বাল্যবিবাহে শীর্ষে বাংলাদেশ

বাল্যবিবাহে শীর্ষে বাংলাদেশ

দারিদ্র্য আর প্রাচুর্যের বৈষম্যের এ ঢাকায় একটি বড় জনগোষ্ঠীর জীবন কাটে বস্তিতে। মিরপুরের মুসলিম পাড়া এমনই একটি বস্তি।

এ গলিতেই একটি ঘরে কোনরকমে থাকে চাদনী। বয়স ১৭ বছর। দুবছর আগেই বিয়ে হয়ে যায় তার। এখন এক সন্তানের মা। দেড় বছরের সন্তান আর সংসার সামলেই দিন কাটছে তার। অভাবের সংসারে নিজের স্বপ্ন আর আহ্লাদকে দিতে হয়েছে বিসর্জন।

চাদনীর মতো এ পাড়ায় প্রায় ৯০ ভাগ মেয়েরই ১৮ বছর বয়সের আগেই বসে যেতে হয় বিয়ের পিড়িতে।

অভিভাবকদের কাছে জানতে চাইলে তারা বললেন, অর্থনৈতিক, সামাজিক নিরাপত্তাহীনতায় এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হন।

পরিসংখ্যান বলছে, দেশের প্রায় ৭০ শতাংশ নারীই বিবাহিত জীবনে পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হন। এমন এক প্রেক্ষাপটে কন্যাশিশুটির ভবিষ্যত হিসেবে বাল্যবিবাহ কোনো আকর্ষনীয় সমাধান হওয়ার কথা নয়। তারপরও তারা এমন সিদ্ধান্ত কেন নিচ্ছেন? বিষয়টি খতিয়ে দেখা জরুরি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সচেতনতার পাশাপাশি প্রত্যন্ত অঞ্চলে বাল্যবিয়ে’র স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে আরো বেশি প্রচারণার প্রয়োজন বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদেরও ক্যাম্পেইনে সম্পৃক্ত করার পরামর্শ তাদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *