ড. ইউনূসের শ্রম আইনের মামলা বাতিলের আবেদন

শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে ফৌজদারি আইনের ৩০৩ (ঙ) ও ৩০৭ ধারায় করা মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন শান্তিতে নোবেল বিজয়ী গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আবেদনে মামলা বাতিল চাওয়া হয়েছে।

হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করা হয়। রোববার (১২ ডিসেম্বর) সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহফুজুর রহমান লিখন হাইকোর্টের বিচারপতি মো. হাবিবুল গণি ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে বিষয়টি আদেশের জন্য রয়েছে। গত ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে ফৌজদারি আইনের ৩০৩ (ঙ) ও ৩০৭ ধারায় বাদী হয়ে এ মামলা করেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান। ড. ইউনূস ছাড়াও এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানকে মামলায় বিবাদী করা হয়েছে। পৃথকভাবে ওই তিনজনও আবেদন করেছেন। মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪ এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। আদালত ১২ অক্টোবরের মধ্যে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেন। মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তর ড. ইউনূসের গ্রামীণ টেলিকম পরিদর্শনে গেলে সেখানে শ্রম আইনের কিছু লঙ্ঘন নজরে আসে। এর মধ্যে রয়েছে- ১০১ জন শ্রমিক-কর্মচারীকে স্থায়ী করার কথা থাকলেও তাদের স্থায়ী করা হয়নি; শ্রমিকদের অংশগ্রহণের তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি; এছাড়া কোম্পানির লভ্যাংশের পাঁচ শতাংশ শ্রমিকদের দেওয়ার কথা থাকলেও তা তাদের দেওয়া হয়নি এসব অভিযোগের ভিত্তিতে ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তর বাদী হয়ে ফৌজদারি আইনে মামলা করে।