• ঢাকা, বাংলাদেশ সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:১৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
রাজশাহী রুটে একটি পুরো ট্রেন ভাড়া করেছেন সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুন্না ঢাবি ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা নামল ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রিতে নির্বাচন নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে-ড. আসাদুজ্জামান রিপন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘিরে রাজশাহীতে জমজমাট মেস ব্যবসা, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা আরও পেছাল খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রা সোমবার থেকেই খুলছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আজ মধ্যরাতে অথবা কাল ভোরে খালেদা জিয়াকে লন্ডন নেয়া হবে আরও ৩৬ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করলো বিএনপি খালেদা জিয়াকে লন্ডন নিতে চায় বিএনপি; সরকারের অনুরোধে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাঠাবে কাতার রাজশাহীতে কাপড়ের দোকানে আগুন, ১৫-২০ লাখ টাকার ক্ষতি

চোখ ওঠার মৌসুম চলছে, ঘরোয়া চিকিৎসায় যেভাবে মুক্তি মেলে

Reporter Name / ১৫৮ Time View
Update : রবিবার, ৯ অক্টোবর, ২০২২

চোখ ওঠার মৌসুম চলছে। শিশু থেকে বৃদ্ধ সব বয়সি মানুষ এই অসুখে আক্রান্ত হচ্ছে। একজন আক্রান্ত হলে পরিবারের সবাই আক্রান্ত হচ্ছে। এটি একটি সংক্রমণ। যেটি প্রায় মহামারির পর্যায়ে পৌঁছেছে।এই রোগের  নাম কনজাংটিভাইটিস। সাধারণ ভাষায় যাকে ‘চোখ ওঠা’ বলে। এটি মারাত্মক ছোঁয়াচে।

আক্রান্ত ব্যক্তির চশমা, তোয়ালে, রুমাল, টিস্যু পেপার, বালিশ বা প্রসাধনী কোনো সুস্থ ব্যক্তি ব্যবহার করলে তারাও আক্রান্ত হতে পারেন। বিশেষ করে অসুস্থ ব্যক্তির চোখের পানি কোনো সুস্থ ব্যক্তির চোখে লাগলে তারও আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অধিক। অপরিচ্ছন্ন ও অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনও চোখ ওঠার অন্যতম কারণ।

চোখ ওঠার লক্ষণ ও ঘরোয়া প্রতিকার নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন বাংলাদেশ আই হসপিটালের চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও সার্জন ডা. ইশতিয়াক আনোয়ার।

* চোখ ওঠার লক্ষণ

চোখের সাদা অংশ বা কনজাংটিভা লাল বা টকটকে লাল দেখাবে। প্রথমে এক চোখ আক্রান্ত হয় তারপর অন্য চোখে ছড়িয়ে পড়ে। চোখে চুলকানি, জ্বালাপোড়া বা খচখচে ভাব, চোখের ভেতরে কিছু আছে এমন অনুভূতি হয়। চোখ থেকে বারবার পানি পড়ে, চোখের পাতায় পুঁজ জমে ও পাপড়িতে যা আঠার মতো লেগে থাকে। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর চোখের পাতা খুলতে কষ্ট হয়। চোখের পাতা লাল হয়ে ফুলে চোখ বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়, দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসে।

*ঘরোয়া চিকিৎসা

একটি পরিষ্কার তুলা বা সাদা পরিষ্কার নরম সুতির কাপড় গরম পানিতে ডুবিয়ে চেপে নিয়ে আলতো করে ওই কাপড় বা তুলা দিয়ে চোখের পাতা ও পাপড়ি পরিষ্কার করতে হবে। দিনে কয়েকবার এটি করা যেতে পারে। দুটি চোখের জন্য আলাদা কাপড় বা তুলা ও পানির পাত্র ব্যবহার করতে হবে। গরম সেঁক দেওয়ার কয়েক মিনিট পর বরফ বা ঠান্ডা পানিতে কাপড় ও তুলা ডুবিয়ে ঠান্ডা সেঁক দেওয়া যেতে পারে। চোখের ওপর চাপ পড়ে এমন কোনো কাজ এ সময় করা যাবে না। যেমন বেশিক্ষণ মোবাইল বা কম্পিউটারে থাকা বা ছোট ছোট লেখা পড়া।

* কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন

চোখ ওঠা রোগ ৭-১০ দিনের মধ্যে সাধারণত ভালো হয়ে যায়। নিচের লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন-

