গ্রেফতার আলেমদের মুক্তি ও ঈদুল ফিতরের পরপরই কওমি মাদ্রাসা খুলে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় ৩০জন আলেম।
শনিবার গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানান তারা।
বিবৃতিতে তারা বলেন, পবিত্র রমজান রহমত, মাগফেরাত ও নাজাতের মাস। আল্লাহর দয়া লাভের মাধ্যমে মানুষের পরিশুদ্ধ হয়ে ওঠার মাস। মানুষের প্রতি মানুষের সহমর্মিতার মাস। আমরা অত্যন্ত দুঃখের সাথে লক্ষ্য করছি যে, কিছু ইসলামবিদ্বেষী ব্যক্তি সরকারের কর্মকাণ্ডকে ইসলাম বিরোধী প্রমাণ এবং সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করে জনগণকে সরকারের ওপর ক্ষুব্ধ করার আত্মঘাতী তৎপরতায় মেতে উঠেছে। এসব কারণে মাদ্রাসা শিক্ষা ও আলেম-ওলামাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী যে অবদান রেখে চলেছেন, তা ম্লান হতে চলছে।
বিবৃতিতে আলেমরা বলেন, কওমি মাদ্রাসা জাতিকে সঠিক ধর্মীয় দিশা দেয়ার সাথে সাথে লাখ লাখ এতিম, অসহায় ও সামাজিকভাবে অবহেলিত প্রজন্মকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে ভূমিকা পালন করছে। কিন্তু বর্তমানে মাদ্রাসা বন্ধ থাকার কারণে লাখ লাখ এতিম, গরিব, অসহায় শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া ও জীবনযাত্রা থমকে যাবার অবস্থা তৈরি হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর কাছে আহ্বান জানাই, ঈদের আগেই গ্রেফতারকৃত নিরপরাধ আলেমদের মুক্তি দিন এবং ঈদের পর মাদ্রাসাগুলো খুলে দেয়ার অনুমতি দিন। আমরা দোয়া করি- আল্লাহ রাব্বুল আলামীন দেশজাতিকে করোনা মহামারীসহ সকল আজাব থেকে রক্ষা করেন। করোনা ভাইরাস ও অর্থনৈতিক বিপর্যয় দূর করে মানুষকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে দেন।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন মাওলানা নুরুল হক (সভাপতি, কওমি মাদ্রাসা সংগঠন কুমিল্লা), শায়খুল হাদীস মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরী (সিলেট), মাওলানা বাহাউদ্দিন জাকারিয়া (আরজাবাদ), মুফতি গোলাম রহমান (দারুল উলুম ঢাকা), মাওলানা আনোয়ারুল করিম (যশোর), ড. মাওলানা গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, (জামিয়া আরাবিয়্যা নতুনবাগ ঢাকা), প্রফেসর মাওলানা তৈয়বুর রহমান নিজামী, (রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়), মাওলানা শহিদুল ইসলাম আনসারী, মাওলানা জামালুদ্দিন মাহমুদ, (কাটাখালী মাদ্রাসা রাজশাহী), মাওলানা আব্দুর রহিম ইসলামাবাদী, (নাজিরহাট চট্টগ্রাম), মাওলানা আব্দুল মাবুদ (হাকিমপুর বাগেরহাট), মাওলানা মনিরুল হক কাসেমী (কুমিল্লা), মুফতি আরিফ বিল্লাহ, (জামিয়া কারিমিয়া ডেমরা), মাওলানা আব্দুল হক কাওসারী (জামিয়া আশরাফিয়া মাদানিয়া, পটুয়াখালী), মুফতি রেজাউল করিম, (শায়খুল হাদীস, জামিয়া কারিমিয়া, ডেমরা, ঢাকা), মুফতি আব্দুল হামিদ (কুষ্টিয়া), মাওলানা মনির আহমদ নদিম (চন্দনাইশ, চট্টগ্রাম), মাওলানা শামসুল আলম (সাতকানিয়া, চট্টগ্রাম) মাওলানা সৈয়দ মাসউদ আহমদ (মৌলভীবাজার), মুফতি রশিদ বিন ওয়াক্কাস (মাদানী নগর, যশোর), মুফতি আহমদ আলী (মিফতাহুল উলুম ময়মনসিংহ), মাওলানা মাহমুদুল হাসান সালমানী (গফরগাঁও, ময়মনসিংহ), মাওলানা আব্দুল মালেক চৌধুরী (দারুল উলুম সিলেট) মাওলানা মেরাজুল হক (জামালপুর), মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক (ফুলপুর, ময়মনসিংহ) মাওলানা জাবের হোসাইন (ধলহারা, মাগুরা), মুফতি শিহাবুদ্দিন কাসেমী (গোপালগঞ্জ), মুফতি গোলাম কিবরিয়া (দর্শনা, চুয়াডাঙ্গা), মাওলানা ওসমান গনি (ঝিনাইদহ), মাওলানা রেজাউল করিম (দিনাজপুর), মাওলানা ফজলুল করিম (বগুড়া), মাওলানা রশিদ আহমদ (জামালগঞ্জ, সুনামগঞ্জ)।