মার্কিন প্রেসিডেন্টের ব্যক্তিগত উড়োজাহাজ এয়ার ফোর্স ওয়ানে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘যুদ্ধ শেষ, আপনারা তা বুঝতে পারছেন।’ ওই অঞ্চলের (মধ্যপ্রাচ্য) সম্ভাবনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসার উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমরা ধারণা এটি স্বাভাবিক হতে যাচ্ছে।’
গাজায় রোববার তৃতীয় দিনের মতো ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি পালিত হয়েছে। সোমবার ট্রাম্পের ইসরাইলি পার্লামেন্টে ভাষণ দেয়ার কথা রয়েছে এবং এদিন ইসরাইল জিম্মি ও ফিলিস্তিনি বন্দি বিনিময় হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
যুদ্ধবিরতি যুদ্ধের অবসান ঘটাবে, এমন আশা নিয়ে গাজার হাজার হাজার ফিলিস্তিনি উত্তরে গাজা সিটির দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। গত দুই মাস ধরে এই শহরটি ইসরাইলি হামলার মূল লক্ষ্যস্থল ছিল।
এক টেলিভিশন বিবৃতিতে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু রোববার বলেছেন, ‘আগামীকাল একটি নতুন পথের সূচনা হচ্ছে। এ পথ নির্মাণের, এ পথ ক্ষত সারিয়ে তোলার আর আমার আশা- এ পথ হৃদয় একত্রিত করবে।’
ওই অঞ্চলে এই ধরনের আশাবাদ ব্যাপকভাবে ধ্বনিত হচ্ছে। গাজার বাসিন্দা আব্দু আবু সিয়াদা বলেন, ‘মানুষের মধ্যে অনেক আনন্দ।’
তিনি জানান, দুই বছরের যুদ্ধে গাজার অধিকাংশই ধ্বংস হয়ে গেছে আর মানুষজন অবসন্ন হয়ে পড়েছে, ফলে আনন্দের প্রকাশ তেমন দেখা যাচ্ছে না।
ইসরাইল সরকারের মুখপাত্র শোশ বেদ্রোসিয়ান জানিয়েছেন, তার দেশ আশা করছে সোমবার ভোর থেকেই জিম্মিদের মুক্তি দেয়া শুরু হবে এবং জীবিত ২০ জিম্মিকে একসঙ্গে ছাড়া হবে।তিনি জানান, জীবিত জিম্মিদের যদি আগে মুক্তি দেয়া হয়, তাহলে ইসরাইল তাদের গ্রহণ করার জন্য প্রস্তুত আছে। তাদের মুক্তির পর ২৮ মৃত জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী, হামাস সোমবার দুপুরের মধ্যে তাদের হাতে বন্দি থাকা অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্তি দেবে।
ইসরাইল কারা পরিষেবা জানিয়েছে, তারা কিছু ফিলিস্তিনি বন্দিকে কারাগার থেকে অন্য স্থাপনায় সরিয়ে নিয়েছে, সেখান থেকে তাদের মুক্তি দেয়ার কথা রয়েছে।
ইসরাইলের আইন মন্ত্রণালয় ২৫০ জন ফিলিস্তিনি বন্দির নাম প্রকাশ করেছে, যারা হত্যাসহ অন্যান্য গুরুতর অপরাধের দায়ে দণ্ডভোগ করছিলেন। চুক্তি অনুযায়ী এদের মুক্তি দেয়া হচ্ছে।
এ দিন ট্রাম্প ইসরাইলে নেমে দেশটির পার্লামেন্ট নেসেটে ভাষণ দেবেন। এরপর মিশরের শারম আল- শেখে গাজা যুদ্ধ শেষ করা নিয়ে আয়োজিত শীর্ষ সম্মেলনে অন্য বিশ্বনেতাদের সঙ্গে যোগ দেবেন।
এই সম্মেলনে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস যোগ দেবেন বলে এক ঊর্ধ্বতন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানিয়েছে অ্যাক্সিওস।






















