সিরাজগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি

সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধের হার্ড পয়েন্ট ও কাজিপুর পয়েন্ট যমুনা নদীর পানি দ্রুত কমে এখন বিপৎসীমার নিচ দিয় প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিক সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুরের বাঘাবাড়ি ঘাট পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি কমলেও এখন সেখান বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয় প্রবাহিত হচ্ছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধের হার্ড পয়েন্ট যমুনার নদীর পানি ২০ সেন্টিমিটার কমে বুধবার সকালে তা বিপৎসীমার ৯ সেন্টিমিটার এবং কাজিপুর পয়েন্ট ২১ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একই সময় বাঘাবাড়ি ঘাট পয়েন্ট যমুনা নদীর পানি ৩৫ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যমুনা নদীর পাশাপাশি জেলার অভ্যন্তরীণ নদ-নদী ফুলজাড়, করতায়া, ইছামতি, বড়াল নদী ও চলনবিলের পানি কমতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই কিছু কিছু বাড়িঘর থেকে বন্যার পানি নামতে শুরু করলেও দুর্ভোগ কমেনি। দীর্ঘদিন পানিতে ডুবে থাকায় ইতিমধ্যে অনেক ঘর বাড়ির টিনের চালায় মরচে ধরেছে। ধসে পড়েছে অনেক ঘরবাড়ি। দীর্ঘদিন কর্মহীন থাকায় এসব দুর্গত মানুষরা অর্থের অভাবে ঘরবাড়ি মেরামতের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত নলকূপ আর ল্যাট্রিন সংস্কার করা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে। ২৪ দিন জ্বালানির অভাবে রান্না করা খাবার, শিশুখাদ্য আর বিশুদ্ধ পানির সংকটে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছিল তাদের জীবন। এদিকে, পানি কমার সাথে সাথে ছড়িয়ে পড়েছে পানিবাহিত নানা রোগ-বালাই। ডায়রিয়া, নিউমানিয়া, চর্মরোগসহ নানা ধরনের রোগ-ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার পাশাপাশি শিশুরা রয়েছে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে। পানি কমতে শুরু করায় মানুষের পাশাপাশি গবাদি পশুও নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।