• ঢাকা, বাংলাদেশ সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:১৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম
রাজশাহী রুটে একটি পুরো ট্রেন ভাড়া করেছেন সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুন্না রাইজিং স্টারস এশিয়া কাপ সুপার ওভারে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ, রেকর্ড তৃতীয়বার চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান ইনফেকশনে আক্রান্ত খালেদা জিয়ার হার্ট ও ফুসফুস-অধ্যাপক এফ এম সিদ্দিকী টেস্টে ২১৭ রানে জিতলো বাংলাদেশ শাপলা কলির ডিজাইন পাইনি, নির্বাচনী প্রচারণার কাজে নামতে পারছি না-নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ভূমিকম্প: সিলেট-চট্টগ্রাম-নরসিংদীতে ৪৮ ঘণ্টা গ্যাস কূপে ড্রিলিং স্থগিত ভূমিকম্প: ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঢাবি বন্ধ ঘোষণা, রোববার বিকেলের মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ ভূমিকম্প আতঙ্ক: রাতভর হলের বাইরে ঢাবি ও পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের অবস্থান আবারও ভূমিকম্পের আঘাত, উৎপত্তিস্থল গাজীপুরে ৬ দিনে ৪ হার ভারতের, বাংলাদেশের কাছেই দু’বার ভূমিকম্পে রাজধানীতে ১৪টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত

৬ দিনে ৪ হার ভারতের, বাংলাদেশের কাছেই দু’বার

Reporter Name / ১৬ Time View
Update : শনিবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৫

প্রিয়জন ডেস্কঃ ক্রীড়াঙ্গনে সময়টা ভালো যাচ্ছে না ভারতের। জাতীয় দল কিংবা বয়সভিত্তিক, ক্রিকেট কিংবা ফুটবল সবখানেই যেন ‘কুফা’ লেগেছে ম্যান ইন ব্লুদের। গত ৬ দিনে ৪টি ম্যাচে হেরেছে ভারত। যার মধ্যে বাংলাদেশের কাছেই হেরেছে দুই দুইবার।

ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ খেলছে ভারত। সিরিজের প্রথম টেস্টে কলকাতায় সাড়ে তিন দিনেই হেরেছে শুভমান গিলের দল। নিজেদের পছন্দ মতো উইকেট বানিয়েও হার এড়ানো যায়নি। সেই সঙ্গে ৫৩ বছর পর নিজেদেরই লজ্জার নজির স্পর্শ করে ভারত।

সাদা বলের ক্রিকেটে ভালো সময় পার করলেও লাল বলে যেন দিশাহীন। গত ১৩ মাসে নিজেদের মাটিতে মাত্র দু’টি টেস্ট জিতেছে ভারত। হেরেছে চারটিতে। গত ৫৩ বছরে কখনো এমনটা দেখা যায়নি। শেষ বার ১৯৬৯-১৯৭২ সালের মধ্যে এই নজির দেখা গিয়েছিল। ভারত ৬ টির মধ্যে ৪ টি টেস্ট হেরেছিল অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডের কাছে। তারপর থেকে দেশের মাটিতে ভারতকে বরাবরই অপ্রতিরোধ্য হিসাবে ধরা হতো। তা ভেঙে গিয়েছে গত বছর নিউজিল্যান্ডের কাছে হোয়াইটওয়াশের পর থেকে।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হারের দিনেই কাতারে চলমান রাইজিং স্টারস টুর্নামেন্টে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের কাছে হেরে যায় ভারত ‘এ’ দল। দাপট দেখিয়ে জিতেশ শর্মাদের কাছ থেকে ৮ উইকেটে জয় তুলে নেয় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বিরা। অথচ সর্বশেষ এশিয়া কাপের এক আসরেই তিনবার পাকিস্তানকে হারিয়েছিল ভারত।

ফুটবলেও খারাপ সময় পার করছে ভারত। ২২ বছর পর বাংলাদেশের কাছে হেরে গিয়েছে ম্যান ইন ব্লুরা। ২০০৩ সালে ঢাকার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে মতিউর রহমান মুন্নার গোলে ভারতকে ২-১ হারিয়েছিল বাংলাদেশ। তারপর থেকে আর কখনোই জিততে পারেনি তারা। এবার মোরসালিনের গোলে ২২ বছর পর সেই ডেডলক ভেঙেছে লাল-সবুজের দল। কয়েক দিনের ব্যবধানে ক্রিকেট-ফুটবল দুই খেলাতেই লজ্জার নজির গড়ে ভারত।

সর্বশেষ গতকাল (শুক্রবার) রাইজিং স্টারস এশিয়া কাপের শেষ চারের বহুল নাটকীয়তার ম্যাচে বাংলাদেশের কাছে হেরে গেছে। প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশ ১৯৪ রান তোলে। তাদের সমান ১৯৪ রান করে ভারত ম্যাচ টাই করে ফেলে। ফলে খেলা গড়ায় সুপার ওভারে। যেখানে রিপন মন্ডলের দুর্দান্ত বোলিংয়ে পরপর দুই বলেই ভারত দুই উইকেট হারায়। ফলে আকবর আলিদের লক্ষ্য দাঁড়ায় স্রেফ ১ রান। সেই সহজ লক্ষ্য কঠিন করে তোলার পর ওয়াইডের কল্যাণে জিতে ফাইনালে উঠে বাংলাদেশ।

চারদিকে এত হারের ভিড়ে ভারতের স্বস্তি কেবল নারী কাবাডি বিশ্বকাপে। বাংলাদেশে চলমান টুর্নামেন্টটিতে ভালো অবস্থানে রয়েছে তারা।


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এই বিভাগের আরো খবর

৯৯ রান যোগ করেই শেষ রাজশাহী, রংপুরের বড় জয়জাতীয় ক্রিকেট লিগে তৃতীয় দিন শেষেই জয়ের সুবাস পাচ্ছিল রংপুর বিভাগ। জয়ের জন্য চতুর্থ দিন দরকার ছিল রাজশাহীর চার উইকেট। প্রথম সেশনে রাজশাহীর গোলাম কিবরিয়া কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও সেটি যথেষ্ট ছিল না। মঙ্গলবার রাজশাহীর জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২০১ রান। কিন্তু আগের দিন ৬২ রান করা রাজশাহী আজ আরও ৯৯ রান যোগ করেই থেমে গেছে। তাতে ১০১ রানের বড় জয় পেয়েছে রংপুর। দলটির জয়ের নায়ক আরিফুল হক। সেঞ্চুরির পাশাপাশি তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন তিনি। রাজশাহীর শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার জয়ের সুবাস নিয়েই খেলতে নেমেছিল রংপুর। লিগের চতুর্থ রাউন্ডে সোমবার ম্যাচের তৃতীয় দিন ২৬৩ রানের লক্ষ্য দেয় তারা। কিন্তু শেষ সেশনে ব্যাটিংয়ে নেমে রাজশাহী ৬২ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। চতুর্থ দিনে জয়ের জন্য রংপুরের প্রয়োজন ছিল আরও ৪ উইকেট। তার পর প্রতিপক্ষকে সহজেই ১৬১ রানে অলআউট করেছে। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন গোলাম কিবরিয়া। ৬৫ বলে খেলেছেন ৫৬ রানের ইনিংস। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসে সানজামুলের ব্যাট থেকে (২৩) রান। রংপুরের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন আরিফুল হক। তৃতীয় দিনে তার চমৎকার বোলিংয়ে মূলত ম্যাচে ফেরে রংপুর। ৩ ওভারে ১০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে রংপুরের জয়ের পথটা তিনিই তৈরি করেছেন। পরপর দুই বলে প্রিতম ও ওয়াসিকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগান তিনি। শেষ পর্যন্ত যদিও কীর্তিটি গড়তে পারেননি। এছাড়া রবিউল হক, আব্দুল গাফফার ও আবু হাসিম প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট নেন। শুরুতে টস হেরে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছিল রংপুর। প্রথম ইনিংসে আরিফুলের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে ভর করে ১৮৯ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় তারা। আরিফুল ছাড়া দলের সবাই ছিলেন ব্যর্থ। ১৬১ বলে ১০৩ রানে সতীর্থদের আসা যাওয়ার মিছিলের সাক্ষী হয়েছেন তিনি। রংপুরকে অল্পরানে গুটিয়ে দেওয়ার নায়ক ছিলেন সাব্বির হোসেন। তিনি একাই নেন ছয়টি উইকেট। এরপর রাজশাহী তাদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান ও রবিউল হকের বোলিংয়ে ১৮৯ রানে থামে দলটির ইনিংস। সাব্বির হোসেন ৪৭ ও ওয়াইসি সিদ্দিকি খেলেন ৩৯ রানের ইনিংস। জবাবে রংপুরের টপ অর্ডার ভালো শুরুর পরও ইনিংস বড় করতে পারেনি। অধিনায়ক আকবর আলী ৭৭ রানের ইনিংস খেলে দলকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করেছেন। তাছাড়া তানভীর হায়দার (৪০), মিম মোসাদ্দেক (৩৩), চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান (৩২) রানের ইনিংস খেলেছেন। তাদের অবদানে রংপুরের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৬২ রান।