• ঢাকা, বাংলাদেশ রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:০২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
রাজশাহী রুটে একটি পুরো ট্রেন ভাড়া করেছেন সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুন্না ঢাবি ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা নামল ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রিতে নির্বাচন নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে-ড. আসাদুজ্জামান রিপন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘিরে রাজশাহীতে জমজমাট মেস ব্যবসা, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা আরও পেছাল খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রা সোমবার থেকেই খুলছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আজ মধ্যরাতে অথবা কাল ভোরে খালেদা জিয়াকে লন্ডন নেয়া হবে আরও ৩৬ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করলো বিএনপি খালেদা জিয়াকে লন্ডন নিতে চায় বিএনপি; সরকারের অনুরোধে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাঠাবে কাতার রাজশাহীতে কাপড়ের দোকানে আগুন, ১৫-২০ লাখ টাকার ক্ষতি

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘিরে রাজশাহীতে জমজমাট মেস ব্যবসা, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা

Reporter Name / ২৫ Time View
Update : শনিবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২৫

প্রিয়জন ডেস্কঃ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘিরে রাজশাহীতে জমজমাট মেস-ছাত্রাবাসের ব্যবসা। তবে এসব আবাসনে অতিমাত্রায় বাণিজ্যিকীকরণে ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা। মেসের সুবিধা নিয়ে শিক্ষার্থী-মালিক উভয়ের আছে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ। এনিয়ে দ্রুতই নগর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বসতে চায় রাকসুসহ ছাত্র প্রতিনিধিরা।

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আদলে ১৮৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত রাজশাহী কলেজ। তখন থেকেই শিক্ষানগর হিসেবে পরিচিত রাজশাহী।

কালের পরিক্রমায় এ নগর এখন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, টেকনিক্যাল স্কুল, ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। এরকম ৮৬টি প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করছে প্রায় ৯৩ হাজার শিক্ষার্থী। যাদের প্রায় ৭৫ শতাংশের নেই আবাসন সুবিধা।

শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকটে যখন মেস-ছাত্রাবাসের নির্ভরতা বাড়ে, তখনি তৈরি হয় সিন্ডিকেটের। মেস মালিকদের জোটবদ্ধ হয়ে ভাড়া বাড়ানো, মেস না ছাড়তে শিক্ষার্থীদের বাধ্য করা এবং স্থানীয় প্রভাব আর অহেতুক বিধিনিষেধে জিম্মি করা হয় তাদের।

শিক্ষার্থীরা জানান, শিক্ষার্থীদের থেকে বেশি টাকা নিলেও খাবার ভালো দেয় না। রুমগুলোও পরিষ্কার থাকে না। টাকা দিলেও সঠিক সময়ে সার্ভিসিং পাচ্ছেন না তারা।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য বলছে তাদের শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজার, যার ৭০শতাংশ থাকে এই ধরনের মেসগুলোতে। যেখানে হাতবাড়ালেই দেয়াল ছোঁয়া যায়। আর এরমধ্যেই শিক্ষার্থীদের আবেগ, অনুভূতি পড়াশোনা, তার পাশাপাশি আছে এ মেস গুলোনের নিত্য সমস্যা, যা নিয়ে থাকতে হয় শিক্ষার্থীদের।

নগরীর তালাইমারি, ডাসমারি, বুদপাড়া, রাণীনগর, দরগাপাড়া ও সবজিপাড়ার মেসগুলো নিয়ে এমন অভিযোগ সবচেয়ে বেশি। তবে, মেস মালিকদের দাবি, স্বল্পখরচে শিক্ষার্থীদের সেবা দেয়ার চেষ্টা করেন তারা। শিক্ষার্থীরাও নানা সংকট সৃষ্টি করছেন বলে অভিযোগ তাদের।

মেস মালিকরা জানান, নিজের সন্তানের মতো তারা সেবা দিয়ে থাকেন। একটি মেয়ের পরীক্ষা যদি রাতে থাকে তাহলে তারা গিয়ে গাড়িতে তুলে দেন। আধুনিক সকল সুযোগ-সুবিধা দেয়া হয় মেসগুলোতে।

এ অবস্থায় মেস পরিচালনায় নীতিমালা প্রণয়ন, নিবন্ধন এবং এর সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতের দাবি তুলেছে শিক্ষার্থী প্রতিনিধিরা।

রাকসু জিএস সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘মেস মালিকদের সঙ্গে বসবো। আমরাও চাই নিদিষ্ট একটি রুলসের মধ্যে তারা আসুক। অন্যথায় আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যদি এ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারি তাহলে এটি প্রশাসনের জন্য চরম ব্যর্থতা।’

