• ঢাকা, বাংলাদেশ মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ০২:৪৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
রাজশাহী রুটে একটি পুরো ট্রেন ভাড়া করেছেন সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুন্না রাবির রেজিস্ট্রার ও রাকসুর জিএসের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় দুই প্রীতি ম্যাচ সামনে রেখে আজ দেশে আসছেন হামজা চৌধুরী মুন্সীগঞ্জে বিএনপির দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, গুলিতে একজন নিহত আজও দেশব্যাপী শিক্ষকদের ক্লাস বর্জন কর্মসূচি, বিপাকে শিক্ষার্থীরা শহিদ মিনারে প্রাথমিক শিক্ষকদের অবস্থান, দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি পদ্মার চরে অভিযান,অস্ত্রসহ কাঁকন বাহিনীর ২১ সদস্য আটক আগামী বছরে ঈদ ও পূজার ছুটি কয়দিন, জানালো সরকার ৩৪ টাকায় ধান, ৫০ টাকা কেজি দরে সেদ্ধ চাল কিনবে সরকার তিন দফা দাবিতে শহিদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি প্রাথমিকের শিক্ষকদের ঝালকাঠি-২ আসনে প্রার্থী নিয়ে জেলা বিএনপির ভেতরে দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে

স্বাধীন ফিলিস্তিন গঠনের আগমুহূর্ত পর্যন্ত সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে বিশ্ববাসীকে-শহিদুল আলম

Reporter Name / ৩৯ Time View
Update : শনিবার, ১১ অক্টোবর, ২০২৫

প্রিয়জন ডেস্কঃ গাজামুখী নৌবহরে অংশ নিয়ে ইসরাইলি বাহিনীর হাতে আটক। এরপর ঠাঁই হয় সে দেশের কারাগারে। তবে সেখান থেকে মুক্ত হয়ে তুরস্ক হয়ে অবশেষে দেশে পৌঁছেছেন আলোকচিত্রী, লেখক ও মানবাধিকারকর্মী শহিদুল আলম। জানান, স্বাধীন ফিলিস্তিন গঠনের আগমুহূর্ত পর্যন্ত সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে বিশ্ববাসীকে।

ইসরাইলি কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে গতকাল (শুক্রবার, ১০ অক্টোবর) স্থানীয় সময় বিকেলে তুরস্কের ইস্তানবুলে পৌঁছান বাংলাদেশী আলোকচিত্রী ও মানবাধিকারকর্মী শহীদুল আলম। সেখান থেকে তুর্কি সরকারের সহায়তায় আজ (শনিবার, ১১ অক্টোবর) ভোরে ফিরলেন নিজ বাসভূমে।

বিমানবন্দরে অবতরণের পর বন্ধু-স্বজন-সহকর্মীদের আলিঙ্গনে আবদ্ধ হন তিনি।

গাজা উপকূলে পৌঁছানোর আগমুহুর্তে ইসরাইলী সেনাদের হাতে আটক হয়েছিলেন শহিদুল আলম। সেখানে, ইসরাইলি সেনাদের মানসিক ও শারীরিক অত্যাচারের স্বীকার হন তিনি। তবে, গাজাবাসীর কষ্টের তুলনায় সেসব নগণ্য হিসেবেই দেখতে চান এ মানবাধিকারকর্মী।

শহিদুল আলম বলেন, ‘আমি যেতে পেরেছি, অনেকে যেতে পারেনি। অনেকে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল, তারা যেতে চেয়েছে। আমি মনে করি আরও হাজার এমন ফ্লোটিলা যাওয়া দরকার। যতক্ষণ না ফিলিস্তিন মুক্ত না হবে, আমাদের এ সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।’

যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যাকায় মানবিক সহায়তা সামগ্রী প্রবেশে ইসরাইলি অবরোধ ভাঙ্গার প্রত্যয় নিয়ে ফ্রিডম ফ্লোটিলা বহরের কনসায়েন্স নামের জাহাজে করে যাত্রা করছিলেন ৯৩ অধিকারকর্মী। তাদের একজন হতে পেরে শহিদুল আলমের গর্ব যেমন আছে, তেমনি শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রতি আছে দরদও।

