রাজধানীতে বেড়েছে গাজরের দাম, কমেছে বেগুন-শসার

রাজধানীতে বেড়েছে গাজরের দাম, কমেছে বেগুন-শসার

রাজধানীর বাজারগুলোতে হুট করে অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে গাজরের দাম। একলাফে গাজরের দাম বেড়ে তিনগুণ হয়ে গেছে। গাজরের দাম বাড়লেও কিছুটা কমেছে বেগুন, শসা ও সজনে ডাটার দাম।

সবজির দামে মিশ্র প্রবণতা দেখা গেলেও সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে মুরগি ও গরুর মাংসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। সেইসঙ্গে মাছের দামেও খুব একটা পরিবর্তন আসেনি।

হুট করে গাজরের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এখন গাজরের মৌসুম না। বাজারে চাহিদার তুলনায় গাজরের সরবরাহ কম। এ কারণে দাম বেড়েছে। কয়েকদিনের মধ্যে আরও বাড়তে পারে।

শুক্রবার (২২ এপ্রিল) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা গাজরের কেজি বিক্রি করছেন ৬০ থেকে ৭০ টাকা। এক সপ্তাহ আগে গাজরের কেজি ছিল ২০ থেকে ৩০ টাকা।

গাজরের এ দাম বাড়ার বিষয়ে কারওয়ানবাজারের ব্যবসায়ী  বলেন, গাজরের মৌসুম শেষ হয়ে গেছে। সুতরাং এখন দাম বাড়বে এটাই স্বাভাবিক। কয়েকদিনের মধ্যে আরও বাড়বে। তখন একশো টাকা কেজি কিনে খেতে হবে।

অন্যদিকে, রোজার শুরুতে অস্বাভাবিকভাবে বাড়া বেগুনের দাম কিছুটা কমেছে। ব্যবসায়ীরা বেগুনের কেজি বিক্রি করছেন ৫০ থেকে ৭০ টাকা। এক সপ্তাহ আগে বেগুনের কেজি ছিল ৮০ থেকে ১০০ টাকা।

বেগুনের মতো দাম কমেছে শসার। রোজার উত্তাপে কেজি ৮০ টাকায় উঠে যাওয়া শসা এখন বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়। এক সপ্তাহ আগে শসার কেজি ছিল ৩০ থেকে ৪০ টাকা। বেগুন ও শসার এ দাম কমার বিষয়ে রামপুরার ব্যবসায়ী হুমায়ুন বলেন, রোজা শেষ হয়ে যাচ্ছে। ফলে বেগুন শসার চাহিদা কমছে। এছাড়া ক্ষেতে বেশি দিন শসা রাখা যায় না। এ কারণে দাম কমছে।

বেগুন ও শসার দাম কমলেও অপরিবর্তিত রয়েছে অন্যান্য সবজি। পটলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বরবটি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ থেকে ৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। লাউয়ের পিস বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। লাল ও পালং শাকের আঁটি বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ টাকায়।

সজনে ডাটা গত সপ্তাহের মতো ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। পেঁপের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। কাঁচ কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। করলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা। এ সবজিগুলোর দাম সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে।

মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে মাছের দামে তেমন পরিবর্তন আসেনি। রুইয়ের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা। এক কেজি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৩০০ থেকে ১৬০০ টাকা। তেলাপিয়া, পাঙ্গাস মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা। শিং মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৬০ টাকা। শোল মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা।

মাছের মতো অপরিবর্তিত রয়েছে মুরগি ও গরুর মাংসের দাম। ব্যবসায়ীরা আগের মতো ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকা। সোনালী মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা। আর গরুর মাংস গত সপ্তাহের মতো ৬৮০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।