• ঢাকা, বাংলাদেশ শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৪২ অপরাহ্ন
শিরোনাম
রাজশাহী রুটে একটি পুরো ট্রেন ভাড়া করেছেন সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুন্না দেশে পