্ছি। সেখানে অবশ্যই পৌঁছাবো। ইসরাইলের আক্রমণে কোনো কারণেই কোনোভাবেই পেছনে যাবো না। এখন সমুদ্র উত্তপ্ত, ঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে। বৃষ্টি থেমে গেছে। আমরা আমাদের মতো চলবো।

এর আগে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার একটি নৌযান গাজার জলসীমায় পৌঁছেছে বলে খবর প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা। মাইকেনো নামের ওই নৌযানটি দখলদার ইসরাইলের কঠোর নজরদারি উপেক্ষা করে গাজার জলসীমায় প্রবেশ করতে সক্ষম হয়েছে। একইসঙ্গে গাজা অভিমুখে রয়েছে আরও অন্তত ২৬টি নৌযান। সবগুলো নৌযান গাজার উপকূলের দিকে যাত্রা করেছে।

এর আগে ভূমধ্যসাগরে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা অভিমুখী ত্রাণবাহী ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার’ অন্তত ১৩টি নৌযান আটক করে ইসরাইল। এসব নৌযানে থাকা সুইডিশ জলবায়ু অ্যাকটিভিস্ট গ্রেটা থুনবার্গসহ ৩৭টি দেশের দুই শতাধিক অভিযাত্রীকে আটক করে নিজেদের বন্দরে নিয়ে গেছে দখলদার বাহিনীটি।

গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা সমুদ্রপথে অবরুদ্ধ গাজাবাসীর জন্য ত্রাণ নিয়ে যাওয়ার একটি বৈশ্বিক প্রচেষ্টা। এ নৌবহরে রয়েছে ৪০টির বেশি বেসামরিক নৌযান। এই বহরে যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, আয়ারল্যান্ড, ফ্রান্স, বেলজিয়ামসহ প্রায় ৪৪টি দেশের ৫০০ অভিযাত্রীর মধ্যে রয়েছে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা, আইনজীবী, অধিকারকর্মী, চিকিৎসক ও সাংবাদিক।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

৯৯ রান যোগ করেই শেষ রাজশাহী, রংপুরের বড় জয়জাতীয় ক্রিকেট লিগে তৃতীয় দিন শেষেই জয়ের সুবাস পাচ্ছিল রংপুর বিভাগ। জয়ের জন্য চতুর্থ দিন দরকার ছিল রাজশাহীর চার উইকেট। প্রথম সেশনে রাজশাহীর গোলাম কিবরিয়া কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও সেটি যথেষ্ট ছিল না। মঙ্গলবার রাজশাহীর জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২০১ রান। কিন্তু আগের দিন ৬২ রান করা রাজশাহী আজ আরও ৯৯ রান যোগ করেই থেমে গেছে। তাতে ১০১ রানের বড় জয় পেয়েছে রংপুর। দলটির জয়ের নায়ক আরিফুল হক। সেঞ্চুরির পাশাপাশি তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন তিনি। রাজশাহীর শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার জয়ের সুবাস নিয়েই খেলতে নেমেছিল রংপুর। লিগের চতুর্থ রাউন্ডে সোমবার ম্যাচের তৃতীয় দিন ২৬৩ রানের লক্ষ্য দেয় তারা। কিন্তু শেষ সেশনে ব্যাটিংয়ে নেমে রাজশাহী ৬২ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। চতুর্থ দিনে জয়ের জন্য রংপুরের প্রয়োজন ছিল আরও ৪ উইকেট। তার পর প্রতিপক্ষকে সহজেই ১৬১ রানে অলআউট করেছে। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন গোলাম কিবরিয়া। ৬৫ বলে খেলেছেন ৫৬ রানের ইনিংস। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসে সানজামুলের ব্যাট থেকে (২৩) রান। রংপুরের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন আরিফুল হক। তৃতীয় দিনে তার চমৎকার বোলিংয়ে মূলত ম্যাচে ফেরে রংপুর। ৩ ওভারে ১০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে রংপুরের জয়ের পথটা তিনিই তৈরি করেছেন। পরপর দুই বলে প্রিতম ও ওয়াসিকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগান তিনি। শেষ পর্যন্ত যদিও কীর্তিটি গড়তে পারেননি। এছাড়া রবিউল হক, আব্দুল গাফফার ও আবু হাসিম প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট নেন। শুরুতে টস হেরে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছিল রংপুর। প্রথম ইনিংসে আরিফুলের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে ভর করে ১৮৯ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় তারা। আরিফুল ছাড়া দলের সবাই ছিলেন ব্যর্থ। ১৬১ বলে ১০৩ রানে সতীর্থদের আসা যাওয়ার মিছিলের সাক্ষী হয়েছেন তিনি। রংপুরকে অল্পরানে গুটিয়ে দেওয়ার নায়ক ছিলেন সাব্বির হোসেন। তিনি একাই নেন ছয়টি উইকেট। এরপর রাজশাহী তাদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান ও রবিউল হকের বোলিংয়ে ১৮৯ রানে থামে দলটির ইনিংস। সাব্বির হোসেন ৪৭ ও ওয়াইসি সিদ্দিকি খেলেন ৩৯ রানের ইনিংস। জবাবে রংপুরের টপ অর্ডার ভালো শুরুর পরও ইনিংস বড় করতে পারেনি। অধিনায়ক আকবর আলী ৭৭ রানের ইনিংস খেলে দলকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করেছেন। তাছাড়া তানভীর হায়দার (৪০), মিম মোসাদ্দেক (৩৩), চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান (৩২) রানের ইনিংস খেলেছেন। তাদের অবদানে রংপুরের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৬২ রান।