• ঢাকা, বাংলাদেশ বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:১৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
রাজশাহী রুটে একটি পুরো ট্রেন ভাড়া করেছেন সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুন্না নির্বাচনি প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছেন ৪৮ হাজার পুলিশ সদস্য আশরাফুলের কোচ হওয়া প্রসঙ্গে যা বলছেন সাবেকরা চট্টগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪ নেতাকে বিএনপির বহিষ্কার ইসলামি দলগুলোর এক বাক্সে ভোট হবে-ডা. তাহের ছাব্বিশের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন, সরকারের সংকল্প পুনর্ব্যক্ত যৌথ সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে জামায়াতসহ ৮ দল খুলনায় বিএনপির কার্যালয়ে দুর্বৃত্তের বোমা হামলায় নিহত ১, আহত ২ দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে ভারতীয় নারীদের প্রথম বিশ্বকাপ জয় জেলহত্যা দিবস আজ চার বিশ্ববিদ্যায়ে শিবিরের ভূমিধস জয় রহস্যজনক-নুরুল হক নুর

ফের ঊর্ধ্বমুখী চিনি-ব্রয়লার মুরগির দাম

Reporter Name / ১৩৮ Time View
Update : শনিবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৩

গত সপ্তাহে রাজধানীর শাহজাহানপুর, মালিবাগ বাজার, কারওয়ানবাজার, বাদামতলী বাজার, সূত্রাপুর বাজার, শ্যামবাজার, কচুক্ষেত বাজার, মৌলভীবাজার, মহাখালী বাজার, উত্তরা আজমপুর বাজার, রহমতগঞ্জ বাজার, রামপুরা এবং মীরপুর-১ নম্বর বাজারের পণ্যের দাম সংগ্রহ করে এ তথ্য তথ্য দিয়েছে টিসিবি।

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ে টিসিবির তৈরি করা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, চিনির দাম নতুন করে বেড়েছে ৬ এপ্রিল। এক দশমিক ৩৪ শতাংশ বেড়ে চিনির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১২ থেকে ১১৫ টাকা, যা আগে ছিল ১১০ থেকে ১১৪ টাকা। রোজার শুরুতে চিনির কেজি ছিল ১১৫ থেকে ১২০ টাকা। অর্থাৎ রোজার মধ্যেই চিনির দাম কিছুটা কমার পর এখন আবার বাড়লো। ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে ৪ এপ্রিল। ১১ দশমিক ১১ শতাংশ বেড়ে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২১০ টাকা। আগে যা ছিল ১৭০ থেকে ১৯০ টাকা। অবশ্য মাঝে ব্রয়লার মুরগির কেজি ২৮০ টাকাও বিক্রি হয়েছে। চিনির মতো ব্রয়লার মুরগির দামও রোজার মধ্যে কিছুটা কমে এখন আবার বেড়েছে।

টিসিবির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, খোলা পাম অয়েলের দাম বেড়েছে ৭ এপ্রিল। এক দশমিক ৯৬ শতাংশ বেড়ে খোলা পাম অয়েলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১২৫ থেকে ১৩৫ টাকা, যা আগে ছিল ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা। ধনিয়ার দাম বাড়ে ৬ এপ্রিল। ৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ বেড়ে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৬০ টাকা, যা আগে ছিল ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা। দেশি ও আমদানি করা উভয় ধরনের হলুদের দাম বেড়েছে ৬ এপ্রিল। দেশি হলুদের দাম ১৮ দশমিক ১৮ শতাংশ বেড়ে কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৯০ টাকা। আগে যা ছিল ২০০ থেকে ২৪০ টাকা। আমদানি করা হলুদের দাম ২ দশমিক ৪৪ শতাংশ বেড়ে কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২৩০ টাকা। আগে যা ১৯০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

প্যাকেট ময়দার দাম কমেছে ২ এপ্রিল। ৩ দশমিক ৯২ শতাংশ কমে প্রতি কেজি প্যাকেট ময়দা বিক্রি হচ্ছে ৭২ থেকে ৭৫ টাকা, যা আগে ছিল ৭৫ থেকে ৭৮ টাকা। একইদিন কমেছে খোলা সয়াবিন তেলের দাম। শূন্য দশমিক ৫৮ শতাংশ কমে খোলা সয়াবিন তেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৬৮ থেকে ১৭৫ টাকা, যা আগে ছিল ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকা। দেশি রসুনের দাম কমেছে ৪ এপ্রিল। ১৪ দশমিক ২৯ শতাংশ কমে দেশি রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা, যা আগে ছিল ৯০ থেকে ১২০ টাকা। এর দুইদিন আগে অর্থাৎ ২ এপ্রিল কমে আমদানি করা রসুনের দাম। ৭ দশমিক ১৪ শতাংশ কমে আমদানি করা রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, যা আগে ছিল ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা।

