• ঢাকা, বাংলাদেশ সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:০৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম
রাজশাহী রুটে একটি পুরো ট্রেন ভাড়া করেছেন সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুন্না আবু সুফিয়ান: দেশের মানুষের মুক্তির সনদ তারেক রহমানের ৩১ দফা গোদাগাড়ীর বাসুদেবপুর ইউনিয়নে জামায়াতে ইসলামীর শীতবস্ত্র বিতরণ জামায়াতের প্রবীণ কর্মী ইউসুফ আলীর ইন্তেকালে রাজশাহী জেলা জামায়াতের শোক দুঃসংবাদ আবহাওয়া নিয়ে রাজশাহী প্রেসক্লাবের বর্ষবরণ অনুষ্ঠিত ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ রাজশাহী মহানগরীতে বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তার ৭ জন লরির সঙ্গে ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত প্রত্যেক বিভাগে জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের অফিস হবে:সারজিস আলম নতুন পাঠ্যবইয়ে থাকছে ‘বঙ্গবন্ধু’ ও ৭ মার্চ

চাল আত্মসাতের প্রমাণ পেয়েছে দুদক, ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জেলেদের

Reporter Name / ৩১ Time View
Update : সোমবার, ১৫ জুলাই, ২০২৪

চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীতে জাটকা আহরণ থেকে বিরত থাকা জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত চাল আত্মসাতের ঘটনার প্রমাণ মিলেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্তে। এ বিষয়ে সদর উপজেলার কল্যাণপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন রনি পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে দুদক।

সোমবার (১৫ জুলাই) সকালে বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয় চাঁদপুরের সহকারী পরিচালক মো. কোরবান আলী।

তিনি বলেন, ‘চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন রনি পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে প্রথমে থানায় অভিযোগ হয়। ওই অভিযোগ মামলায় রূপান্তর হলে আদালতে প্রেরণ করা হয়। বিষয়টি দুদকসংশ্লিষ্ট হওয়ার কারণে দুদক চাঁদপুর কার্যালয়ে পাঠানো হয়। পরে দুদক প্রধান কার্যালয়ের অনুমতিক্রমে চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেনের বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ২২ আগস্ট মামলা হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘মামলাটি তদন্তের জন্য আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হলে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করি। এতে দেখা যায়, ওই ইউনিয়নের গুদামে সংরক্ষিত জেলেদের চাল প্রথমে ৪ দশমিক ১ মেট্রিক টন কম পাওয়া গেলেও পরবর্তীতে সকল কাগজপত্র দেখে চূড়ান্তভাবে ৬ দশমিক ৭২ মেট্রিক টন কম পাওয়া যায়। চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গত ৩০ জুন তার বিরুদ্ধে জেলা জজ আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করি।’

এর আগে, ২০২২ সালের ১৭ মে চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন রনি পাটওয়ারী জেলা খাদ্যগুদাম থেকে জেলেদের চাল উত্তোলন করেন। পরদিন ১৮ মে ওই চাল বিতরণের জন্য গেলে উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান ও ট্যাগ অফিসার সুমন কুমার দাস গোডাউনে থাকা চাল প্রাথমিকভাবে ওজন করে ৪ দশমিক ১ মেট্রিক টন কম পান। জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত চালের পরিমাণ ছিল ৫৩ দশমিক ৬৮ মেট্রিক টন। বিষয়টি তাৎক্ষণিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানানো হয়। পরে ইউএনওর নির্দেশে ওই চালের গোডাউন সিলগালা করা হয়।

এ বিষয়ে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সানজিদা শাহনাজের নির্দেশে সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান ঘটনার বিষয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগটি মামলায় রূপান্তরিত হলে পুলিশ আদালতে পাঠায়। আদালত মামলাটি তদন্ত করার জন্য দুদকে প্রেরণ করেন।

চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘ঘটনার পর আদালতের নির্দেশে সিলগালা থাকা অবস্থায় গোডাউন খুলে ওই চাল জেলেদের মধ্যে বিতরণ করা হয়।’


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এই বিভাগের আরো খবর