জামিনে মুক্ত হলেন বিএনপি নেতা ইশরাক

জামিনে মুক্ত হলেন বিএনপি নেতা ইশরাক

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেন কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর মতিঝিল থানায় নাশকতার মামলায় তার জামিন মঞ্জুর করেন ঢাকার সিএমএম আদালত। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সন্ধ্যায় কারামুক্ত হলেন তিনি।  এর আগে, গত ৬ এপ্রিল মতিঝিল থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ দিন জাতীয় শ্রমিক দল নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে কর্মসূচির আয়োজন করেছিল। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ তাকে তুলে নেয়।


বিএনপি নেতারা জানান, লিফলেট বিতরণের একপর্যায়ে পুলিশের একজন কর্মকর্তা এসে বলেন—আপনার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট আছে। আপনি এখানে এসেছেন কীভাবে, জামিন আছে আপনার? জামিন আছে জানানোর পরে ওই পুলিশ কর্মকর্তা কাগজ দেখতে চান। ইশরাক জানান, জামিনের কাগজ তার সঙ্গে নেই। সে সময় পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, জামিনের কাগজ সঙ্গে না থাকলে ওপেনে বের হতে পারেন নাকি? বলেই পিকআপ ভ্যানে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। এরপর ৬ এপ্রিল দুপুরে গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকায় তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করে পুলিশ। মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।  ওই মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০২০ সালের ১২ নভেম্বর ঢাকার-১৮ আসনের নির্বাচন বানচাল করার লক্ষ্যে আসামিরা একত্র হয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিপরীত পাশে অগ্রণী ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পুড়িয়ে মারার উদ্দেশে গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে গাড়িতে থাকা যাত্রীরা প্রাণে বেঁচে যান।

এ ঘটনায় বিএনপি নেতা ইশরাকসহ ৪২ জনের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় মামলা করেন পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আতাউর রহমান ভূঁইয়া। এ মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন ইশরাক। উচ্চ আদালতের আদেশ মোতাবেক আত্মসমর্পণ না করায় ২০২১ সালের ১৮ আগস্ট তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন। গত ২৬ মে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য রয়েছে