• ঢাকা, বাংলাদেশ সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:২৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
রাজশাহী রুটে একটি পুরো ট্রেন ভাড়া করেছেন সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুন্না ঢাবি ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা নামল ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রিতে নির্বাচন নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে-ড. আসাদুজ্জামান রিপন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘিরে রাজশাহীতে জমজমাট মেস ব্যবসা, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা আরও পেছাল খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রা সোমবার থেকেই খুলছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আজ মধ্যরাতে অথবা কাল ভোরে খালেদা জিয়াকে লন্ডন নেয়া হবে আরও ৩৬ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করলো বিএনপি খালেদা জিয়াকে লন্ডন নিতে চায় বিএনপি; সরকারের অনুরোধে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাঠাবে কাতার রাজশাহীতে কাপড়ের দোকানে আগুন, ১৫-২০ লাখ টাকার ক্ষতি

নওগাঁর নিপাহ ভাইরাসে একই পরিবারের ২ জনের মৃত্যু

Reporter Name / ১৩৬ Time View
Update : রবিবার, ৫ মার্চ, ২০২৩

নওগাঁর মান্দায় নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ফরিদা বেগম ও তার শশুর আব্দুল হকের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আব্দুল হকের স্ত্রী রহিমা বেগম সহ দুইজন এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রাজশাহী মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

বুধবার (১ মার্চ) বিকেলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান ফরিদা। এর কয়েকদিন আগেই নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রাজশাহী হাসপাতালে নেয়ার পথে মৃত্যু হয় ফরিদা বেগমের শ্বশুর আব্দুল হকের। তারা উপজেলার কশব ইউনিয়নের চকচোঁয়ার গ্রামের বাসিন্দা।

স্থানীয়রা জানান, বাড়ির পাশে লাগানো খেজুরের গাছ থেকে রস সংগ্রহ করে পান করেন আব্দুল হকের পরিবার। এর দুইদিন পর আব্দুল হকের শরীরে সর্দি-জ্বরসহ বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেয়। অবস্থার অবনতি হলে গত ৮ ফেব্রুয়ারি তাকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান তিনি।

এদিকে আব্দুল হকের পুত্রবধূ ফরিদা বেগম সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। তার উপসর্গগুলো সন্দেহজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য রামেক হাসপাতালে পাঠান চিকিৎসকেরা। বিকেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। এ ব্যাপারে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ যৌথভাবে ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করেছে।

মান্দা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বিজয় কুমার রায় বলেন, সংবাদ পেয়ে একটি টিম ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছিল। রাজশাহী মেডিকেলে মৃত আব্দুল হকের স্ত্রী রহিমা বেগমসহ দুই-তিনজন অসুস্থ হয়ে ভর্তি আছেন। এরই মধ্যে ঢাকা থেকে আসা আইসিডিডিআরবি’র একটি টিম এ নিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কাজ শুরু করেছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এই বিভাগের আরো খবর

৯৯ রান যোগ করেই শেষ রাজশাহী, রংপুরের বড় জয়জাতীয় ক্রিকেট লিগে তৃতীয় দিন শেষেই জয়ের সুবাস পাচ্ছিল রংপুর বিভাগ। জয়ের জন্য চতুর্থ দিন দরকার ছিল রাজশাহীর চার উইকেট। প্রথম সেশনে রাজশাহীর গোলাম কিবরিয়া কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও সেটি যথেষ্ট ছিল না। মঙ্গলবার রাজশাহীর জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২০১ রান। কিন্তু আগের দিন ৬২ রান করা রাজশাহী আজ আরও ৯৯ রান যোগ করেই থেমে গেছে। তাতে ১০১ রানের বড় জয় পেয়েছে রংপুর। দলটির জয়ের নায়ক আরিফুল হক। সেঞ্চুরির পাশাপাশি তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন তিনি। রাজশাহীর শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার জয়ের সুবাস নিয়েই খেলতে নেমেছিল রংপুর। লিগের চতুর্থ রাউন্ডে সোমবার ম্যাচের তৃতীয় দিন ২৬৩ রানের লক্ষ্য দেয় তারা। কিন্তু শেষ সেশনে ব্যাটিংয়ে নেমে রাজশাহী ৬২ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। চতুর্থ দিনে জয়ের জন্য রংপুরের প্রয়োজন ছিল আরও ৪ উইকেট। তার পর প্রতিপক্ষকে সহজেই ১৬১ রানে অলআউট করেছে। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন গোলাম কিবরিয়া। ৬৫ বলে খেলেছেন ৫৬ রানের ইনিংস। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসে সানজামুলের ব্যাট থেকে (২৩) রান। রংপুরের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন আরিফুল হক। তৃতীয় দিনে তার চমৎকার বোলিংয়ে মূলত ম্যাচে ফেরে রংপুর। ৩ ওভারে ১০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে রংপুরের জয়ের পথটা তিনিই তৈরি করেছেন। পরপর দুই বলে প্রিতম ও ওয়াসিকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগান তিনি। শেষ পর্যন্ত যদিও কীর্তিটি গড়তে পারেননি। এছাড়া রবিউল হক, আব্দুল গাফফার ও আবু হাসিম প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট নেন। শুরুতে টস হেরে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছিল রংপুর। প্রথম ইনিংসে আরিফুলের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে ভর করে ১৮৯ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় তারা। আরিফুল ছাড়া দলের সবাই ছিলেন ব্যর্থ। ১৬১ বলে ১০৩ রানে সতীর্থদের আসা যাওয়ার মিছিলের সাক্ষী হয়েছেন তিনি। রংপুরকে অল্পরানে গুটিয়ে দেওয়ার নায়ক ছিলেন সাব্বির হোসেন। তিনি একাই নেন ছয়টি উইকেট। এরপর রাজশাহী তাদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান ও রবিউল হকের বোলিংয়ে ১৮৯ রানে থামে দলটির ইনিংস। সাব্বির হোসেন ৪৭ ও ওয়াইসি সিদ্দিকি খেলেন ৩৯ রানের ইনিংস। জবাবে রংপুরের টপ অর্ডার ভালো শুরুর পরও ইনিংস বড় করতে পারেনি। অধিনায়ক আকবর আলী ৭৭ রানের ইনিংস খেলে দলকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করেছেন। তাছাড়া তানভীর হায়দার (৪০), মিম মোসাদ্দেক (৩৩), চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান (৩২) রানের ইনিংস খেলেছেন। তাদের অবদানে রংপুরের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৬২ রান।