শিক্ষার্থীদের নিরাপদ আবাসন ও শিক্ষাভিত্তিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে সমন্বিত উদ্যোগের কথা বলছেন শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকরা।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক বলেন ড. মো. আমিরুল ইসলাম কনক বলেন, ‘বিশেষ কোনো সমিতি অথবা বিশেষ কোনো সংগঠন গঠন করতে পারি। সেই সংগঠনগুলো সরাসরি শিক্ষার্থীদের এ বিষয়গুলো মনিটরিং করবে। নিরাপত্তা থেকে শুরু করে মেস মালিক বনাম শিক্ষার্থী অসন্তোসগুলো তৈরি না হয়। এলাকাবাসীদের সঙ্গে যেন সুসম্পর্ক তৈরি হয় এ ব্যবস্থাওলো গ্রহণ করবে।’

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. ইলিয়াস হোসেন ছাত্র বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কলেজ কর্তপক্ষ এবং সিটি করপোরেশন এদের একটি বিশাল দায়িত্ব আছে। মাালিকপক্ষের সঙ্গে নেগোসিয়েশন ও অ্যাকাউন্টিবিলিটির মধ্যে নিয়ে আসা।’

৫ আগস্টের শিক্ষানগরী রাজশাহীতে মেস মালিক সমিতি গড়ে উঠলেও রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ ছিলো । মেস পরিচালনা তদারকিতে তাই বিশ্ববিদ্যালয়, পুলিশ ও নগর কর্তৃপক্ষের অংশগ্রহণ চান শিক্ষার্থীরা।


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এই বিভাগের আরো খবর

৯৯ রান যোগ করেই শেষ রাজশাহী, রংপুরের বড় জয়জাতীয় ক্রিকেট লিগে তৃতীয় দিন শেষেই জয়ের সুবাস পাচ্ছিল রংপুর বিভাগ। জয়ের জন্য চতুর্থ দিন দরকার ছিল রাজশাহীর চার উইকেট। প্রথম সেশনে রাজশাহীর গোলাম কিবরিয়া কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও সেটি যথেষ্ট ছিল না। মঙ্গলবার রাজশাহীর জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২০১ রান। কিন্তু আগের দিন ৬২ রান করা রাজশাহী আজ আরও ৯৯ রান যোগ করেই থেমে গেছে। তাতে ১০১ রানের বড় জয় পেয়েছে রংপুর। দলটির জয়ের নায়ক আরিফুল হক। সেঞ্চুরির পাশাপাশি তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন তিনি। রাজশাহীর শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার জয়ের সুবাস নিয়েই খেলতে নেমেছিল রংপুর। লিগের চতুর্থ রাউন্ডে সোমবার ম্যাচের তৃতীয় দিন ২৬৩ রানের লক্ষ্য দেয় তারা। কিন্তু শেষ সেশনে ব্যাটিংয়ে নেমে রাজশাহী ৬২ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। চতুর্থ দিনে জয়ের জন্য রংপুরের প্রয়োজন ছিল আরও ৪ উইকেট। তার পর প্রতিপক্ষকে সহজেই ১৬১ রানে অলআউট করেছে। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন গোলাম কিবরিয়া। ৬৫ বলে খেলেছেন ৫৬ রানের ইনিংস। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসে সানজামুলের ব্যাট থেকে (২৩) রান। রংপুরের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন আরিফুল হক। তৃতীয় দিনে তার চমৎকার বোলিংয়ে মূলত ম্যাচে ফেরে রংপুর। ৩ ওভারে ১০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে রংপুরের জয়ের পথটা তিনিই তৈরি করেছেন। পরপর দুই বলে প্রিতম ও ওয়াসিকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগান তিনি। শেষ পর্যন্ত যদিও কীর্তিটি গড়তে পারেননি। এছাড়া রবিউল হক, আব্দুল গাফফার ও আবু হাসিম প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট নেন। শুরুতে টস হেরে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছিল রংপুর। প্রথম ইনিংসে আরিফুলের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে ভর করে ১৮৯ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় তারা। আরিফুল ছাড়া দলের সবাই ছিলেন ব্যর্থ। ১৬১ বলে ১০৩ রানে সতীর্থদের আসা যাওয়ার মিছিলের সাক্ষী হয়েছেন তিনি। রংপুরকে অল্পরানে গুটিয়ে দেওয়ার নায়ক ছিলেন সাব্বির হোসেন। তিনি একাই নেন ছয়টি উইকেট। এরপর রাজশাহী তাদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান ও রবিউল হকের বোলিংয়ে ১৮৯ রানে থামে দলটির ইনিংস। সাব্বির হোসেন ৪৭ ও ওয়াইসি সিদ্দিকি খেলেন ৩৯ রানের ইনিংস। জবাবে রংপুরের টপ অর্ডার ভালো শুরুর পরও ইনিংস বড় করতে পারেনি। অধিনায়ক আকবর আলী ৭৭ রানের ইনিংস খেলে দলকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করেছেন। তাছাড়া তানভীর হায়দার (৪০), মিম মোসাদ্দেক (৩৩), চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান (৩২) রানের ইনিংস খেলেছেন। তাদের অবদানে রংপুরের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৬২ রান।