• ঢাকা, বাংলাদেশ সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:১৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম
রাজশাহী রুটে একটি পুরো ট্রেন ভাড়া করেছেন সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুন্না রাইজিং স্টারস এশিয়া কাপ সুপার ওভারে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ, রেকর্ড তৃতীয়বার চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান ইনফেকশনে আক্রান্ত খালেদা জিয়ার হার্ট ও ফুসফুস-অধ্যাপক এফ এম সিদ্দিকী টেস্টে ২১৭ রানে জিতলো বাংলাদেশ শাপলা কলির ডিজাইন পাইনি, নির্বাচনী প্রচারণার কাজে নামতে পারছি না-নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ভূমিকম্প: সিলেট-চট্টগ্রাম-নরসিংদীতে ৪৮ ঘণ্টা গ্যাস কূপে ড্রিলিং স্থগিত ভূমিকম্প: ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঢাবি বন্ধ ঘোষণা, রোববার বিকেলের মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ ভূমিকম্প আতঙ্ক: রাতভর হলের বাইরে ঢাবি ও পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের অবস্থান আবারও ভূমিকম্পের আঘাত, উৎপত্তিস্থল গাজীপুরে ৬ দিনে ৪ হার ভারতের, বাংলাদেশের কাছেই দু’বার ভূমিকম্পে রাজধানীতে ১৪টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত

রাইজিং স্টারস এশিয়া কাপ সুপার ওভারে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ, রেকর্ড তৃতীয়বার চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান

Reporter Name / ১৪ Time View
Update : সোমবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৫

প্রিয়জন ডেস্কঃ ভারত ‘এ’ দলের বিপক্ষে নাটকীয় সুপার ওভারে জিতে ফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশ ‘এ’ দল। রাইজিং স্টারস এশিয়া কাপের শিরোপা নির্ধারণী মহারণেও টাই করেছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান ‘এ’ দল। ফলে ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। যেখানে বাংলাদেশের দেওয়া ৭ রানের লক্ষ্য ২ বল হাতে রেখে জিতে সর্বোচ্চ তৃতীয়বার শিরোপা জিতল পাকিস্তান।

রোববার কাতারের দোহায় অনুষ্ঠিত ফাইনালে বোলাররা জয়ের ভিত গড়ে দিলেও মূলত ব্যাটারদের ব্যর্থতায় শিরোপার স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে বাংলাদেশের। নির্ধারিত ২০ ওভারের খেলায় আগে ব্যাট করতে নেমে ইরফান খানের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানকে মাত্র ১২৫ রানে আটকে দেন রিপন মন্ডল, রাকিবুল হাসানরা। ব্যাটিং বিপর্যয়ের পর রিপন-সাকলাইনদের কল্যাণে বাংলাদেশও সমান ১২৫ রান করে।

বাংলাদেশ-ভারত সেমিফাইনালের মতো ফাইনালও গড়ায় সুপার ওভারে। যেখানে প্রথম বলে হাবিবুর রহমান সোহান এক রান নেওয়ার পর স্ট্রাইকে যান আব্দুল গাফফার সাকলাইন। দ্বিতীয় বলেই তিনি আউট হয়ে যান। এরপর পাক পেসার আহমেদ দানিয়াল ওয়াইড এবং বাই চার দিয়ে বসেন। জিসান প্রথম বলেই বোল্ড হয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ আর কোনো রান যোগ করতে পারেনি। ফলে তাদের পুঁজি দাঁড়ায় স্রেফ ৬ রান।

সুপার ওভারের প্রথম দুটি বলই ইয়র্কার করেছিলেন রিপন। তবে দু’বারই সিঙ্গেল রান পেয়ে যায় পাকিস্তান। একইভাবে তৃতীয় বলটি ছাড়তে গিয়ে ফুল টস দিয়ে বসেন ডানহাতি এই পেসার। যা কাজে লাগিয়ে স্কয়ার লেগে সাদ মাসুদ চার আদায় করে নেন। পরের বলে সিঙ্গেল রান নিয়েই মাতেন বিজয়োল্লাসে। আকবর আলির দলকে রানে হারিয়ে রাইজিং স্টারস এশিয়া কাপের প্রথম আসরে চ্যাম্পিয়ন হলো পাকিস্তান ‘এ’ দল। ইমার্জিং দলের হিসাবে এটি তাদের সর্বোচ্চ তৃতীয় এশিয়া কাপের শিরোপা।

এর আগে প্রথম ছয় আসরে টুর্নামেন্টটির নাম ছিল ইমার্জিং এশিয়া কাপ। যার প্রথম চার আসরে প্রতিযোগী দেশগুলোর অনূর্ধ্ব-২৩ দল অংশ নেয়। ২০২৩ আসর থেকে এ নিয়ে তৃতীয়বার খেলেছে আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশের ‘এ’ দল এবং সহযোগী দেশের জাতীয় দল। এবার নাম বদলে টুর্নামেন্টটিকে বলা হচ্ছে ‘এশিয়া কাপ রাইজিং স্টারস চ্যাম্পিয়নশিপ’।

১২৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় যথারীতি আগ্রাসী শুরু করেছিলেন ওপেনার হাবিবুর রহমান সোহান। তাতে প্রথম ধাক্কাটা লাগে আরেক ওপেনার জিসান আলম ব্যক্তিগত ৬ রানে এলবিডব্লিউ হলে। তবুও স্বভাবসুলভ ব্যাটিং বদলাননি সোহান। তবে টানা বিলাসী শট খেলতে যাওয়ার চেষ্টায় মাশুল গুনতে হলো ডানহাতি এই ব্যাটারকে। পুল করতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন স্কয়ার লেগে। ১৭ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ২৬ রানে থামলেন সোহান।

১২ রানের ব্যবধানে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, আকবর ও ইয়াসির আলি রাব্বি আউট হলে বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় ৪৮/৫। ৫৩ রানের মাথায় পরপর ফেরেন মাহফুজ রাব্বি ও মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। কিছুক্ষণ লড়াইয়ের চেষ্টা চালিয়ে ব্যক্তিগত ১৯ রানে এসএম মেহরব আউট হলে ৯০ রানে বাংলাদেশ ৮ উইকেট হারায়। তখনই তাদের হার প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায়। তবে রাকিবুল-সাকলাইন-রিপনরা সেই ম্যাচটিকে শেষ পর্যন্ত সুপার ওভারে নিয়ে আশা বাঁচিয়ে রাখেন।

রাকিবুল ২৪ রানে ফিরলেও সাকলাইন ১৬ ও রিপন ১১ রানে অপরাজিত ছিলেন। পাকিস্তানের পক্ষে সুফিয়ান মুকিম ১১ রানে ৩ উইকেটের দুর্দান্ত স্পেল করেছেন। ২টি করে উইকেট নেন দানিয়াল ও আরাফাত মিনহাস। এর আগে পাকিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন সাদ মাসুদ। বাংলাদেশের হয়ে প্রথম আশা জাগিয়ে রিপন মন্ডল ৩ ও রাকিবুল নেন ২ উইকেট।


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এই বিভাগের আরো খবর

৯৯ রান যোগ করেই শেষ রাজশাহী, রংপুরের বড় জয়জাতীয় ক্রিকেট লিগে তৃতীয় দিন শেষেই জয়ের সুবাস পাচ্ছিল রংপুর বিভাগ। জয়ের জন্য চতুর্থ দিন দরকার ছিল রাজশাহীর চার উইকেট। প্রথম সেশনে রাজশাহীর গোলাম কিবরিয়া কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও সেটি যথেষ্ট ছিল না। মঙ্গলবার রাজশাহীর জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২০১ রান। কিন্তু আগের দিন ৬২ রান করা রাজশাহী আজ আরও ৯৯ রান যোগ করেই থেমে গেছে। তাতে ১০১ রানের বড় জয় পেয়েছে রংপুর। দলটির জয়ের নায়ক আরিফুল হক। সেঞ্চুরির পাশাপাশি তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন তিনি। রাজশাহীর শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার জয়ের সুবাস নিয়েই খেলতে নেমেছিল রংপুর। লিগের চতুর্থ রাউন্ডে সোমবার ম্যাচের তৃতীয় দিন ২৬৩ রানের লক্ষ্য দেয় তারা। কিন্তু শেষ সেশনে ব্যাটিংয়ে নেমে রাজশাহী ৬২ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। চতুর্থ দিনে জয়ের জন্য রংপুরের প্রয়োজন ছিল আরও ৪ উইকেট। তার পর প্রতিপক্ষকে সহজেই ১৬১ রানে অলআউট করেছে। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন গোলাম কিবরিয়া। ৬৫ বলে খেলেছেন ৫৬ রানের ইনিংস। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসে সানজামুলের ব্যাট থেকে (২৩) রান। রংপুরের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন আরিফুল হক। তৃতীয় দিনে তার চমৎকার বোলিংয়ে মূলত ম্যাচে ফেরে রংপুর। ৩ ওভারে ১০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে রংপুরের জয়ের পথটা তিনিই তৈরি করেছেন। পরপর দুই বলে প্রিতম ও ওয়াসিকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগান তিনি। শেষ পর্যন্ত যদিও কীর্তিটি গড়তে পারেননি। এছাড়া রবিউল হক, আব্দুল গাফফার ও আবু হাসিম প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট নেন। শুরুতে টস হেরে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছিল রংপুর। প্রথম ইনিংসে আরিফুলের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে ভর করে ১৮৯ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় তারা। আরিফুল ছাড়া দলের সবাই ছিলেন ব্যর্থ। ১৬১ বলে ১০৩ রানে সতীর্থদের আসা যাওয়ার মিছিলের সাক্ষী হয়েছেন তিনি। রংপুরকে অল্পরানে গুটিয়ে দেওয়ার নায়ক ছিলেন সাব্বির হোসেন। তিনি একাই নেন ছয়টি উইকেট। এরপর রাজশাহী তাদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান ও রবিউল হকের বোলিংয়ে ১৮৯ রানে থামে দলটির ইনিংস। সাব্বির হোসেন ৪৭ ও ওয়াইসি সিদ্দিকি খেলেন ৩৯ রানের ইনিংস। জবাবে রংপুরের টপ অর্ডার ভালো শুরুর পরও ইনিংস বড় করতে পারেনি। অধিনায়ক আকবর আলী ৭৭ রানের ইনিংস খেলে দলকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করেছেন। তাছাড়া তানভীর হায়দার (৪০), মিম মোসাদ্দেক (৩৩), চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান (৩২) রানের ইনিংস খেলেছেন। তাদের অবদানে রংপুরের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৬২ রান।