মূল্যস্ফীতির কবল থেকে নাগরিকদের সুরক্ষা, সামনের দিনগুলো হোক সংকট উত্তরণের

মূল্যস্ফীতির কবল থেকে নাগরিকদের সুরক্ষা, সামনের দিনগুলো হোক সংকট উত্তরণের

এ মুহূর্তে বাংলাদেশে সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলো হলো মূল্যস্ফীতির কবল থেকে নাগরিকদের (বিশেষ করে কম আয়ের পরিবারগুলোকে) সুরক্ষা দেওয়া এবং আমদানি-রপ্তানির ঘাটতি আরও নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা। করোনাজনিত অর্থনৈতিক অচলাবস্থার পরপরই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট বৈশ্বিক সংকটের কারণেই যে বাংলাদেশকে এসব চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে, এ কথা এখন সর্বজনবিদিত। আর ১৩-১৪ বছর ধরে গণমুখী সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতির সৌজন্যে তৈরি হওয়া শক্ত ভিতের কারণে যে বাংলাদেশ এ সংকট মোকাবিলায় অন্য অধিকাংশ দেশের চেয়ে ভালো করছে, সেটাও কিন্তু দৃশ্যমান। আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থার প্রতিবেদন, উন্নয়ন সহযোগীদের আশাব্যঞ্জক প্রক্ষেপণ এবং সর্বোপরি শীর্ষ রাজনৈতিক নেতৃত্বের আশ্বাস-এ সবকিছুই বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণের বিষয়ে আমাদের আশাবাদী করছে। একই সঙ্গে বিশ্ব অর্থনীতিতেও বেশকিছু ইতিবাচক ঘটনা ঘটছে। যে ঊর্ধ্বমুখী জাহাজীকরণ খরচের জন্য আমদানি করা পণ্যের দাম এতটা বেড়েছিল, তা হালে ব্যাপক হারে কমেছে। অন্যান্য পণ্যমূল্যও একই হারে কমেছে। সেজন্য সারা বিশ্বেই মূল্যস্ফীতি কমতে শুরু করেছে। বাংলাদেশেও তা কমছে। তবে কমার গতির হার বেশ শ্লথ। অবশ্য ডলার-টাকার বিনিময় হার স্থিতিশীল হচ্ছে। এটা হলেই মূল্যস্ফীতির চাপ আমাদের দেশেও কমে আসবে। তবে মুদ্রানীতির বাস্তবায়নে আরও সতর্ক হতে পারলে মূল্যস্ফীতিকে আরও বাগে আনা সহজ হবে।

এ কথা স্বীকার করতেই হবে যে, নানা চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও আমাদের সরকার ধারাবাহিকভাবে বৃহত্তর জনস্বার্থের প্রতি সংবেদনশীল থেকে নীতি প্রণয়ন করে এসেছে এবং সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য সর্বোচ্চ সদিচ্ছার প্রতিফলন ঘটিয়েছে। সেই ধারাবাহিকতাতেই করোনকালে জিডিপির ৬ শতাংশের মতো প্রণোদনা, অনানুষ্ঠানিক খাতের কাজ হারানো মানুষের জন্য সামাজিক সুরক্ষা এবং দেশের সব নাগরিকের জন্য যে কোনো মূল্যে করোনার টিকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। একইভাবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে শুরু হওয়া অর্থনৈতিক সংকটকালেও শুরু থেকে দেশের সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক একসঙ্গে কাজ করে সংকট মোকাবিলার চেষ্টা করেছে। বাজারে ডলার বিক্রি করা, আমদানি নিয়ন্ত্রণ, ডলারের বিপরীতে টাকার মূল্যমান কমিয়ে আনার মতো নানাবিধ সময়োচিত উদ্যোগ ধাপে ধাপে নেওয়া হয়েছে ২০২২ সালজুড়ে। পুরো ব্যবস্থাপনাকে যতটা সম্ভব বাজারভিত্তিক করার প্রশংসনীয় চেষ্টাও আমরা দেখছি।

