• ঢাকা, বাংলাদেশ সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ১২:১৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
রাজশাহী রুটে একটি পুরো ট্রেন ভাড়া করেছেন সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুন্না মহিলাদলের প্রভাব খাটিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখলের অভিযোগ খড়খড়ি বাইপাস দৈনন্দিন বাজার কমিটির তালিকা প্রকাশ মিটফোর্ডে নারকীয় হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচারে সরকার বদ্ধপরিকর: আইন উপদেষ্টা আবারও সংলাপে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন, অংশ নিচ্ছে ৩০টি রাজনৈতিক দল ৫ আগস্ট আমাদের লক্ষ্য ছিল গণভবন, এবার সংসদ: নাহিদ ইসলাম ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচনের প্রত্যাশা বিএনপির, ফখরুল আজ থেকে শুরু এইচএসসি পরীক্ষা ১৬ জুলাই আবু সাঈদ ও ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থান দিবস ঘোষণা কলম্বো টেস্টের প্রথম দিনে শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২২০ রান দেশে ফিরছেন তেহরানে থাকা ২৮ বাংলাদেশি

বন্দীদের মৌসুমি ফল-দুধ খাবার ব্যবস্থা করলো রাজশাহী কারা কর্তৃপক্ষ

Reporter Name / ৩৮ Time View
Update : বুধবার, ২৫ জুন, ২০২৫

প্রিয়জন ডেস্কঃ রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দীদের মৌসুমি ফল আম খাওয়ানো ব্যবস্থা, পাশাপাশি তাদের জন্য দুধ পানের ব্যবস্থা করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। এতে বন্দীরা বেশ খুশি।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) বিকেলে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. শাহ আলম খান এসব তথ্য জানিয়েছেন।

কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, এ কারাগারে দৈনিক গড়ে ৩ হাজার জন বন্দী আটক থাকেন। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বন্দীরা রাজশাহী ও চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলার বাসিন্দা।কারাগারে থেকেও রাজশাহীর স্থানীয় বন্দীরা যাতে মৌসুমি এ ফলের স্বাদ থেকে কোনভাবেই বঞ্চিত না হন সেজন্য স্থানীয় কারা প্রশাসন কারাগারে আম খাওয়ানোর উদ্যোগ গ্রহণ করেন। গত ২২ জুন রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার শাহ আলম খান জেলার, ডেপুটি জেলার ও অন্যান্য কারা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে কারাগারে অন্তরীণ সকল বন্দীদের মাঝে ল্যাংড়া আম বিতরণ করেন।

আরও জানানো হয়, আমের স্বাদকে দ্বিগুণ করতে বন্দীদের মাঝে দুধও সরবরাহ করা হয়। কারা প্রশাসনের এ উদ্যোগে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দীরা অনেক খুশি। এছাড়া রাজশাহীর বন্দীদেরকে তাদের বাড়ির গাছের আম (নির্দিষ্ট পরিমাণে) সরবরাহ গ্রহণের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। যা একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী ও মানবিক ব্যাপার। কারাগারে আটক থেকেও রাজশাহীর আম খেতে পারায় বন্দিরা অনেক খুশি।

এ বিষয়ে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. শাহ আলম খান বলেন, রাজশাহী আমের জন্য বিখ্যাত। এ আমের মৌসুমে তাদের মাঝে আনন্দ ও স্বাদ উপভোগ করাতে আমরা এ উদ্যোগ নিয়েছি। এতে বন্দীরা অনেক খুশি।


আপনার মতামত লিখুন :

One response to “বন্দীদের মৌসুমি ফল-দুধ খাবার ব্যবস্থা করলো রাজশাহী কারা কর্তৃপক্ষ”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

৯৯ রান যোগ করেই শেষ রাজশাহী, রংপুরের বড় জয়জাতীয় ক্রিকেট লিগে তৃতীয় দিন শেষেই জয়ের সুবাস পাচ্ছিল রংপুর বিভাগ। জয়ের জন্য চতুর্থ দিন দরকার ছিল রাজশাহীর চার উইকেট। প্রথম সেশনে রাজশাহীর গোলাম কিবরিয়া কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও সেটি যথেষ্ট ছিল না। মঙ্গলবার রাজশাহীর জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২০১ রান। কিন্তু আগের দিন ৬২ রান করা রাজশাহী আজ আরও ৯৯ রান যোগ করেই থেমে গেছে। তাতে ১০১ রানের বড় জয় পেয়েছে রংপুর। দলটির জয়ের নায়ক আরিফুল হক। সেঞ্চুরির পাশাপাশি তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন তিনি। রাজশাহীর শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার জয়ের সুবাস নিয়েই খেলতে নেমেছিল রংপুর। লিগের চতুর্থ রাউন্ডে সোমবার ম্যাচের তৃতীয় দিন ২৬৩ রানের লক্ষ্য দেয় তারা। কিন্তু শেষ সেশনে ব্যাটিংয়ে নেমে রাজশাহী ৬২ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। চতুর্থ দিনে জয়ের জন্য রংপুরের প্রয়োজন ছিল আরও ৪ উইকেট। তার পর প্রতিপক্ষকে সহজেই ১৬১ রানে অলআউট করেছে। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন গোলাম কিবরিয়া। ৬৫ বলে খেলেছেন ৫৬ রানের ইনিংস। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসে সানজামুলের ব্যাট থেকে (২৩) রান। রংপুরের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন আরিফুল হক। তৃতীয় দিনে তার চমৎকার বোলিংয়ে মূলত ম্যাচে ফেরে রংপুর। ৩ ওভারে ১০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে রংপুরের জয়ের পথটা তিনিই তৈরি করেছেন। পরপর দুই বলে প্রিতম ও ওয়াসিকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগান তিনি। শেষ পর্যন্ত যদিও কীর্তিটি গড়তে পারেননি। এছাড়া রবিউল হক, আব্দুল গাফফার ও আবু হাসিম প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট নেন। শুরুতে টস হেরে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছিল রংপুর। প্রথম ইনিংসে আরিফুলের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে ভর করে ১৮৯ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় তারা। আরিফুল ছাড়া দলের সবাই ছিলেন ব্যর্থ। ১৬১ বলে ১০৩ রানে সতীর্থদের আসা যাওয়ার মিছিলের সাক্ষী হয়েছেন তিনি। রংপুরকে অল্পরানে গুটিয়ে দেওয়ার নায়ক ছিলেন সাব্বির হোসেন। তিনি একাই নেন ছয়টি উইকেট। এরপর রাজশাহী তাদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান ও রবিউল হকের বোলিংয়ে ১৮৯ রানে থামে দলটির ইনিংস। সাব্বির হোসেন ৪৭ ও ওয়াইসি সিদ্দিকি খেলেন ৩৯ রানের ইনিংস। জবাবে রংপুরের টপ অর্ডার ভালো শুরুর পরও ইনিংস বড় করতে পারেনি। অধিনায়ক আকবর আলী ৭৭ রানের ইনিংস খেলে দলকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করেছেন। তাছাড়া তানভীর হায়দার (৪০), মিম মোসাদ্দেক (৩৩), চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান (৩২) রানের ইনিংস খেলেছেন। তাদের অবদানে রংপুরের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৬২ রান।