• ঢাকা, বাংলাদেশ বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ০৭:০৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
রাজশাহী রুটে একটি পুরো ট্রেন ভাড়া করেছেন সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুন্না মঙ্গলবার সকালে ঢাকায় ফিরছেন খালেদা জিয়া ‘সিন্ধু নদীর পানি আটকে রাখলে ভারতকে দাঁতভাঙা জবাব দেয়া হবে’ জমি নিয়ে বিরোধে ভাতিজার পিটুনিতে বিএনপি নেতা নিহত দ্রুত নির্বাচন হলে দেশ ও গণতন্ত্র রক্ষিত থাকবে: বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠাতে ব্যর্থতা: ২৭ আগস্ট পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ আসিফ: বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার দিকে এগোচ্ছে পাকিস্তান ট্রাক-অটোরিকশার সংঘর্ষে নিহত ২ গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান ড. আলী রিয়াজের জম্মু-কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের পাল্টাপাল্টি গোলাগুলি জাতীয় স্বার্থে যেকোনো সংস্কারে একমত জামায়াতে ইসলামী

২০২৩ সালে কর ফাঁকিতে রাজস্ব ক্ষতি ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা

Reporter Name / ৩১ Time View
Update : সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫

কর ফাঁকির কারণে ২০২৩ সালে বাংলাদেশ আনুমানিক ২ লাখ ২৬ হাজার ২৩৬ কোটি টাকার রাজস্ব হারিয়েছে বলে জানিয়েছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।

সোমবার (২১ এপ্রিল) সিপিডির কার্যালয়ে বাংলাদেশের উত্তরণে করপোরেট আয়কর সংস্কার বিষয়ক ব্রিফিংয়ে তাদের গবেষণার এই তথ্য তুলে ধরা হয়।

সিপিডি বলছে, এর মধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশ হারিয়েছে করপোরেট কর ফাঁকির কারণে। ২০২৩ সালে করপোরেট কর ফাঁকির পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় এক লাখ ১৩ হাজার ১১৮ কোটি টাকা।

কর ফাঁকির পরিমাণ বেড়েছে বলে গবেষণায় দেখা গেছে। সিপিডি বলছে, ২০১১ সাল থেকে কর ফাঁকির পরিমাণ বেড়েছে, ২০১২ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৯৬ হাজার ৫০৩ কোটি টাকা এবং ২০১৫ সালে তা ১ লাখ ৩৩ হাজার ৬৭৩ কোটি টাকায় পৌঁছায়। বাংলাদেশের ক্রমাগত কর ফাঁকির পেছনে কয়েকটি প্রধান কারণ উঠে এসেছে সিপিডির গবেষণায়। এর মধ্যে উচ্চ কর হার, প্রশাসনিক দুর্বলতা, জটিল আইনি কাঠামো এবং কর ব্যবস্থাপনায় ব্যাপক দুর্নীতি উল্লেখ করেছে।

সংবাদ ব্রিফিংয়ে আলোচনা করেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সিপিডির জ্যেষ্ঠ গবেষণা সহযোগী তামিম আহমেদ।

খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উত্তরণের প্রক্রিয়ায় থাকা বাংলাদেশের জন্য এই পরিস্থিতি বড় চ্যালেঞ্জ। এলডিসি উত্তরণের পর বহুজাতিক কোম্পানির বিনিয়োগ বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যার ফলে কর ফাঁকি ও কর পরিহারের ঝুঁকিও বাড়বে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সিপিডি প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি কর ব্যবস্থার ডিজিটাল অবকাঠামো উন্নয়ন ও নীতিগত সংস্কারের সুপারিশ করেছে।

তিনি বলেন, কর ফাঁকি ছাড়াও প্রণোদনা ও কর ছাড়ের কারণে সরকার প্রতি বছর বিপুল পরিমাণে রাজস্ব হারাচ্ছে। বিনিয়োগের কথা বলে বিভিন্ন খাত ভিত্তিক কর ছাড় দেওয়া হচ্ছে। এগুলো সম্পূর্ণ বন্ধ করা উচিত। প্রণোদনা বা কর ছাড় বিনিয়োগের ভিত্তি হতে পারে না বলেও জানান তিনি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর