ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নিচ্ছে না বেলারুশ

ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নিচ্ছে না বেলারুশ

বেলারুশের সেনারা যুদ্ধ করতে ‘ইউক্রেনে যেতে প্রস্তুত, তারা ইউক্রেনে যাচ্ছেন কিংবা তারা ইউক্রেনে ঢুকে পড়েছেন’ বলে মনে করেন না মার্কিন কর্মকর্তারা।সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে যুক্তরাষ্ট্রের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এমন দাবি করেছেন। তিনি বলেন, ইউক্রেনের ভিতরে থাকা সেনারা সবাই রাশিয়ান। বর্তমানে ইউক্রেনে অভিযান চালাতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ৭৫ শতাংশ যুদ্ধ সক্ষমতার মধ্যে রয়েছেন।

এর আগে সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধে সরাসরি অংশ নিতে বেলারুশের সেনারা প্রস্তুত রয়েছেন। এছাড়া নিজেদের ভূখণ্ড রাশিয়াকেও ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছেন।

এক মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বলেন, রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর কারণে বেসামরিক লোকজন ভোগান্তিতে পড়েছেন, তারা বেসামরিক স্থাপনায় হামলা চালাচ্ছেন। কিন্তু এসব হামলা ইচ্ছাকৃত নাকি সরাসরি লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়েছে, তা নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি।

এই কর্মকর্তা বলেন, আমি এখনে রুশদের নিয়ে কোনো দুঃখপ্রকাশ করব না। তারা আবাসিক এলাকা ও বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানছে। এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।

এদিকে রাশিয়ার আগ্রাসনের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে আসা সব ইউক্রেনীয় শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়ার অঙ্গীকার জানিয়েছে জার্মানি। সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্নালেনা বাইরবক বলেন, ইউক্রেন থেকে পালিয়ে আসা সবাইকে আমরা জায়গা দেব।

তিনি যখন এই ঘোষণা দিচ্ছিলেন, তখন তার পাশে ছিলেন স্লোভানিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনজে লোগার। আন্নালেনা বলেন, ইউক্রেন থেকে লোকজনকে পালিয়ে আসতে আমরা সহায়তা করছি। লোকজনকে ইউরোপীয় দেশে নিয়ে আসতে আমরা সীমান্তে অবস্থান নিয়েছি।

এ সময়ে ইউক্রেনে আরও বেশি মানবিক সহায়তা দেওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন তিনি। চলতি সপ্তাহে ইউক্রেনে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনকে সামনে রেখে জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে পুতিনের যুদ্ধের আজ পঞ্চম দিন। ইউক্রেনের নাগরিকদের ওপর তিনি দুঃসহ যন্ত্রণা চাপিয়ে দিয়েছেন। হাজার হাজার মানুষ দেশ ছেড়ে পালাচ্ছেন। লাখ লাখ মানুষ তাদের জীবন ও ভবিষ্যৎ নিয়ে দুঃশ্চিন্তায়।

তিনি বলেন, এমন ভয়াবহ দৃশ্য দেখার পর আমাদের আরও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। ইউক্রেন একা থাকতে পারে না, ইউরোপ ও পশ্চিমা মূল্যবোধ দুঃসাহসী ইউক্রেনীয়দের পাশে থাকবে। এছাড়া ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহের অঙ্গীকার করে নীতিগতভাবে বড় ধরনের পরিবর্তনের ঘোষণা দিয়েছে জার্মানি। আন্নালেনা বাইরবক বলেন, পুতিনের যুদ্ধ আমাদের ভিন্ন একটা যুগে ফেলে দিয়েছে। আমরা সবকিছু পুর্নমূল্যায়ন করে অস্ত্র ও সরঞ্জাম দিয়ে ইউক্রেনের নাগরিকদের সহায়তা করব।