• ঢাকা, বাংলাদেশ মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:৪৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম
রাজশাহী রুটে একটি পুরো ট্রেন ভাড়া করেছেন সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুন্না নির্বাচনি প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছেন ৪৮ হাজার পুলিশ সদস্য আশরাফুলের কোচ হওয়া প্রসঙ্গে যা বলছেন সাবেকরা চট্টগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪ নেতাকে বিএনপির বহিষ্কার ইসলামি দলগুলোর এক বাক্সে ভোট হবে-ডা. তাহের ছাব্বিশের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন, সরকারের সংকল্প পুনর্ব্যক্ত যৌথ সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে জামায়াতসহ ৮ দল খুলনায় বিএনপির কার্যালয়ে দুর্বৃত্তের বোমা হামলায় নিহত ১, আহত ২ দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে ভারতীয় নারীদের প্রথম বিশ্বকাপ জয় জেলহত্যা দিবস আজ চার বিশ্ববিদ্যায়ে শিবিরের ভূমিধস জয় রহস্যজনক-নুরুল হক নুর

বাংলাদেশ ব্যাংকের পোশাক নির্দেশনা নিয়ে বিতর্ক; গভর্নরের নির্দেশে প্রত্যাহার

Reporter Name / ১১০ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই, ২০২৫

প্রিয়জন ডেস্কঃ বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য পেশাদার ও মার্জিত পোশাক পরিধানের নির্দেশনা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগ থেকে ২১ জুলাই এ-সংক্রান্ত একটি অভ্যন্তরীণ নির্দেশনা জারি করা হলেও, পরে গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের নির্দেশে তা প্রত্যাহার করা হয়েছে।

 

আজ (বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই) এক বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সামাজিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় অফিস সময়ে পেশাদার পোশাক পরিধানের বিষয়ে বিভাগীয় সভায় আলোচনা হয়। তবে এটি ছিল কোনো নীতিগত সিদ্ধান্ত নয় এবং এ-সংক্রান্ত কোনো সার্কুলারও জারি করা হয়নি। বিষয়টি মিডিয়ার মাধ্যমে গভর্নরের নজরে এলে তিনি অসন্তোষ প্রকাশ করেন এবং তার নির্দেশে নির্দেশনাটি তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাহার করা হয়।

 

তবে ২১ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগ–২ থেকে যে অভ্যন্তরীণ নির্দেশনা জারি করা হয়েছিল, সেখানে নারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, ওড়না এবং অন্যান্য ‘পেশাদার শালীন’ পোশাক পরার পরামর্শ দেয়া হয়েছিল। শর্ট স্লিভ ও ছোট দৈর্ঘ্যের ড্রেস এবং লেগিংস পরিহার করতে বলা হয়। পুরুষদের ক্ষেত্রে ফরমাল শার্ট ও প্যান্ট, ফরমাল জুতা পরার কথা বলা হয় এবং জিনস ও গ্যাবার্ডিন প্যান্ট নিষিদ্ধ করা হয়।

 

এছাড়া, নির্দেশনায় বলা হয়, কেউ নির্দেশনা লঙ্ঘন করলে তা শৃঙ্খলাভঙ্গ হিসেবে গণ্য হবে এবং সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, এক প্রতিষ্ঠানে সবাই যেন একই মানের পোশাক পরে, সেই চেতনা থেকেই নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল।

 

তবে এ নির্দেশনা নিয়ে সমালোচনার সৃষ্টি হয়। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম বলেন, ‘পোশাক নিয়ে এমন নির্দেশনা আগে কখনও দেখা যায়নি। বাংলাদেশ ব্যাংকের মতো প্রতিষ্ঠানে কেউ অশালীন পোশাক পরে, এমন অভিযোগও নেই। এটা একটা সাংস্কৃতিক বলয়ের অংশ, যেখানে নারীর পোশাক নিয়ন্ত্রণ করার প্রবণতা স্পষ্ট।’

 

