• ঢাকা, বাংলাদেশ সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৪১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
রাজশাহী রুটে একটি পুরো ট্রেন ভাড়া করেছেন সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুন্না খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা এখনও অপরিবর্তিত-বিএনপি আজ বিশ্বে সর্বোচ্চ বায়ুদূষণ ঢাকায় ঢাবি ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা নামল ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রিতে নির্বাচন নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে-ড. আসাদুজ্জামান রিপন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘিরে রাজশাহীতে জমজমাট মেস ব্যবসা, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা আরও পেছাল খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রা সোমবার থেকেই খুলছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আজ মধ্যরাতে অথবা কাল ভোরে খালেদা জিয়াকে লন্ডন নেয়া হবে আরও ৩৬ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করলো বিএনপি

পদ না পেয়ে পদত্যাগ করলেন বিএনপি নেতা

Reporter Name / ১৩৩ Time View
Update : সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২২

প্রত্যাশিত পদ না পেয়ে পদত্যাগ করেছেন গাজীপুর বিএনপির এক নেতা। পদত্যাগী ওই নেতা হলেন জেলার নতুন কমিটির কৃষিবিষয়ক সম্পাদক খলিলুর রহমান।

পদত্যাগ করে জেলার নতুন কমিটির কৃষিবিষয়ক সম্পাদক ও কাপাসিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি খলিলুর রহমান বলেন, টাকায় রাজনীতি হয় না। যোগ্যদের যথাযথ সম্মান না করায় বঞ্চিত করাই আমি পদত্যাগ করেছি।

কেন্দ্রীয় কর্মসূচি বাস্তবায়ন ও আন্দোলনের মাঠ চাঙ্গা রাখতে মিটিং-ছিলে শামিল হতে সক্ষম ব্যক্তিদের নিয়েই ৫ সেপ্টেম্বর ১৫১ সদস্যবিশিষ্ট জেলার পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গাজীপুর জেলা বিএনপির নীতিনির্ধারকরা। তবে তৃণমূলের ত্যাগী ও অভিজ্ঞদের কমিটিতে না রাখা, অযোগ্যদের অন্তর্ভুক্ত এবং একই ব্যক্তিকে একাধিক পদে রাখায় চাপা ও ক্ষোভ বিরাজমান নেতাকর্মীদের মধ্যে।

গাজীপুর জেলার উপজেলার তৃণমূল নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির রাজনীতি করে হামলা-মামলার শিকার হয়েও দলের জন্য কাজ করছেন, তারা এ কমিটিতে নেই। তাদের মধ্যে কাপাসিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও গাজীপুর জেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা উবায়েদুল্লাহ, একই উপজেলার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক এমদাদুল হোসেন, কাপাসিয়া ডিগ্রি কলেজের ভিপি ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জামাল উদ্দিন আহমেদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম ও সদ্য বিদায়ী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক কফিল উদ্দিন। জেলার কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সোলাইমান আলম, শ্রীপুর উপজেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও কেন্দ্রীয় ওলামা দলের সভাপতি পীরজাদা রুহুল আমীন, সাবেক সভাপতি সিরাজ উদ্দিন কাইয়া।

রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় ১৬ মামলার আসামি কালীগঞ্জের জামালপুর কলেজের সাবেক ভিপি, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান খান লাবলু বলেন, ব্যক্তিগত মতবিরোধ থাকতেই পারে। কিন্তু কমিটিতে সবার মতামতের গুরুত্ব দেওয়া উচিত ছিল। আগামীতে দলের আন্দোলনে যার নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে আমি মনে করি।

এ বিষয়ে কাপাসিয়া উপজেলা বিএনপির সদ্য বিদায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন সেলিম বলেন, তৃণমূলে অনেক ত্যাগী নেতাদের যারা মামলা-হামলার শিকার হয়েছেন তাদের বাদ দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে নতুন কমিটিতে পথবঞ্চিত গাজীপুর জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও শ্রীপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সিরাজ উদ্দিন কাইয়া বলেন, বর্তমান জেলা কমিটিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশ— ‘এক ব্যক্তির এক পদ’ মানা হয়নি। এখানে কতিপয় ব্যক্তির পছন্দের লোকদের দিয়ে কমিটি হয়েছে। অনেক যোগ্যদের পদের বাইরে রাখা হয়েছে।
এদিকে উপজেলা পর্যায়ে অনেক পদধারী নেতাই জেলা বিএনপিতে পথ পেয়েছেন অভিযোগ রয়েছে। তাদের মধ্যে বরমী ইউনিয়নের সভাপতি আফাজ উদ্দিন প্রধান ও কাপাসিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি রিয়াজুর হান্নান।

একই সঙ্গে দুটি গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকার বিষয়ে জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুর হান্নান বলেন, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্তে দুই পদে দায়িত্ব পেয়েছি।

এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সভাপতি একেএম ফজলুল হক মিলন যুগান্তরকে বলেন, আমরা এখনো শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন কর্মসূচিতে রয়েছি। কেন্দ্রীয় বিএনপির নীতিনির্ধারকরা দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় যে কোনো মুহূর্তে আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। তাই যারা মাঠে আসতে সক্ষম তাদেরই বর্তমান কমিটিতে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এই বিভাগের আরো খবর

৯৯ রান যোগ করেই শেষ রাজশাহী, রংপুরের বড় জয়জাতীয় ক্রিকেট লিগে তৃতীয় দিন শেষেই জয়ের সুবাস পাচ্ছিল রংপুর বিভাগ। জয়ের জন্য চতুর্থ দিন দরকার ছিল রাজশাহীর চার উইকেট। প্রথম সেশনে রাজশাহীর গোলাম কিবরিয়া কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও সেটি যথেষ্ট ছিল না। মঙ্গলবার রাজশাহীর জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২০১ রান। কিন্তু আগের দিন ৬২ রান করা রাজশাহী আজ আরও ৯৯ রান যোগ করেই থেমে গেছে। তাতে ১০১ রানের বড় জয় পেয়েছে রংপুর। দলটির জয়ের নায়ক আরিফুল হক। সেঞ্চুরির পাশাপাশি তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন তিনি। রাজশাহীর শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার জয়ের সুবাস নিয়েই খেলতে নেমেছিল রংপুর। লিগের চতুর্থ রাউন্ডে সোমবার ম্যাচের তৃতীয় দিন ২৬৩ রানের লক্ষ্য দেয় তারা। কিন্তু শেষ সেশনে ব্যাটিংয়ে নেমে রাজশাহী ৬২ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। চতুর্থ দিনে জয়ের জন্য রংপুরের প্রয়োজন ছিল আরও ৪ উইকেট। তার পর প্রতিপক্ষকে সহজেই ১৬১ রানে অলআউট করেছে। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন গোলাম কিবরিয়া। ৬৫ বলে খেলেছেন ৫৬ রানের ইনিংস। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসে সানজামুলের ব্যাট থেকে (২৩) রান। রংপুরের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন আরিফুল হক। তৃতীয় দিনে তার চমৎকার বোলিংয়ে মূলত ম্যাচে ফেরে রংপুর। ৩ ওভারে ১০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে রংপুরের জয়ের পথটা তিনিই তৈরি করেছেন। পরপর দুই বলে প্রিতম ও ওয়াসিকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগান তিনি। শেষ পর্যন্ত যদিও কীর্তিটি গড়তে পারেননি। এছাড়া রবিউল হক, আব্দুল গাফফার ও আবু হাসিম প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট নেন। শুরুতে টস হেরে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছিল রংপুর। প্রথম ইনিংসে আরিফুলের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে ভর করে ১৮৯ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় তারা। আরিফুল ছাড়া দলের সবাই ছিলেন ব্যর্থ। ১৬১ বলে ১০৩ রানে সতীর্থদের আসা যাওয়ার মিছিলের সাক্ষী হয়েছেন তিনি। রংপুরকে অল্পরানে গুটিয়ে দেওয়ার নায়ক ছিলেন সাব্বির হোসেন। তিনি একাই নেন ছয়টি উইকেট। এরপর রাজশাহী তাদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান ও রবিউল হকের বোলিংয়ে ১৮৯ রানে থামে দলটির ইনিংস। সাব্বির হোসেন ৪৭ ও ওয়াইসি সিদ্দিকি খেলেন ৩৯ রানের ইনিংস। জবাবে রংপুরের টপ অর্ডার ভালো শুরুর পরও ইনিংস বড় করতে পারেনি। অধিনায়ক আকবর আলী ৭৭ রানের ইনিংস খেলে দলকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করেছেন। তাছাড়া তানভীর হায়দার (৪০), মিম মোসাদ্দেক (৩৩), চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান (৩২) রানের ইনিংস খেলেছেন। তাদের অবদানে রংপুরের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৬২ রান।