নারায়ণগঞ্জে দালালদের টাকা দিলে মিলছে করোনার টিকা

নারায়ণগঞ্জে দালালদের টাকা দিলে মিলছে করোনার টিকা

নারায়ণগঞ্জে দালালদের মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে করোনার টিকা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মডার্না টিকার প্রথম ডোজ দেওয়ার শেষ দিন বৃহস্পতিবার নগরীর তিনশ শয্যা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল ও দেড়শ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে টিকা না পাওয়া এবং লাইনে না দাঁড়িয়েও টাকার বিনিময়ে দালালদের মাধ্যমে টিকা পাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের হাতে কয়েকজন দালাল ধরা পড়লেও কর্তৃপক্ষের দাবি, তারা কিছু জানেন না।

সংশ্নিষ্ট কেন্দ্রগুলোতে গতকাল সকাল ৯টায় ছয়টি বুথে নারী-পুরুষদের আলাদাভাবে করোনার টিকা দেওয়া শুরু হয়। তবে কাঙ্ক্ষিত টিকা নিশ্চিত করতে ভোর থেকেই লাইনে দাঁড়িয়ে থাকেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার হাজারো মানুষ। উপচে পড়া ভিড় সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয় গুটিকয়েক পুলিশ সদস্যকে।

হাসপাতালের বিভিন্ন বুথ ঘুরে ও ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও অনেকের ভাগ্যেই টিকা জোটেনি। আবার কেউ কেউ হুট করে এসেই লাইনে না দাঁড়িয়ে শ খানেক টাকার বিনিময়ে দালালের মাধ্যমে টিকা নিয়ে চলে গেছেন। দুপুর সাড়ে ১২টায় নারীদের লাইনে এক নারীর হাতে পাঁচ থেকে ছয়টি টিকার কার্ড দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন সাধারণ মানুষ। একপর্যায়ে দুই নারী দালাল হাতেনাতে ধরা পড়লে পুলিশ তাদের হাসপাতাল প্রাঙ্গণের বাইরে পাঠিয়ে দেয়। হাসপাতালে পুরুষের পাশাপাশি নারী দালাল চক্রের প্রভাব ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। তাদের কারণে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি চরম পর্যায়ে গেছে। মাঝেমধ্যে পুলিশের সঙ্গে দালালদের ধস্তাধস্তিও হয়।

পুলিশ পরিদর্শক আবুল হোসেন দালাল চক্রের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, এত মানুষের ভিড়ে শৃঙ্খলা বজায় রাখা অল্প সংখ্যক সদস্যের পক্ষে কষ্টকর। শান্তিপূর্ণভাবে টিকা কার্যক্রম পরিচালনায় সবার সচেতন হওয়া প্রয়োজন। তবে দালালদের বিষয়ে জানেন না বলে দাবি করেছেন তিনশ শয্যা করোনা হাসপাতালের সুপার ডা. আবুল বাশার ও দেড়শ শয্যা হাসপাতালের আরএমও ডা. আসাদুজ্জামান। তারা বলেন, বাইরে কী ঘটেছে, তা তাদের জানা নেই।