ছোট এলাচের দাম কমেছে ৭ এপ্রিল। ৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ কমে এক কেজি ছোট এলাচ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৬০০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকা। যা আগে ছিল এক হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকা। এছাড়া ডিমের দাম কমেছে ৪ এপ্রিল। ৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ কমে এক হালি ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪২ থেকে ৪৫ টাকা, যা আগে ছিল ৪৫ থেকে ৪৭ টাকা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

৯৯ রান যোগ করেই শেষ রাজশাহী, রংপুরের বড় জয়জাতীয় ক্রিকেট লিগে তৃতীয় দিন শেষেই জয়ের সুবাস পাচ্ছিল রংপুর বিভাগ। জয়ের জন্য চতুর্থ দিন দরকার ছিল রাজশাহীর চার উইকেট। প্রথম সেশনে রাজশাহীর গোলাম কিবরিয়া কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও সেটি যথেষ্ট ছিল না। মঙ্গলবার রাজশাহীর জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২০১ রান। কিন্তু আগের দিন ৬২ রান করা রাজশাহী আজ আরও ৯৯ রান যোগ করেই থেমে গেছে। তাতে ১০১ রানের বড় জয় পেয়েছে রংপুর। দলটির জয়ের নায়ক আরিফুল হক। সেঞ্চুরির পাশাপাশি তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন তিনি। রাজশাহীর শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার জয়ের সুবাস নিয়েই খেলতে নেমেছিল রংপুর। লিগের চতুর্থ রাউন্ডে সোমবার ম্যাচের তৃতীয় দিন ২৬৩ রানের লক্ষ্য দেয় তারা। কিন্তু শেষ সেশনে ব্যাটিংয়ে নেমে রাজশাহী ৬২ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। চতুর্থ দিনে জয়ের জন্য রংপুরের প্রয়োজন ছিল আরও ৪ উইকেট। তার পর প্রতিপক্ষকে সহজেই ১৬১ রানে অলআউট করেছে। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন গোলাম কিবরিয়া। ৬৫ বলে খেলেছেন ৫৬ রানের ইনিংস। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসে সানজামুলের ব্যাট থেকে (২৩) রান। রংপুরের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন আরিফুল হক। তৃতীয় দিনে তার চমৎকার বোলিংয়ে মূলত ম্যাচে ফেরে রংপুর। ৩ ওভারে ১০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে রংপুরের জয়ের পথটা তিনিই তৈরি করেছেন। পরপর দুই বলে প্রিতম ও ওয়াসিকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগান তিনি। শেষ পর্যন্ত যদিও কীর্তিটি গড়তে পারেননি। এছাড়া রবিউল হক, আব্দুল গাফফার ও আবু হাসিম প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট নেন। শুরুতে টস হেরে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছিল রংপুর। প্রথম ইনিংসে আরিফুলের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে ভর করে ১৮৯ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় তারা। আরিফুল ছাড়া দলের সবাই ছিলেন ব্যর্থ। ১৬১ বলে ১০৩ রানে সতীর্থদের আসা যাওয়ার মিছিলের সাক্ষী হয়েছেন তিনি। রংপুরকে অল্পরানে গুটিয়ে দেওয়ার নায়ক ছিলেন সাব্বির হোসেন। তিনি একাই নেন ছয়টি উইকেট। এরপর রাজশাহী তাদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান ও রবিউল হকের বোলিংয়ে ১৮৯ রানে থামে দলটির ইনিংস। সাব্বির হোসেন ৪৭ ও ওয়াইসি সিদ্দিকি খেলেন ৩৯ রানের ইনিংস। জবাবে রংপুরের টপ অর্ডার ভালো শুরুর পরও ইনিংস বড় করতে পারেনি। অধিনায়ক আকবর আলী ৭৭ রানের ইনিংস খেলে দলকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করেছেন। তাছাড়া তানভীর হায়দার (৪০), মিম মোসাদ্দেক (৩৩), চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান (৩২) রানের ইনিংস খেলেছেন। তাদের অবদানে রংপুরের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৬২ রান।