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের বহু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে। সেখানে বসে কে কী পোশাক পরবে, তা নির্ধারণ করাটা প্রাসঙ্গিক নয়।’

 

বাংলাদেশ ব্যাংক পরে স্পষ্ট করে জানায়, এটি ছিল কেবল একটি সভায় আলোচিত অভ্যন্তরীণ প্রস্তাব এবং এখন তা কার্যকর নয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

৯৯ রান যোগ করেই শেষ রাজশাহী, রংপুরের বড় জয়জাতীয় ক্রিকেট লিগে তৃতীয় দিন শেষেই জয়ের সুবাস পাচ্ছিল রংপুর বিভাগ। জয়ের জন্য চতুর্থ দিন দরকার ছিল রাজশাহীর চার উইকেট। প্রথম সেশনে রাজশাহীর গোলাম কিবরিয়া কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও সেটি যথেষ্ট ছিল না। মঙ্গলবার রাজশাহীর জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২০১ রান। কিন্তু আগের দিন ৬২ রান করা রাজশাহী আজ আরও ৯৯ রান যোগ করেই থেমে গেছে। তাতে ১০১ রানের বড় জয় পেয়েছে রংপুর। দলটির জয়ের নায়ক আরিফুল হক। সেঞ্চুরির পাশাপাশি তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন তিনি। রাজশাহীর শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার জয়ের সুবাস নিয়েই খেলতে নেমেছিল রংপুর। লিগের চতুর্থ রাউন্ডে সোমবার ম্যাচের তৃতীয় দিন ২৬৩ রানের লক্ষ্য দেয় তারা। কিন্তু শেষ সেশনে ব্যাটিংয়ে নেমে রাজশাহী ৬২ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। চতুর্থ দিনে জয়ের জন্য রংপুরের প্রয়োজন ছিল আরও ৪ উইকেট। তার পর প্রতিপক্ষকে সহজেই ১৬১ রানে অলআউট করেছে। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন গোলাম কিবরিয়া। ৬৫ বলে খেলেছেন ৫৬ রানের ইনিংস। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসে সানজামুলের ব্যাট থেকে (২৩) রান। রংপুরের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন আরিফুল হক। তৃতীয় দিনে তার চমৎকার বোলিংয়ে মূলত ম্যাচে ফেরে রংপুর। ৩ ওভারে ১০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে রংপুরের জয়ের পথটা তিনিই তৈরি করেছেন। পরপর দুই বলে প্রিতম ও ওয়াসিকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগান তিনি। শেষ পর্যন্ত যদিও কীর্তিটি গড়তে পারেননি। এছাড়া রবিউল হক, আব্দুল গাফফার ও আবু হাসিম প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট নেন। শুরুতে টস হেরে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছিল রংপুর। প্রথম ইনিংসে আরিফুলের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে ভর করে ১৮৯ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় তারা। আরিফুল ছাড়া দলের সবাই ছিলেন ব্যর্থ। ১৬১ বলে ১০৩ রানে সতীর্থদের আসা যাওয়ার মিছিলের সাক্ষী হয়েছেন তিনি। রংপুরকে অল্পরানে গুটিয়ে দেওয়ার নায়ক ছিলেন সাব্বির হোসেন। তিনি একাই নেন ছয়টি উইকেট। এরপর রাজশাহী তাদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান ও রবিউল হকের বোলিংয়ে ১৮৯ রানে থামে দলটির ইনিংস। সাব্বির হোসেন ৪৭ ও ওয়াইসি সিদ্দিকি খেলেন ৩৯ রানের ইনিংস। জবাবে রংপুরের টপ অর্ডার ভালো শুরুর পরও ইনিংস বড় করতে পারেনি। অধিনায়ক আকবর আলী ৭৭ রানের ইনিংস খেলে দলকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করেছেন। তাছাড়া তানভীর হায়দার (৪০), মিম মোসাদ্দেক (৩৩), চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান (৩২) রানের ইনিংস খেলেছেন। তাদের অবদানে রংপুরের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৬২ রান।