কঠোর লকডাউনের মধ্যে হঠাৎ রপ্তানিমুখী শিল্প ও কলকারখানা খোলায় শ্রমিকদের কর্মস্থলে ফিরতে একদিনের জন্য গণপরিবহন চলাচল শুরু হওয়ায় বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে রেকর্ড সংখ্যক যানবাহন পারাপার হয়েছে। সেই সঙ্গে টোল আদায়েও রেকর্ড সৃষ্টি করেছে বঙ্গবন্ধু সেতু।
বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, রোববার (১ আগস্ট) সকাল ৬টা থেকে সোমবার (২ আগস্ট) সকাল ৬টা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব ও পশ্চিমপাড় টোলপ্লাজা দিয়ে বাস, ট্রাক, লরি, পিকআপ, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেল মিলিয়ে ৩৭ হাজার ৯৪০টি যানবাহন সেতু পারাপার হয়েছে। এতে সেতুতে টোল আদায় হয়েছে দুই কোটি ৭৮ লাখ ৫৩ হাজার ৩১০ টাকা। এরমধ্যে সেতু পূর্ব টোলপ্লাজায় ২০ হাজার ৫৯৬টি পরিবহনের বিপরীতে এক কোটি ৫৪ লাখ ১১ হাজার ৭২০ টাকা এবং সেতু পশ্চিম টোল প্লাজায় ১৭ হাজার ৩৪৪টি পরিবহনের বিপরীতে এক কোটি ২৪ লাখ ৪১ হাজার ৫৯০ টাকা টোল আদায় হয়েছে।
তবে ঢাকামুখী পরিবহনের চেয়ে উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলমুখী সবচেয়ে বেশি পরিবহন সেতু পার হয়েছে। এর ১৯ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় যাত্রীবাহী বাস, ট্রাক, লরি, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য পরিবহন পারাপার হয়েছিল ৩৯ হাজার ৪৮১টি। এতে টোল আদায় হয়েছিল ২ কোটি ৯৮ লাখ ৪৮ হাজার ৪০ টাকা। এদিকে সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে পরিবহন চলাচলে ধীরগতি ও যানজটের কবলে পড়তে হয়েছে। এতে মহাসড়কে ২০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট ছিল। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের বঙ্গবন্ধু সেতুর সাইট কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল জানান, রপ্তানিমুখী শিল্প কলকারখানা চালুর ঘোষণা এবং শ্রমিকদের কর্মস্থলে ফিরতে গণপরিবহন ও অন্যান্য পরিবহন চলাচল শুরু হওয়ায় মহাসড়কে তুলনামূলক অনেক বেশি গাড়ি বঙ্গবন্ধু সেতু পারাপার হয়েছে। এতে রেকর্ড সংখ্যক পরিবহন পারাপারের পাশাপাশি টোল আদায়েও রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়।