• ঢাকা, বাংলাদেশ বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:১১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
রাজশাহী রুটে একটি পুরো ট্রেন ভাড়া করেছেন সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুন্না নির্বাচনি প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছেন ৪৮ হাজার পুলিশ সদস্য আশরাফুলের কোচ হওয়া প্রসঙ্গে যা বলছেন সাবেকরা চট্টগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪ নেতাকে বিএনপির বহিষ্কার ইসলামি দলগুলোর এক বাক্সে ভোট হবে-ডা. তাহের ছাব্বিশের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন, সরকারের সংকল্প পুনর্ব্যক্ত যৌথ সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে জামায়াতসহ ৮ দল খুলনায় বিএনপির কার্যালয়ে দুর্বৃত্তের বোমা হামলায় নিহত ১, আহত ২ দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে ভারতীয় নারীদের প্রথম বিশ্বকাপ জয় জেলহত্যা দিবস আজ চার বিশ্ববিদ্যায়ে শিবিরের ভূমিধস জয় রহস্যজনক-নুরুল হক নুর

বাণিজ্য ঘাটতি এক লাখ ৪৮ হাজার কোটি টাকা

Reporter Name / ১৪৭ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ৬ এপ্রিল, ২০২৩

বিদেশি মুদ্রার সংকট কাটাতে আমদানিতে দেওয়া হয়েছে নানা শর্ত। এতে এলসির হার কমলেও আমদানি দায় পরিশোধ কমেনি। এখনো রপ্তানি আয়ের তুলনায় আমদানিতে খরচ করতে হচ্ছে বেশি। প্রবাসী আয়ও আশানুরূপ বাড়েনি। উন্নয়ন সহযোগীদের ঋণের ছাড় কমে গেছে। প্রত্যাশা অনুযায়ী বাড়ছে না বিদেশি বিনিয়োগ। এসব কারণে বাণিজ্য ঘাটতি ও চলতি হিসাবের ঘাটতির পাশাপাশি সামগ্রিক বৈদেশিক লেনদেনেরও বিশাল ঘাটতি তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) ৪ হাজার ৮৭৯ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলারের পণ্য আমদানি করা হয়েছে। এর বিপরীতে রপ্তানি হয়েছে ৩ হাজার ৪৯৬ কোটি ৬০ লাখ ডলারের পণ্য। ফলে ১ হাজার ৩৮২ কোটি ৮০ লাখ (১৩ দশমিক ৮২ বিলিয়ন) মার্কিন ডলারের বাণিজ্য ঘাটতিতে পড়েছে বাংলাদেশ। বর্তমান বিনিময় হার হিসাবে দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি এক ডলার ১০৭ টাকা ধরে) এর অঙ্ক ১ লাখ ৪৮ হাজার কোটি টাকা। খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, রপ্তানির তুলনায় আমদানি বেশি, বিশ্ববাজারে জ্বালানিসহ সব ধরনের পণ্যের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী এবং আশানুরূপ রেমিট্যান্স ও বিদেশি বিনিয়োগ না থাকায় বহির্বিশ্বের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতিতে পড়ছে বাংলাদেশ। অর্থনীতির বিশ্লেষক ও পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর এ প্রসঙ্গে যুগান্তরকে বলেন, বাণিজ্য ঘাটতি বাড়লে রিজার্ভে চাপ পড়বে। সেজন্য সব সূচকে নজর দিতে হবে। শুধু আমদানি কমালে হবে না। বিশেষ করে ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকাউন্ট কমাতে হবে। এটা ঋণাত্মক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে আরও দেখা যায়, ফেব্রুয়ারি শেষে সেবা খাতে বাংলাদেশ আয় করেছে ৫৮৩ কোটি ডলার। অন্যদিকে সেবার পেছনে দেশের ব্যয় হয়েছে ৮৩৯ কোটি ডলার। সেবা বাণিজ্যে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ২৫৫ কোটি ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ে এ খাতে ঘাটতি ছিল ২৪২ কোটি ৭০ লাখ ডলার। চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত থাকার অর্থ হলো নিয়মিত লেনদেনে দেশকে কোনো ঋণ করতে হচ্ছে না। আর ঘাটতি থাকলে সরকারকে ঋণ নিয়ে তা পূরণ করতে হয়। সেই হিসাবে উন্নয়নশীল দেশের চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত থাকা ভালো। কিন্তু দেশে কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স এখন ঋণাত্মক হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরের আট মাসে চলতি হিসাবে ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৩৮ কোটি ডলার। আগের অর্থবছরে একই সময়ে এ ঘাটতি ছিল ১ হাজার ২৯৬ কোটি ডলার।
সামগ্রিক লেনেদেনেও (ওভার অল ব্যালান্স) বড় ঘাটতিতে পড়েছে বাংলাদেশ। চলতি অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সামগ্রিক লেনেদেনের (ঋণাত্মক) পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭৯৫ কোটি ডলার। এই সূচকে আগের বছর একই সময় ঘাটতি ছিল ২২২ কোটি ডলার। প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে ১ হাজার ৪০১ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। আগের বছর পাঠিয়েছিলেন ১ হাজার ৩৪৪ কোটি ডলার। এ খাতে প্রবৃদ্ধি ৪ দশমিক ২৭ শতাংশ। দেশে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) বেড়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে বাংলাদেশ যেখানে ৩১৩ কোটি ডলারের এফডিআই পেয়েছিল, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে তা বেড়ে ৩৫০ কোটি ডলারে উন্নীত হয়েছে।
বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে সরাসরি মোট যে বিদেশি বিনিয়োগ আসে, তা থেকে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান মুনাফার অর্থ নিয়ে যাওয়ার পর যেটি অবশিষ্ট থাকে, সেটিকে নিট এফডিআই বলা হয়। আলোচিত সময়ে নিট বিদেশি বিনিয়োগও আগের বছরের চেয়ে মাত্র ৪ দশমিক ৯৯ শতাংশ বেড়ে ১৫৩ কোটি ৫০ লাখ ডলারে দাঁড়িয়েছে। গত অর্থবছর একই সময়ে নিট বিদেশি বিনিয়োগ ছিল ১৪৬ কোটি ডলার। ত?বে আলোচিত সময়ে দেশের শেয়ারবাজারে বিদেশি বিনিয়োগ (পোর্টফোলিও ইনভেস্টমেন্ট) নেতিবাচক অবস্থা অব্যাহত রয়েছে। অর্থবছরে প্রথম আট মাসে শেয়ারবাজারে বিদেশি বিনিয়োগ (নিট) যা এসেছিল তার চেয়ে ৪ কোটি ৩ লাখ ডলার চলে গেছে। এর আগের অর্থবছরের শেয়ারবাজারে বিদেশি বিনিয়োগ ছিল (ঋণাত্মক) ৯ কোটি ২০ লাখ ডলার।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

৯৯ রান যোগ করেই শেষ রাজশাহী, রংপুরের বড় জয়জাতীয় ক্রিকেট লিগে তৃতীয় দিন শেষেই জয়ের সুবাস পাচ্ছিল রংপুর বিভাগ। জয়ের জন্য চতুর্থ দিন দরকার ছিল রাজশাহীর চার উইকেট। প্রথম সেশনে রাজশাহীর গোলাম কিবরিয়া কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও সেটি যথেষ্ট ছিল না। মঙ্গলবার রাজশাহীর জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২০১ রান। কিন্তু আগের দিন ৬২ রান করা রাজশাহী আজ আরও ৯৯ রান যোগ করেই থেমে গেছে। তাতে ১০১ রানের বড় জয় পেয়েছে রংপুর। দলটির জয়ের নায়ক আরিফুল হক। সেঞ্চুরির পাশাপাশি তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন তিনি। রাজশাহীর শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার জয়ের সুবাস নিয়েই খেলতে নেমেছিল রংপুর। লিগের চতুর্থ রাউন্ডে সোমবার ম্যাচের তৃতীয় দিন ২৬৩ রানের লক্ষ্য দেয় তারা। কিন্তু শেষ সেশনে ব্যাটিংয়ে নেমে রাজশাহী ৬২ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। চতুর্থ দিনে জয়ের জন্য রংপুরের প্রয়োজন ছিল আরও ৪ উইকেট। তার পর প্রতিপক্ষকে সহজেই ১৬১ রানে অলআউট করেছে। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন গোলাম কিবরিয়া। ৬৫ বলে খেলেছেন ৫৬ রানের ইনিংস। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসে সানজামুলের ব্যাট থেকে (২৩) রান। রংপুরের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন আরিফুল হক। তৃতীয় দিনে তার চমৎকার বোলিংয়ে মূলত ম্যাচে ফেরে রংপুর। ৩ ওভারে ১০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে রংপুরের জয়ের পথটা তিনিই তৈরি করেছেন। পরপর দুই বলে প্রিতম ও ওয়াসিকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগান তিনি। শেষ পর্যন্ত যদিও কীর্তিটি গড়তে পারেননি। এছাড়া রবিউল হক, আব্দুল গাফফার ও আবু হাসিম প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট নেন। শুরুতে টস হেরে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছিল রংপুর। প্রথম ইনিংসে আরিফুলের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে ভর করে ১৮৯ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় তারা। আরিফুল ছাড়া দলের সবাই ছিলেন ব্যর্থ। ১৬১ বলে ১০৩ রানে সতীর্থদের আসা যাওয়ার মিছিলের সাক্ষী হয়েছেন তিনি। রংপুরকে অল্পরানে গুটিয়ে দেওয়ার নায়ক ছিলেন সাব্বির হোসেন। তিনি একাই নেন ছয়টি উইকেট। এরপর রাজশাহী তাদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান ও রবিউল হকের বোলিংয়ে ১৮৯ রানে থামে দলটির ইনিংস। সাব্বির হোসেন ৪৭ ও ওয়াইসি সিদ্দিকি খেলেন ৩৯ রানের ইনিংস। জবাবে রংপুরের টপ অর্ডার ভালো শুরুর পরও ইনিংস বড় করতে পারেনি। অধিনায়ক আকবর আলী ৭৭ রানের ইনিংস খেলে দলকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করেছেন। তাছাড়া তানভীর হায়দার (৪০), মিম মোসাদ্দেক (৩৩), চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান (৩২) রানের ইনিংস খেলেছেন। তাদের অবদানে রংপুরের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৬২ রান।