** চোখ ওঠা রোগ দুই সপ্তাহের অধিক সময় ধরে চলতে থাকলে।

** চোখে বারবার ময়লা জমলে।

** ২৮ দিনের কম বয়সি শিশুর চোখ লাল হয়ে গেলে।

** চুলকানোর সঙ্গে সঙ্গে চোখে ভীষণ ব্যথা হলে, মারাত্মক মাথাব্যথা, অসুস্থ লাগলে।

** আলোর দিকে তাকালে চোখে ব্যথা হলে। একে ফটোফোবিয়া বলে।

** দৃষ্টিতে কোনো ধরনের পরিবর্তন এলে যেমন কাঁপা কাঁপা রেখা বা বিদ্যুৎ চমকানোর মতো ঝলকানি দেখলে।

** দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে এলে।

* চিকিৎসা

কনজাংটিভাইটিসের কারণের ওপর নির্ভর করে চোখ ওঠার চিকিৎসা দেওয়া হয়। ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে চোখ উঠলে চিকিৎসক প্রতি ৪-৬ ঘণ্টা পর পর অ্যান্টিবায়েটিক আইড্রপ ও রাতে ব্যবহারের জন্য মলম দিতে পারেন। ভাইরাস বা অ্যালার্জির কারণে চোখ উঠলে অ্যান্টি হিস্টামিন বা অ্যান্টিঅ্যালার্জির ওষুধ, আই ড্রপ, মলম দেওয়া যেতে পারে। রোগীর যেসব বিষয়ে অ্যালার্জি আছে তা এড়িয়ে চলা বেশ জরুরি। যেমন ধুলাবালি, ধোঁয়া, ফুলের রেণু, সুইমিং পুলের ক্লোরিনযুক্ত পানি, বিশেষ কোনো প্রসাধনী বা রাসায়নিকের প্রভাবে চোখ উঠলে সেগুলোর সংস্পর্শ অবশ্যই এড়িয়ে চলতে হবে।

* কী করবেন, কী করবেন না

** দিনে কয়েকবার চোখ পরিষ্কার করতে হবে, পরিষ্কার করার পর হাত সাবান দিয়ে ধুতে হবে বা স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে।

** কোনো অবস্থাতেই চোখ ঘষাঘষি বা রগড়ানো যাবে না।

** বালিশের কভার, মুখ মোছার গামছা বা তোয়ালে, চশমা নিয়মিত গরম পানিতে ডিটারজেন্ট দিয়ে পরিষ্কার করে রাখতে হবে।

** হাঁচি দেওয়ার সময় নাক, মুখ ঢেকে রাখুন এবং ব্যবহৃত টিস্যু ময়লার ঝুড়িতে ফেলুন।

** চোখ সম্পূর্ণ ঠিক না হওয়া পর্যন্ত কন্টাক্ট লেন্স পরা যাবে না।

** ইনফেকশন থাকা অবস্থায় কোন লেন্স পরে থাকলে সেটি ফেলে দিন।

** আক্রান্ত চোখে কোন প্রসাধনী দেওয়া যাবে না।

** অ্যালার্জি এড়াতে কালো চশমা বা সানগ্লাসে চোখ ঢেকে রাখতে পারেন।

** কোনো আইড্রপের মেয়াদ প্যাকেটে এক-দুই বছর থাকলেও একবার এর মুখ খুললে ২৮ দিনের বেশি ব্যবহার করা যাবে না।

* কখন নিজেকে আলাদা রাখবেন

স্কুল বা ডে কেয়ার সেন্টারে অনেক শিশুর মধ্যে এ রোগ ছড়িয়ে পড়লে কিছুদিন শিশুকে আলাদা রাখাই ভালো। যাদের অন্যদের ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে কাজ করতে হয়, একই টেলিফোন বা কম্পিউটার শেয়ার করতে হয় তারা পুরোপুরি সেরে ওঠার আগে কাজে যোগ না দেওয়াই ভালো।

* কাদের ঝুঁকি বেশি

প্রবীণ ও শিশুদের মধ্যে চোখ ওঠা সাধারণ রোগ। শিশুরা স্কুল বা খেলার মাঠ থেকে অন্যের সংস্পর্শে থেকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকেন। বয়স্ক ব্যক্তিদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকায় তারাও ঝুঁকিতে থাকেন। যারা সম্প্রতি শ্বাসনালির সমস্যা যেমন সর্দি, হাঁচি, কাশিতে আক্রান্ত তাদের চোখ ওঠার ঝুঁকি বেশি থাকে। ডায়াবেটিস বা রোগ প্রতিরোধ সমস্যা দুর্বল করে এমন কোনো অসুখ থাকলে বা কাউকে নিয়মিত স্টেরয়েড নিতে হলে তার চোখ ওঠার ঝুঁকি বেশি থাকে। যারা নিয়মিত জনসমাগমস্থল যেমন বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চ ঘাট, ট্রেন স্টেশনে চলাচল করেন তারা সহজেই চোখ ওঠা সংক্রমণে আক্রান্ত হন।

