কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ধরপাকড় অভিযানে পুলিশ ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ

কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ধরপাকড় অভিযানে পুলিশ ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ

সম্প্রতি ফিলিস্তিনিপন্থি বিক্ষোভকারীদের প্রতিবাদে সরব হয়ে ওঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে পুলিশ ডাকতে বাধ্য হচ্ছে কর্র্তপক্ষ। দেশটির কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে কয়েক ডজন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করেছে নিউ ইয়র্ক সিটি পুলিশ। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে পুলিশ প্রবেশের কিছুক্ষণ পরই একটি চিঠি প্রকাশ করেন কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট মিনোচে শফিক। চিঠিতে পুলিশকে কমপক্ষে ১৭ মে পর্যন্ত ক্যাম্পাসে থাকার অনুরোধ জানান তিনি।

তিন ঘণ্টার মধ্যে ক্যাম্পাসটি থেকে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয় পুলিশ। এসময় ‘ডজন ডজন’ বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করার কথা জানান একজন মুখপাত্র।

রাত ৯টার দিকে অভিযান শুরুর চিত্রটি টেলিভিশন প্রচার করা হয়। সেখানে ক্যাম্পাসে হেলমেটধারী পুলিশদের ভিড় দেখা যায়। তারা চিৎকার ক্যাম্পাস খালি করার কথা জানান।

বিক্ষোভকারীরা। ছবি: রয়টার্স

শিগগিরই পুলিশ অফিসাররা লাইন ধরে হ্যামিল্টন হলের একটি একাডেমিক ভবনে আরোহণ করেন। মঙ্গলবার ভোরবেলা ভবনটির দরজা জানালা ভেঙ্গে বিক্ষোভকারীরা সেটি দখলে নিয়েছিল।

গাড়ি ব্যবহার করে একটি মইয়ের সাহায্যে জানালা দিয়ে ভবনটির দ্বিতীয় তলার প্রবেশ করে পুলিশ।তখন ক্যাম্পাসের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীরা পুলিশকে ব্যঙ্গ করে ‘লজ্জা, লজ্জা’ বলে চিৎকার করে।

গ্রেফতারকৃত বিক্ষোভকারীদের ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় ভবনের বাইরে বিক্ষোভকারীরা ‘মুক্ত, মুক্ত, মুক্ত প্যালেস্টাইন’ বলে স্লোগান দেয়।

কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি অ্যাপার্টহেড ডাইভেস্টের শিক্ষার্থীদের এক আলোচক স্বেদা পোলাট। তিনি বলেছেন,‘কলম্বিয়া আগামী পাঁচ বছরে এই শিক্ষার্থীদের নিয়ে গর্ব করবে।’

অফিসাররা স্বেদাসহ অন্যান্যদের ক্যাম্পাস ছেড়ে যাওয়ার জন্য চিৎকার করলে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা কোনও বিপদ ডেকে আনেনি। তখন পুলিশকে পিছু হটতে আহ্বান জানান এই শিক্ষার্থী।