• ঢাকা, বাংলাদেশ সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৩৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
রাজশাহী রুটে একটি পুরো ট্রেন ভাড়া করেছেন সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুন্না খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা এখনও অপরিবর্তিত-বিএনপি আজ বিশ্বে সর্বোচ্চ বায়ুদূষণ ঢাকায় ঢাবি ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা নামল ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রিতে নির্বাচন নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে-ড. আসাদুজ্জামান রিপন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘিরে রাজশাহীতে জমজমাট মেস ব্যবসা, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা আরও পেছাল খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রা সোমবার থেকেই খুলছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আজ মধ্যরাতে অথবা কাল ভোরে খালেদা জিয়াকে লন্ডন নেয়া হবে আরও ৩৬ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করলো বিএনপি

রাজনীতি মন থেকে করি, মাথা দিয়ে নয়: শামীম ওসমান

Reporter Name / ১২৩ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ২৩ জুন, ২০২২

রাজনীতি করলে নানা সময় ধাক্কা খেতে হয় বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান।

বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমিতে জেলা শিল্পকলা সম্মাননা পদক-২০২১ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

শামীম ওসমান বলেন, রাজনীতি মন থেকে করি মাথা দিয়ে নয়। যারা মন থেকে রাজনীতিটা করি তাদেরকে নানা সময় ধাক্কা খেতে হয়। সামনেও ধাক্কা আসবে এটা সত্যি। বোমা হামলার পর আহত অবস্থায় একটা কথাই বলেছিলাম, শেখ হাসিনাকে বাঁচান। তখন বলা হয়েছিল, শেখ হাসিনার পরিবারের জন্য আইন পাস করতে নারায়ণগঞ্জে আমরা এই বোমা হামলা করেছিলাম।

তিনি বলেন, আমরা মরে গেলে কিছুই হবে না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। কারণ তিনি এখন আর আওয়ামী লীগের সম্পদ না। তিনি দেশের সম্পদ।

নারায়ণগঞ্জের এই এমপি বলেন, অনেকে মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের ডেফিনেশন দেন। সুশীল, অশীল, কুশীল কত মানুষ কথা বলেন। দেশটাকে ভালোবাসো। দেশ ভালো থাকলে সবাই ভালো থাকবে। বঙ্গবন্ধু শুধু আওয়ামী লীগের নয় পুরো জাতির। আর শেখ হাসিনা পুরো বাংলাদেশের সম্পদ।

তিনি আরও বলেন, ভাষা আন্দোলন, ১৯৬৬, ৬৯ সালের আন্দোলন, শিক্ষা আন্দোলনসহ সব আন্দোলনের প্রভাব ছিল নারায়ণগঞ্জে। বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী পড়লেই আপনারা এটা জানতে পারবেন। এই নারায়ণগঞ্জের বায়তুল আমানে আওয়ামী লীগের প্রথম মিটিংয়ের কথা চিন্তা করা হয়। বঙ্গবন্ধুকে যখন সেক্রেটারি করা হয় তখন তিনি জেলে ছিলেন। খন্দকার মোশতাকরা তখন থেকেই ষড়যন্ত্র করছিল। আমার দাদা তখন ধমক দিয়ে বলেছিলেন, ওই (বঙ্গবন্ধু) সেক্রেটারি হবে। সেটার বিরুদ্ধে তখন আর কেউ কথা বলার সাহস পায়নি। পরে তিনিই সেক্রেটারি হন।

এসময় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি চন্দন শীলসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এই বিভাগের আরো খবর

৯৯ রান যোগ করেই শেষ রাজশাহী, রংপুরের বড় জয়জাতীয় ক্রিকেট লিগে তৃতীয় দিন শেষেই জয়ের সুবাস পাচ্ছিল রংপুর বিভাগ। জয়ের জন্য চতুর্থ দিন দরকার ছিল রাজশাহীর চার উইকেট। প্রথম সেশনে রাজশাহীর গোলাম কিবরিয়া কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও সেটি যথেষ্ট ছিল না। মঙ্গলবার রাজশাহীর জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২০১ রান। কিন্তু আগের দিন ৬২ রান করা রাজশাহী আজ আরও ৯৯ রান যোগ করেই থেমে গেছে। তাতে ১০১ রানের বড় জয় পেয়েছে রংপুর। দলটির জয়ের নায়ক আরিফুল হক। সেঞ্চুরির পাশাপাশি তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন তিনি। রাজশাহীর শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার জয়ের সুবাস নিয়েই খেলতে নেমেছিল রংপুর। লিগের চতুর্থ রাউন্ডে সোমবার ম্যাচের তৃতীয় দিন ২৬৩ রানের লক্ষ্য দেয় তারা। কিন্তু শেষ সেশনে ব্যাটিংয়ে নেমে রাজশাহী ৬২ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। চতুর্থ দিনে জয়ের জন্য রংপুরের প্রয়োজন ছিল আরও ৪ উইকেট। তার পর প্রতিপক্ষকে সহজেই ১৬১ রানে অলআউট করেছে। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন গোলাম কিবরিয়া। ৬৫ বলে খেলেছেন ৫৬ রানের ইনিংস। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসে সানজামুলের ব্যাট থেকে (২৩) রান। রংপুরের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন আরিফুল হক। তৃতীয় দিনে তার চমৎকার বোলিংয়ে মূলত ম্যাচে ফেরে রংপুর। ৩ ওভারে ১০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে রংপুরের জয়ের পথটা তিনিই তৈরি করেছেন। পরপর দুই বলে প্রিতম ও ওয়াসিকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগান তিনি। শেষ পর্যন্ত যদিও কীর্তিটি গড়তে পারেননি। এছাড়া রবিউল হক, আব্দুল গাফফার ও আবু হাসিম প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট নেন। শুরুতে টস হেরে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছিল রংপুর। প্রথম ইনিংসে আরিফুলের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে ভর করে ১৮৯ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় তারা। আরিফুল ছাড়া দলের সবাই ছিলেন ব্যর্থ। ১৬১ বলে ১০৩ রানে সতীর্থদের আসা যাওয়ার মিছিলের সাক্ষী হয়েছেন তিনি। রংপুরকে অল্পরানে গুটিয়ে দেওয়ার নায়ক ছিলেন সাব্বির হোসেন। তিনি একাই নেন ছয়টি উইকেট। এরপর রাজশাহী তাদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান ও রবিউল হকের বোলিংয়ে ১৮৯ রানে থামে দলটির ইনিংস। সাব্বির হোসেন ৪৭ ও ওয়াইসি সিদ্দিকি খেলেন ৩৯ রানের ইনিংস। জবাবে রংপুরের টপ অর্ডার ভালো শুরুর পরও ইনিংস বড় করতে পারেনি। অধিনায়ক আকবর আলী ৭৭ রানের ইনিংস খেলে দলকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করেছেন। তাছাড়া তানভীর হায়দার (৪০), মিম মোসাদ্দেক (৩৩), চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান (৩২) রানের ইনিংস খেলেছেন। তাদের অবদানে রংপুরের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৬২ রান।