মনে রাখবেন, ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া এন্টিবায়োটিক ড্রপ ব্যবহার করবেন না। স্টেরয়েড ড্রপ ব্যবহার করলে জীবাণুর সংক্রমণ আরও বেড়ে যেতে পারে, এমনকি কর্নিয়া ক্ষতিগ্রস্থও হতে পারে।


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এই বিভাগের আরো খবর

৯৯ রান যোগ করেই শেষ রাজশাহী, রংপুরের বড় জয়জাতীয় ক্রিকেট লিগে তৃতীয় দিন শেষেই জয়ের সুবাস পাচ্ছিল রংপুর বিভাগ। জয়ের জন্য চতুর্থ দিন দরকার ছিল রাজশাহীর চার উইকেট। প্রথম সেশনে রাজশাহীর গোলাম কিবরিয়া কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও সেটি যথেষ্ট ছিল না। মঙ্গলবার রাজশাহীর জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২০১ রান। কিন্তু আগের দিন ৬২ রান করা রাজশাহী আজ আরও ৯৯ রান যোগ করেই থেমে গেছে। তাতে ১০১ রানের বড় জয় পেয়েছে রংপুর। দলটির জয়ের নায়ক আরিফুল হক। সেঞ্চুরির পাশাপাশি তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন তিনি। রাজশাহীর শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার জয়ের সুবাস নিয়েই খেলতে নেমেছিল রংপুর। লিগের চতুর্থ রাউন্ডে সোমবার ম্যাচের তৃতীয় দিন ২৬৩ রানের লক্ষ্য দেয় তারা। কিন্তু শেষ সেশনে ব্যাটিংয়ে নেমে রাজশাহী ৬২ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। চতুর্থ দিনে জয়ের জন্য রংপুরের প্রয়োজন ছিল আরও ৪ উইকেট। তার পর প্রতিপক্ষকে সহজেই ১৬১ রানে অলআউট করেছে। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন গোলাম কিবরিয়া। ৬৫ বলে খেলেছেন ৫৬ রানের ইনিংস। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসে সানজামুলের ব্যাট থেকে (২৩) রান। রংপুরের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন আরিফুল হক। তৃতীয় দিনে তার চমৎকার বোলিংয়ে মূলত ম্যাচে ফেরে রংপুর। ৩ ওভারে ১০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে রংপুরের জয়ের পথটা তিনিই তৈরি করেছেন। পরপর দুই বলে প্রিতম ও ওয়াসিকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগান তিনি। শেষ পর্যন্ত যদিও কীর্তিটি গড়তে পারেননি। এছাড়া রবিউল হক, আব্দুল গাফফার ও আবু হাসিম প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট নেন। শুরুতে টস হেরে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছিল রংপুর। প্রথম ইনিংসে আরিফুলের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে ভর করে ১৮৯ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় তারা। আরিফুল ছাড়া দলের সবাই ছিলেন ব্যর্থ। ১৬১ বলে ১০৩ রানে সতীর্থদের আসা যাওয়ার মিছিলের সাক্ষী হয়েছেন তিনি। রংপুরকে অল্পরানে গুটিয়ে দেওয়ার নায়ক ছিলেন সাব্বির হোসেন। তিনি একাই নেন ছয়টি উইকেট। এরপর রাজশাহী তাদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান ও রবিউল হকের বোলিংয়ে ১৮৯ রানে থামে দলটির ইনিংস। সাব্বির হোসেন ৪৭ ও ওয়াইসি সিদ্দিকি খেলেন ৩৯ রানের ইনিংস। জবাবে রংপুরের টপ অর্ডার ভালো শুরুর পরও ইনিংস বড় করতে পারেনি। অধিনায়ক আকবর আলী ৭৭ রানের ইনিংস খেলে দলকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করেছেন। তাছাড়া তানভীর হায়দার (৪০), মিম মোসাদ্দেক (৩৩), চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান (৩২) রানের ইনিংস খেলেছেন। তাদের অবদানে রংপুরের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৬২ রান।