সর্বশেষ ২০২২-২৩ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের জন্য যে মুদ্রানীতি ঘোষিত হয়েছে, সেখানে রেপো রেট ২৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ৬ শতাংশ করা হয়েছে। রিভার্স রেপো রেটও অনুরূপ হারে বাড়িয়ে ৪ শতাংশ করা হয়েছে। ঋণের হারের ওপর যে সিলিং দেওয়া আছে, তা আংশিকভাবে আগেই তোলা হয়েছিল। ভোক্তা ঋণের হার মৌখিকভাবে ১২ শতাংশ করা হয়েছিল; কিন্তু তার কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ছিল না। মুদ্রানীতিতে এ বিষয়টি আসায় তা আনুষ্ঠানিক রূপ নিল। তাছাড়া ক্রেডিট কার্ডে নেওয়া ঋণের সুদের হারে কোনো সিলিং আগে থেকেই নেই। বাদবাকি ঋণের সুদহারের সিলিং থেকেও বাংলাদেশ ব্যাংক পরিস্থিতির উন্নতিসাপেক্ষে সরে আসবে বলে জানিয়েছে। আমানতের ওপর সর্বোচ্চ ৬ শতাংশ লভ্যাংশের সিলিং পুরোপুরি তুলে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে নিশ্চয় অভ্যন্তরীণ তারল্য পরিস্থিতির খানিকটা উন্নতি হবে। তবে শিল্প ও অন্যান্য ঋণের সুদহারে সর্বোচ্চ সিলিং বজায় রেখে ডিপোজিট হারকে উন্মুক্ত করে দেওয়ার ফলে সুশাসনের অভাবে জর্জরিত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বেশি হারে ‘অ্যাগ্রেসিভলি’ আমানত সংগ্রহ করতে পারে। এর ফলে নতুন করে চাহিবামাত্র আমানত ফেরত না পাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। বাংলাদেশ ব্যাংক নিশ্চয় এ ঝুঁকির দিকে তীক্ষ্ম নজর রাখবে।

মুদ্রানীতিতে ‘ব্যালান্স অব পেমেন্ট’ নিয়ে বেশকিছু তথ্য দেওয়া হয়েছে। এগুলো নিয়ে সার্বক্ষণিক বিশ্লেষণ ও মনিটরিং অপরিহার্য। বিশেষ করে বলা হয়েছে, বর্তমান অর্থবছর শেষে বাণিজ্য ভারসাম্য নেগেটিভ ২০ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার হবে। চলতি হিসাব ভারসাম্য নেগেটিভ ৬ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার এবং ওভারঅল ব্যালান্স ৫ দশমিক শূন্য ৭ বিলিয়ন ডলার হবে। দিনশেষে রপ্তানি বৃদ্ধির হার হবে ১০ শতাংশ। আমদানি কমবে ৯ শতাংশ হারে। প্রবাসী আয় বাড়বে ৪ শতাংশ হারে। এসবের যোগফল হিসাবে মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়াবে ৩৬ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারে। আইএমএফের হিসাব মেনে নিলেও তা ২৮ বা ২৯ বিলিয়ন ডলারে থিতু হওয়ার কথা। আরেকটি হিসাবে বলা হয়েছে, অভ্যন্তরীণ ঋণ বাড়বে ১৭ দশমিক ৯ শতাংশ হারে। সরকারি ঋণ বাড়বে প্রায় ৩৮ শতাংশ হারে। ব্যক্তি খাতের ঋণ বাড়বে ১৪ দশমিক ১ শতাংশ। সরকারি খাতের ঋণ এ হারে বাড়লে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ মানিও যে দ্রুত বাড়বে, তা অস্বীকার করার উপায় নেই। এর প্রভাব মূল্যস্ফীতির ওপর নিশ্চয় পড়বে। সরকার খরচে লাগাম টেনে ধরেছে এরই মধ্যে; যা খরচ হবে তাও যেন দক্ষতার সঙ্গে হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তাহলেই নতুন করে টাকা প্রিন্ট করার চাপ কমে আসবে।

বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটকালে সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার জন্য নেওয়া সময়োচিত এ উদ্যোগগুলো আন্তর্জাতিক নীতিনির্ধারক এবং বিশ্লেষকরা ইতিবাচক চোখেই দেখছেন। সম্প্রতি আইএমএফ-এর বোর্ডে বাংলাদেশের জন্য ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের দীর্ঘমেয়াদি ঋণ পাশ হয়েছে। অন্য অনেক দেশের ক্ষেত্রে দেখা যায়, সামষ্টিক অর্থনীতির ব্যবস্থাপনাগত ত্রুটি-বিচ্যুতির কারণে পরিস্থিতি যখন নিয়ন্ত্রণের একেবারে বাইরে চলে যায়, তখনই সরকারগুলো আইএমএফ-এর দ্বারস্থ হয়। আমাদের নীতিনির্ধারকরা বিদ্যমান বাস্তবতার বিষয়ে সংবেদনশীলতার পরিচয় দিয়ে আগেভাগেই আইএমএফ-এর সঙ্গে ঋণ কর্মসূচির বিষয়ে আলোচনা শুরু করেছিলেন বলেই আইএমএফ যথাসময়ে এগিয়ে এসেছে। বাংলাদেশের এ সিদ্ধান্তকে খুবই সময়োচিত বলে প্রশংসা করেছেন বিশ্বখ্যাত অর্থনীতিবিদ এবং বিশ্বব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক কৌশিক বসু। সম্প্রতি তিনি বাংলাদেশ ঘুরে গেছেন। বাংলাদেশের পরম সুহৃদ এ অর্থনীতিবিদ আমাদের সংকট মোকাবিলার জন্য আগাম চিন্তার যথেষ্ট প্রশংসা করেছেন। আইএমএফ-এর তরফ থেকে এ সিদ্ধান্তে এযাবৎকালে (বিশেষত গত ১৪-১৫ বছর সময়কালে) বাংলাদেশের ম্যাক্রো-অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার বাস্তবমুখিতা এবং আমাদের আগামীর সম্ভাবনার বিষয়ে বৈশ্বিক সংস্থার নীতিনির্ধারকদের আস্থাটুকু প্রতিফলিত হয়েছে। তাদের দেখানো পথে অন্য আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগীরাও এগিয়ে আসবেন বলে ধারণা করা যায়। বিশ্বব্যাংক ইতোমধ্যে সরকারকে দেওয়া বাজেট সহযোগিতার পরিমাণ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এডিবি আগে থেকেই বাংলাদেশে বেশি করে বিনিয়োগ করে যাচ্ছিল। এখন আরও করবে। জাপানি উন্নয়ন সংস্থা জাইকাও একই পথে হাঁটছে। এরই মধ্যে পাতাল রেলের জন্য ৪ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগীদের এমন ইতিবাচক মনোভাব আমাদের সংকটকালে বিশেষ ভরসা দিচ্ছে, তা ঠিক। তবে তাদের এমন এগিয়ে আসাটি প্রত্যাশিতই ছিল। কারণ, ১৪-১৫ বছর ধরে খুবই মুনশিয়ানার সঙ্গে আমাদের সামষ্টিক অর্থনীতি পরিচালিত হয়েছে। এতে একদিকে ২০০৮-০৯ সালের বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের মুখেও আমাদের প্রবৃদ্ধি বেশ বলশালী থেকেছে; অন্যদিকে প্রবৃদ্ধি ও তার ফলে বাড়তে থাকা মাথাপিছু আয়ের সুফল সামাজিক পিরামিডের পাটাতনের মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়ে উন্নয়ন প্রক্রিয়ার একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক চরিত্রও নিশ্চিত করা হয়েছে। এর মানে এই নয় যে, আমাদের দেশে অর্থনৈতিক বৈষম্যের কুপ্রভাব নেই। অবশ্যই আছে। তা না থাকলে আমরা সাধারণ মানুষের জন্য আরও বেশি সমর্থন দিতে পারতাম। আর আন্তর্জাতিক অর্থায়নকারীদের ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রেও এ সময়টিতে অন্য অধিকাংশ ইমার্জিং ইকোনমির চেয়ে আমরা সফলতা দেখিয়েছি। সর্বোপরি আমাদের প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রধানত নিজস্ব চাহিদার ওপর ভর করে (জিডিপির ৭৩ শতাংশ ভোগ থেকে আসছে)। তাই অর্থনৈতিক অগ্রগতি হয়েছে টেকসই।

কর আহরণের ক্ষেত্রে দক্ষতা বৃদ্ধি, আর্থিক খাতের ব্যবস্থাপনা, সরকারি ব্যয়ের ক্ষেত্রে অদক্ষতা প্রভৃতি নানাবিধ চ্যালেঞ্জ থাকলেও অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে যে সিগন্যালগুলো পাওয়া যাচ্ছে তা যে আশাব্যঞ্জক, সেটা মানতেই হবে। যেমনটি আগেই বলেছি, বিশ্ব অর্থনীতিতেও বিগত কয়েক মাসে কিছু আশা করার মতো রূপান্তর লক্ষ করা যাচ্ছে। করোনাকালে জাহাজে পরিবহণ করার ব্যয় যে সর্বোচ্চ মাত্রায় বেড়েছিল, তা গড়ে ৮৫ শতাংশ কমে এসেছে। শেষ কয়েক সপ্তাহে কয়লা ও গ্যাসের দামও উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমেছে। জ্বালানি তেল ও পরিবহণ ব্যয় এভাবে কমার ফলে সারা বিশ্বের পণ্যমূল্য পরিস্থিতির বেশ খানিকটা উন্নতি হয়েছে। ফলে ভারতসহ পৃথিবীর অনেক দেশেই মূল্যস্ফীতি পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক পর্যায়ে ফিরে আসছে। যদি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের তীব্রতা আর না বাড়ে কিংবা নতুন কোনো বৈশ্বিক সংকট তৈরি না হয়, তাহলে বিশ্ব অর্থনীতি এ বছরের বাকি সময়টায় আস্তে আস্তে ঘুরে দাঁড়াবে বলেই আশাবাদ ব্যক্ত করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর এসবের ইতিবাচক প্রভাব যে আমাদের অর্থনীতিতেও পড়বে, তা তো বোঝাই যায়।

এ আশাবাদী প্রেক্ষাপটেই আমরা পেয়েছি আগামী ১৬-১৭ বছরের মধ্যে উচ্চ আয়ের দেশ হিসাবে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ে তোলার স্বপ্নিল পথনকশা। এ লক্ষ্য নিশ্চয়ই উচ্চাভিলাষী; তবে কোনো অবস্থাতেই অবাস্তব নয়। মনে করিয়ে দিতে চাই যে, প্রায় ১৫ বছর আগে যখন ‘ডিজিটাল বাংলাদেশে’র অভিযাত্রা শুরু হয়েছিল বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে, তখনো কিন্তু আমরা এ শতাব্দীর প্রথম বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছিলাম। সেই সংকট কাটিয়েই আমরা প্রবৃদ্ধিকে বেগবান ও অন্তর্ভুক্তিমূলক রেখে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের’ স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছিলাম। চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এভাবে বড় স্বপ্ন বাস্তবায়নের শুরুটা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু, স্বাধীনতার পরপরই। তাই তো চার বছরের কম সময়ে যুদ্ধের ছাইভস্ম থেকে ফিনিক্স পাখির মতো দেশকে জাগিয়ে তুলেছিলেন। মাথাপিছু আয় প্রায় তিনগুণ বাড়াতে সক্ষম হয়েছিলেন। তাই সংকট মোকাবিলা করে এগিয়ে যাওয়ার যে নেতৃত্বের পরম্পরা আমাদের রয়েছে এবং উদ্ভাবনী চেতনাসমৃদ্ধ জনগণের আত্মশক্তি-এ দুয়ের ওপর ভিত্তি করে চলমান বৈশ্বিক সংকট কাটিয়েও এগিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে আমরা সংকল্পবদ্ধ হতে পারছি। সামনের দিনগুলো হোক সংকট উত্তরণের-এ প্রত্যাশাই রাখছি। লড়াই করে টিকে থাকা এবং এগিয়ে চলার যে মনস্তাত্ত্বিক শক্তি অর্জন করেছি, তাকে সম্বল করেই আমরা সামনের দিকে হাঁটতে চাই।

ড. আতিউর রহমান : অর্থনীতিবিদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর