• ঢাকা, বাংলাদেশ সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:২৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
রাজশাহী রুটে একটি পুরো ট্রেন ভাড়া করেছেন সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুন্না ঢাবি ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা নামল ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রিতে নির্বাচন নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে-ড. আসাদুজ্জামান রিপন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘিরে রাজশাহীতে জমজমাট মেস ব্যবসা, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা আরও পেছাল খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রা সোমবার থেকেই খুলছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আজ মধ্যরাতে অথবা কাল ভোরে খালেদা জিয়াকে লন্ডন নেয়া হবে আরও ৩৬ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করলো বিএনপি খালেদা জিয়াকে লন্ডন নিতে চায় বিএনপি; সরকারের অনুরোধে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাঠাবে কাতার রাজশাহীতে কাপড়ের দোকানে আগুন, ১৫-২০ লাখ টাকার ক্ষতি

বাংলাদেশেও বাড়ছে লিভার ক্যানসার ,৭০ শতাংশ লিভার ক্যানসারের কারণ হেপাটাইটিস বি

Reporter Name / ১৪৭ Time View
Update : মঙ্গলবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২২

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও বাড়ছে লিভার সিরোসিস এবং লিভার ক্যানসারের প্রধান হেপাটাইটিস বি ভাইরাস। চিকিৎসকেরা বলছেন, দেশে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ লিভার সিরোসিস এবং লিভার ক্যানসারের প্রধান কারণ এই ভাইরাসটির কারণেই হয়ে থাকে।

মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) হেপাটাইটিস বি নির্মূলে রোটারী ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিক্ট ৩২৮১-এর কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনে এসব তথ্য জানান চিকিৎসকেরা। তারা বলেন, প্রতিবছর দেশের বিভিন্ন মেডিকেলে মেডিসিন ওয়ার্ড গুলোয় যে পরিমাণ রোগী ভর্তি হোন তাদের ১০ থেকে ১২ শতাংশ লিভার রোগে আক্রান্ত, যার বেশিরভাগই আবার হেপাটাইটিস-বি ভাইরাস জনিত। এমনকি এদের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশের মৃত্যুর কারণ এই লিভার রোগ।

তারা বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, করোনার আগে দেশে প্রতি বছর ২২ হাজারেরও বেশি মানুষ লিভার রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যেত। আর গত দু-বছরে পৃথিবীর অন্যান্য আর দশটি দেশের মত বাংলাদেশেও যখন সবগুলো হাসপাতাল কোভিড হাসপাতালে রূপান্তরিত হয়েছিল, নন-কোভিড রোগীদের সেবা ব্যহত হয়েছিল। ফলে বর্তমানে এই সংখ্যা আরো বেশি।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলোজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল।

তিনি বলেন, লিভার রোগে আক্রান্ত হয়ে দেশে যে প্রতি বছর বিপুল সংখ্যক মানুষ যে শুধু মৃত্যুবরণই করছেন তাই নয়, এদেশে লিভার রোগের কারণে প্রতি বছর ব্যয় হচ্ছে বিপুল পরিমাণ অর্থও। পৃথিবীর আর সব দেশের মত বাংলাদেশও ২০৩০ সালের মধ্যে হেপাটাইটিস বি ভাইরাস নির্মূলের সাসটেইনেবল ডেভলপমেন্ট গোল অর্জনে অঙ্গীকারবদ্ধ। আর এজন্য চ্যালেঞ্জটাও পাহাড়সম। শুধু যে কোভিড আমাদের লক্ষ অর্জনের পথে অনেকটা পিছিয়ে দিয়েছে তা নয়, আমাদের এখনও ঘাটতি রয়েছে লিভার বিশেষজ্ঞ আর বিশেষায়িত লিভার চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানেরও। তার চেয়েও বড় চ্যালেঞ্জ মানুষকে সচেতন করা।

এই চিকিৎসক বলেন, বিশ্বব্যাপী প্রতি ১২ জনে ১ জন হেপাটাইটিস বি বা সি ভাইরাসে আক্রান্ত হলেও এই আক্রান্ত মানুষগুলোর ১০ শতাংশেরও জানা নেই যে তারা এমন কঠিন রোগে ভুগছেন। এর বড় কারণ এসব রোগীদের লিভার অনেকখানি ক্ষতিগ্রস্ত না হওয়া পর্যন্ত তাদের রোগের তেমন কোন লক্ষণ থাকে না বললেই চলে। কাজেই হেপাটাইটিস বি নির্মূলের এসডিজি গোলটি অর্জন করতে হলে সবার আগে জোর দিতে হবে জনসচেতনতা তৈরিতে আরো ব্যপক  স্ক্রিনিং কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে রোগী শনাক্ত করায়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রোটারি ক্লাবের ঢাকা ডিস্ট্রিক্ট গভর্নর ইঞ্জিনিয়ার এম এ ওয়াহাব বলেন, রোটারি ক্লাব বাংলাদেশ থেকে পোলিওমুক্তকরণে ভূমিকা রেখেছে। এরই ধারাবাহিকতায় হেপাটাইটিস বি নির্মূলেও কাজ করছি। এখন থেকে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষকে সচেতন করে তোলা এবং হেপাটাইটিস বি ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের শনাক্ত করার জন্য রোটারীর উদ্যোগে জেলাব্যাপী সচেতনতা ও স্ক্রিনিং কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি রাশেদ রাব্বি বলেন, সমাজ পরিবর্তনে রোটারি ক্লাব কাজ করে যাচ্ছে। পোলিও নির্মূলে তাদের ভূমিকা প্রশংসার দাবি রাখে। হেপাটাইটিস বি নির্মূলেও আশা করি ভালো ভূমিকা রাখবে।

তিনি বলেন, লিভার ভালো রাখার জন্য আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সচেতন করা জরুরি। শুধু প্রাপ্ত বয়স্কদের সচেতন করলে হবে না। অনেক সময় মসজিদের খুতবায় সচেতনতার কথা বলি আমরা। তবে আমার মনে হয় সবার আগে স্কুল শিক্ষার্থীদের সচেতনতায় জোর দিতে দেওয়া জরুরি। এখন থেকে তাদের সচেতন করা গেলে আগামী প্রজন্মের মধ্যে অনেকাংশে কমে আসবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এই বিভাগের আরো খবর

৯৯ রান যোগ করেই শেষ রাজশাহী, রংপুরের বড় জয়জাতীয় ক্রিকেট লিগে তৃতীয় দিন শেষেই জয়ের সুবাস পাচ্ছিল রংপুর বিভাগ। জয়ের জন্য চতুর্থ দিন দরকার ছিল রাজশাহীর চার উইকেট। প্রথম সেশনে রাজশাহীর গোলাম কিবরিয়া কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও সেটি যথেষ্ট ছিল না। মঙ্গলবার রাজশাহীর জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২০১ রান। কিন্তু আগের দিন ৬২ রান করা রাজশাহী আজ আরও ৯৯ রান যোগ করেই থেমে গেছে। তাতে ১০১ রানের বড় জয় পেয়েছে রংপুর। দলটির জয়ের নায়ক আরিফুল হক। সেঞ্চুরির পাশাপাশি তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন তিনি। রাজশাহীর শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার জয়ের সুবাস নিয়েই খেলতে নেমেছিল রংপুর। লিগের চতুর্থ রাউন্ডে সোমবার ম্যাচের তৃতীয় দিন ২৬৩ রানের লক্ষ্য দেয় তারা। কিন্তু শেষ সেশনে ব্যাটিংয়ে নেমে রাজশাহী ৬২ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। চতুর্থ দিনে জয়ের জন্য রংপুরের প্রয়োজন ছিল আরও ৪ উইকেট। তার পর প্রতিপক্ষকে সহজেই ১৬১ রানে অলআউট করেছে। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন গোলাম কিবরিয়া। ৬৫ বলে খেলেছেন ৫৬ রানের ইনিংস। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসে সানজামুলের ব্যাট থেকে (২৩) রান। রংপুরের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন আরিফুল হক। তৃতীয় দিনে তার চমৎকার বোলিংয়ে মূলত ম্যাচে ফেরে রংপুর। ৩ ওভারে ১০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে রংপুরের জয়ের পথটা তিনিই তৈরি করেছেন। পরপর দুই বলে প্রিতম ও ওয়াসিকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগান তিনি। শেষ পর্যন্ত যদিও কীর্তিটি গড়তে পারেননি। এছাড়া রবিউল হক, আব্দুল গাফফার ও আবু হাসিম প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট নেন। শুরুতে টস হেরে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছিল রংপুর। প্রথম ইনিংসে আরিফুলের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে ভর করে ১৮৯ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় তারা। আরিফুল ছাড়া দলের সবাই ছিলেন ব্যর্থ। ১৬১ বলে ১০৩ রানে সতীর্থদের আসা যাওয়ার মিছিলের সাক্ষী হয়েছেন তিনি। রংপুরকে অল্পরানে গুটিয়ে দেওয়ার নায়ক ছিলেন সাব্বির হোসেন। তিনি একাই নেন ছয়টি উইকেট। এরপর রাজশাহী তাদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান ও রবিউল হকের বোলিংয়ে ১৮৯ রানে থামে দলটির ইনিংস। সাব্বির হোসেন ৪৭ ও ওয়াইসি সিদ্দিকি খেলেন ৩৯ রানের ইনিংস। জবাবে রংপুরের টপ অর্ডার ভালো শুরুর পরও ইনিংস বড় করতে পারেনি। অধিনায়ক আকবর আলী ৭৭ রানের ইনিংস খেলে দলকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করেছেন। তাছাড়া তানভীর হায়দার (৪০), মিম মোসাদ্দেক (৩৩), চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান (৩২) রানের ইনিংস খেলেছেন। তাদের অবদানে রংপুরের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৬২ রান।