ফিরবে খালি বাস, তাই যাত্রীদের থেকে নিচ্ছেন দ্বিগুণ ভাড়া

ফিরবে খালি বাস, তাই যাত্রীদের থেকে নিচ্ছেন দ্বিগুণ ভাড়া

প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করতে বাড়িতে যাবেন শিক্ষার্থী আরিফ। তার গ্রামের বাড়ি নেত্রকোণা। তিনি রাজধানীর মহাখালী বাস টার্মিনালে এসেছেন বাসে চড়তে। তিনি জানান, নেত্রকোণাগামী শাহজালাল এক্সপ্রেসের টিকিট কাটতে গিয়ে দেখি প্রতি টিকিটের দাম নেওয়া হচ্ছে ৮০০ টাকা। যা অন্য সময় এর অর্ধেক নেওয়া হয়। শুধু তাই না, টিকিটও দেওয়া হচ্ছে না। মৌখিকভাবে ৮০০ টাকা ভাড়া নিয়ে গাড়িতে তুলছে। আমি শিক্ষার্থী, এত টাকা ভাড়া দিয়ে বাড়ি যাওয়া আমার জন্য কঠিন।

মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) মহাখালী বাস টার্মিনাল ঘুরে আরও বেশ কয়েকজন যাত্রীর কাছ থেকে দ্বিগুণ ভাড়া নেওয়া এবং টিকিটবিহীন যাত্রী পরিবহনের অভিযোগ মিলেছে।

অনেক যাত্রীর অভিযোগ, অনেক বাস টিকিট না দিয়েই যাত্রী পরিবহন করছে। তারা ইচ্ছে মতো ভাড়া নিয়ে নিচ্ছে।

জারিফ নামে আরেক যাত্রী বলেন, আমি প্রথমে কাউন্টারে গিয়েছিলাম। সেটা বন্ধ দেখা যায়। পরে বাসের সামনে গেলে একজন ডাক দিয়ে বললেন কই যাবেন? উত্তর জানানোর পর তিনি বললেন, এই বাসে উঠে পড়েন, ভাড়া ৮০০ টাকা। আমি বললাম, টিকিট কই? তিনি বললেন, টিকিট লাগবে না।

ময়মনসিংহে যাবেন রুস্তম গাজী। তিনি বলেন, আমরা সবসময় ৩০০ টাকার মধ্যেই ময়মনসিংহ যাই। আজ ৫০০-৬০০ টাকা পর্যন্ত চাওয়া হচ্ছে। সৌখিন পরিবহনের লোকজন বলছে, যাইলে যান, না যাইলে নাই। এখন কিছু তো করার নাই, যেতে হবেই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পরিবহনের কর্মী জানান, অন্যান্য সময়ে সরকারি যে ভাড়ার চার্ট, তার চেয়ে ভাড়া কম নেওয়া হতো। এখন নির্ধারিত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে বলে যাত্রীরা মনে করছেন ভাড়া বেশি নিচ্ছি। তাছাড়া ফেরার সময় বাসগুলো ঢাকায় খালি ফেরে, তাই একটু বেশি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে আরকি।

এ বিষয়ে বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, এই বাড়তি ভাড়া আদায়কে অবৈধ বলা যাবে না। কারণ, অন্যান্য সময় পরিবহনগুলো সরকারি ভাড়ার চেয়ে কম ভাড়া নেয়। এখন নির্ধারিত ভাড়া নিচ্ছে, যেটাকে যাত্রীরা অতিরিক্ত ভাড়া মনে করছেন। কিন্তু এটা অতিরিক্ত ভাড়া নয়, এই ভাড়াকে অবৈধও বলা যাবে না।

তিনি বলেন, আমাদের প্রতিটি টার্মিনালে বিআরটিএর ভিজিল্যান্স টিম কাজ করছে, ম্যাজিস্ট্রেটও রয়েছে। বাড়তি ভাড়া নেওয়ার যথাযথ অভিযোগ কেউ নিয়ে এলে আমরা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছি।