• ঢাকা, বাংলাদেশ সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৫০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
রাজশাহী রুটে একটি পুরো ট্রেন ভাড়া করেছেন সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুন্না শেখ হাসিনার ‘হেভিওয়েট’ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ ১৭ জন ট্রাইব্যুনালে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা এখনও অপরিবর্তিত-বিএনপি আজ বিশ্বে সর্বোচ্চ বায়ুদূষণ ঢাকায় ঢাবি ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা নামল ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রিতে নির্বাচন নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে-ড. আসাদুজ্জামান রিপন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘিরে রাজশাহীতে জমজমাট মেস ব্যবসা, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা আরও পেছাল খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রা সোমবার থেকেই খুলছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আজ মধ্যরাতে অথবা কাল ভোরে খালেদা জিয়াকে লন্ডন নেয়া হবে

পটুয়াখালীর এক ছাত্রলীগ নেতার পা কেটে নেওয়ার হুমকির অভিযোগ

Reporter Name / ১৩১ Time View
Update : রবিবার, ২ অক্টোবর, ২০২২

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় এক ছাত্রলীগ নেতার জিহ্বার পা কেটে নেওয়ার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সাবেক সংসদ-সদস্য উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহবুবুর রহমান তালুকদারের বিরুদ্ধে। এ সংক্রান্ত একটি অডিও রেকর্ড ভাইরাল হওয়ার পর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন হুমকির শিকার ছাত্রলীগ নেতা হাসিবুল হোসেন। ডায়েরিতে সাবেক সংসদ-সদস্য মাহবুবসহ মোট দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন তিনি। কলাপাড়ার একটি স্লুইস গেট আটকে মাছ ধরা বাণিজ্যের ভাগাভাগি নিয়ে অভ্যন্তরীণ বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। বিষয়টিকে অবশ্য অন্যভাবে ব্যাখ্যা দিয়েছেন মাহবুবুর রহমান তালুকদার। অভিযোগকারী হাসিবুল হাসানকে ভাইয়ের ছেলে দাবি করে তিনি বলেন, ‘আজেবাজে লোকের সঙ্গে মিশে সে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। চাঁদাবাজিসহ নানা অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে তার বিরুদ্ধে। এজন্য তাকে শাসন করেছি। বিষয়টি একান্তই পারিবারিক। একটি মহল এ বিষয়টিকে ঘিরে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে।

২৯ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার ভাইরাল হয় মোবাইল ফোনে হাসিবুল হাসানকে হুমকি দেওয়ার অডিও রেকর্ড। ওইদিনই বিষয়টি সম্পর্কে কলাপাড়া থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন হাসিবুল। যুগান্তরকে তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে ০১৭৩৬৩৯১৬৮৯ নম্বর থেকে তার মোবাইল ফোনে একটি ফোন আসে। রিসিভ করলে অপর প্রান্তে থাকা লেমুপাড়া বালিয়াতলীর বাসিন্দা কামাল তালুকদার বলেন, সাবেক এমপি মহোদয় কথা বলবেন। এরপর মাহবুব তালুকদার ফোনে আমায় অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। লেমুপাড়া স্লুইস গেটের মাছের ব্যবসা নিয়ে কথা বলার একপর্যায়ে আমার জিহ্বা এবং পা কেটে নেওয়ার হুমকি দেন তিনি। আমি এতটাই হতবাক হয়ে যাই যে তার কথার কোনো উত্তর দিতে পারিনি। ফোনে কেবল আমাকেই নয়, পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া-রাঙ্গাবালী) আসনের বর্তমান এমপি মো. মুহিববুর রহমানকেও গালাগাল করেন তিনি। এমপি সাহেব কতদিন আমায় শেল্টার দেন, তা দেখে নেবেন বলে হুমকি দেন ফোনে।’ এক প্রশ্নের জবাবে হাসিবুল বলেন, ‘আমি বহুদিন ধরেই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আসন্ন সম্মেলনে আমি কলাপাড়া উপজেলার বালিয়াতলী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী। বর্তমান এমপি মুহিববুর রহমানের অনুসারী হিসাবে কাজ করছি। মূলত এ কারণেই তিনি (মাহবুব তালুকদার) আমার ওপর ক্ষিপ্ত। দলে টানতে না পেরে এভাবে হুমকি দিলেন।

কলাপাড়ার বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা দেড়শর বেশি স্লুইস গেট ঘিরে সেখানে চলে অবৈধ মাছ শিকারের রমরমা বাণিজ্য। বছরের নির্দিষ্ট কিছু সময়ে এসব স্লুইস গেটের প্রবেশমুখ জাল দিয়ে আটকে খুলে দেওয়া হয় গেট। খাল বা জলাধারের পানি বের হয়ে যাওয়ার সময় জালে আটকা পড়া মাছ বিক্রি করে চলে টাকার ভাগাভাগি। স্লুইস গেট থেকে শুরু করে খাল বা জলাধার সরকারি সম্পত্তি হলেও মাছ ধরা, বিক্রি, ভাগাভাগির এসব প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ কিংবা অনুমোদন থাকে না প্রশাসনের। সব সময় ক্ষমতাসীনরাই নিয়ন্ত্রণ করে বিষয়টি। স্লুইস গেটের এই দখল নিয়ে কলাপাড়ায় প্রায়ই আওয়ামী লীগের বিভিন্ন গ্রুপ-উপগ্রুপের মধ্যে ঘটে সংঘর্ষ। সাম্প্রতিক সময়ে এসব বিরোধে জড়াচ্ছেন সাবেক এমপি মাহবুব তালুকদার এবং বর্তমান এমপি মুহিববুর রহমানের লোকজন। যার ধারাবাহিকতায় বর্তমান এমপির অনুসারী হাসিবুল হাসানকে এই হুমকি দেওয়া হয় বলে মনে করছেন সবাই।

হুমকি দেওয়ার বিষয়ে সাধারণ ডায়েরি হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে কলাপাড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জসিমউদ্দিন বলেন, ‘লিখিত অভিযোগটি সাধারণ ডায়েরি আকারে গ্রহণ করা হয়েছে। এটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে থানার উপপরিদর্শক হুমায়ুন কবিরকে। তদন্ত রিপোর্ট পাওয়া গেলে অভিযোগের সত্যাসত্য সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। এরপর পরবর্তী ব্যবস্থা নেব আমরা। অভিযোগ সম্পর্কে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক এমপি মাহবুবুর রহমান তালুকদার বলেন, ‘এটা তো সামান্য একটা ব্যাপার। হাসিবুল আমার আপন খালাতো ভাইয়ের ছেলে। ছাত্রলীগ করে। অসৎ সঙ্গে মিশে সে ইদানীং বখে যাচ্ছে। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, দখলদারির নানা অভিযোগও আসছে আমার কাছে। এটা একদিকে যেমন আমার জন্য অসম্মানজনক, তেমনই দলের জন্যও ক্ষতিকর। এই কারণে তাকে শাসন করেছি আমি। আমার ভাইয়ের ছেলেকে শাসন করা নিয়ে রাজনীতি হবে কেন?’ থানায় সাধারণ ডায়েরি হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটাও তার অসৎ সঙ্গের ফল। তাকে কুপরামর্শ দিয়ে এটি করানো হয়েছে। পারিবারিকভাবেই এই সমস্যার সমাধান করা যাবে।’


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এই বিভাগের আরো খবর

৯৯ রান যোগ করেই শেষ রাজশাহী, রংপুরের বড় জয়জাতীয় ক্রিকেট লিগে তৃতীয় দিন শেষেই জয়ের সুবাস পাচ্ছিল রংপুর বিভাগ। জয়ের জন্য চতুর্থ দিন দরকার ছিল রাজশাহীর চার উইকেট। প্রথম সেশনে রাজশাহীর গোলাম কিবরিয়া কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও সেটি যথেষ্ট ছিল না। মঙ্গলবার রাজশাহীর জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২০১ রান। কিন্তু আগের দিন ৬২ রান করা রাজশাহী আজ আরও ৯৯ রান যোগ করেই থেমে গেছে। তাতে ১০১ রানের বড় জয় পেয়েছে রংপুর। দলটির জয়ের নায়ক আরিফুল হক। সেঞ্চুরির পাশাপাশি তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন তিনি। রাজশাহীর শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার জয়ের সুবাস নিয়েই খেলতে নেমেছিল রংপুর। লিগের চতুর্থ রাউন্ডে সোমবার ম্যাচের তৃতীয় দিন ২৬৩ রানের লক্ষ্য দেয় তারা। কিন্তু শেষ সেশনে ব্যাটিংয়ে নেমে রাজশাহী ৬২ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। চতুর্থ দিনে জয়ের জন্য রংপুরের প্রয়োজন ছিল আরও ৪ উইকেট। তার পর প্রতিপক্ষকে সহজেই ১৬১ রানে অলআউট করেছে। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন গোলাম কিবরিয়া। ৬৫ বলে খেলেছেন ৫৬ রানের ইনিংস। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসে সানজামুলের ব্যাট থেকে (২৩) রান। রংপুরের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন আরিফুল হক। তৃতীয় দিনে তার চমৎকার বোলিংয়ে মূলত ম্যাচে ফেরে রংপুর। ৩ ওভারে ১০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে রংপুরের জয়ের পথটা তিনিই তৈরি করেছেন। পরপর দুই বলে প্রিতম ও ওয়াসিকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগান তিনি। শেষ পর্যন্ত যদিও কীর্তিটি গড়তে পারেননি। এছাড়া রবিউল হক, আব্দুল গাফফার ও আবু হাসিম প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট নেন। শুরুতে টস হেরে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছিল রংপুর। প্রথম ইনিংসে আরিফুলের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে ভর করে ১৮৯ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় তারা। আরিফুল ছাড়া দলের সবাই ছিলেন ব্যর্থ। ১৬১ বলে ১০৩ রানে সতীর্থদের আসা যাওয়ার মিছিলের সাক্ষী হয়েছেন তিনি। রংপুরকে অল্পরানে গুটিয়ে দেওয়ার নায়ক ছিলেন সাব্বির হোসেন। তিনি একাই নেন ছয়টি উইকেট। এরপর রাজশাহী তাদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান ও রবিউল হকের বোলিংয়ে ১৮৯ রানে থামে দলটির ইনিংস। সাব্বির হোসেন ৪৭ ও ওয়াইসি সিদ্দিকি খেলেন ৩৯ রানের ইনিংস। জবাবে রংপুরের টপ অর্ডার ভালো শুরুর পরও ইনিংস বড় করতে পারেনি। অধিনায়ক আকবর আলী ৭৭ রানের ইনিংস খেলে দলকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করেছেন। তাছাড়া তানভীর হায়দার (৪০), মিম মোসাদ্দেক (৩৩), চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান (৩২) রানের ইনিংস খেলেছেন। তাদের অবদানে রংপুরের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৬২ রান।