থানা-আদালতের মালখানায় জব্দ আলামতের সবশেষ অবস্থা জানাতে হাইকোর্টের নির্দেশ

থানা-আদালতের মালখানায় জব্দ আলামতের সবশেষ অবস্থা জানাতে হাইকোর্টের নির্দেশ

সারাদেশে থানায় ও আদালতে মালখানায় জব্দ থাকা মামলার আলামতের সবশেষ অবস্থা জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ২ মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিশ মহাপরিদর্শককে এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। অন্যথায় আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আদেশে বলা হয়েছে।

এ সংক্রান্ত রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ।

এর আগে ২০২২ সালের ২৮ আগস্ট থানা বা আদালতে জব্দকৃত মালামালের যথাযথ ব্যবস্থাপনার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিম কোর্টের ৫ আইনজীবী রিটটি দায়ের করেন। আইনজীবীরা হলেন- মোহাম্মদ নোয়াব আলী, মো. মুজাহেদুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, জি এম মুজাহিদুর রহমান এবং ইমরুল কায়েস।

রিট আবেদনে, মালখানা ব্যবস্থাপনায় সরকারের অবহেলাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আরজি জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে মালখানায় পড়ে থাকা এসব মালামালের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার নির্দেশনা চাওয়া হয়।

পরে রিটকারীদের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির সাংবাদিকদের জানান, ঢাকাসহ দেশের সব আদালত এবং থানা এলাকায় জব্দকৃত মালামাল পড়ে থাকতে দেখা যায়। জব্দকৃত মালামাল এভাবে বছর বছর পড়ে থাকায় পরে সেটা রাষ্ট্রেরও কাজে লাগে না আর মালিকেরও কাজে লাগে না।

আমরা দেখেছি, জব্দকৃত মালামালের মধ্যে বাস, ট্রাক, মোটর সাইকেলসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র আছে। জব্দকৃত মালামাল নিয়ে এমন অব্যবস্থাপনা সারা দুনিয়ার আর কোথাও আমরা দেখিনি। তাই এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সে নোটিশে জবাব না পাওয়ায় হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয় বলেও আইনজীবী জানান।

/বিআই/এমএস/