শহিদুল আলম বলেন, ‘বাংলাদেশি যারা সারা পৃথিবী থেকে সাড়া দিয়েছে। দোয়া করেছে ভালোবাসা পাঠিয়েছে তাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। তুরস্কের এয়ারলাইন্স আমাদের আসার ব্যবস্থা করে দিয়েছে, তাদের কাছে ধন্যবাদ জানাই। আমাদের দেশের সরকার যেভাবে সাড়া দিয়েছেন, ইস্তাম্বুলে আমাকে গ্রহণ করেছেন, আমার সঙ্গে যোগাযোগ করার কিছু ছিল না, সেগুলোর ব্যবস্থা করে দিয়েছেন, সেগুলোর জন্য ধন্যবাদ।’

গাজায় আপাত যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। তবে, স্বাধীন ফিলিস্তিন গঠনের আগমুহূর্ত পর্যন্ত বিশ্ববাসীর সরব ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান শহিদুল আলম।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

৯৯ রান যোগ করেই শেষ রাজশাহী, রংপুরের বড় জয়জাতীয় ক্রিকেট লিগে তৃতীয় দিন শেষেই জয়ের সুবাস পাচ্ছিল রংপুর বিভাগ। জয়ের জন্য চতুর্থ দিন দরকার ছিল রাজশাহীর চার উইকেট। প্রথম সেশনে রাজশাহীর গোলাম কিবরিয়া কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও সেটি যথেষ্ট ছিল না। মঙ্গলবার রাজশাহীর জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২০১ রান। কিন্তু আগের দিন ৬২ রান করা রাজশাহী আজ আরও ৯৯ রান যোগ করেই থেমে গেছে। তাতে ১০১ রানের বড় জয় পেয়েছে রংপুর। দলটির জয়ের নায়ক আরিফুল হক। সেঞ্চুরির পাশাপাশি তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন তিনি। রাজশাহীর শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার জয়ের সুবাস নিয়েই খেলতে নেমেছিল রংপুর। লিগের চতুর্থ রাউন্ডে সোমবার ম্যাচের তৃতীয় দিন ২৬৩ রানের লক্ষ্য দেয় তারা। কিন্তু শেষ সেশনে ব্যাটিংয়ে নেমে রাজশাহী ৬২ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। চতুর্থ দিনে জয়ের জন্য রংপুরের প্রয়োজন ছিল আরও ৪ উইকেট। তার পর প্রতিপক্ষকে সহজেই ১৬১ রানে অলআউট করেছে। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন গোলাম কিবরিয়া। ৬৫ বলে খেলেছেন ৫৬ রানের ইনিংস। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসে সানজামুলের ব্যাট থেকে (২৩) রান। রংপুরের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন আরিফুল হক। তৃতীয় দিনে তার চমৎকার বোলিংয়ে মূলত ম্যাচে ফেরে রংপুর। ৩ ওভারে ১০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে রংপুরের জয়ের পথটা তিনিই তৈরি করেছেন। পরপর দুই বলে প্রিতম ও ওয়াসিকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগান তিনি। শেষ পর্যন্ত যদিও কীর্তিটি গড়তে পারেননি। এছাড়া রবিউল হক, আব্দুল গাফফার ও আবু হাসিম প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট নেন। শুরুতে টস হেরে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছিল রংপুর। প্রথম ইনিংসে আরিফুলের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে ভর করে ১৮৯ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় তারা। আরিফুল ছাড়া দলের সবাই ছিলেন ব্যর্থ। ১৬১ বলে ১০৩ রানে সতীর্থদের আসা যাওয়ার মিছিলের সাক্ষী হয়েছেন তিনি। রংপুরকে অল্পরানে গুটিয়ে দেওয়ার নায়ক ছিলেন সাব্বির হোসেন। তিনি একাই নেন ছয়টি উইকেট। এরপর রাজশাহী তাদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান ও রবিউল হকের বোলিংয়ে ১৮৯ রানে থামে দলটির ইনিংস। সাব্বির হোসেন ৪৭ ও ওয়াইসি সিদ্দিকি খেলেন ৩৯ রানের ইনিংস। জবাবে রংপুরের টপ অর্ডার ভালো শুরুর পরও ইনিংস বড় করতে পারেনি। অধিনায়ক আকবর আলী ৭৭ রানের ইনিংস খেলে দলকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করেছেন। তাছাড়া তানভীর হায়দার (৪০), মিম মোসাদ্দেক (৩৩), চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান (৩২) রানের ইনিংস খেলেছেন। তাদের অবদানে রংপুরের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৬২ রান।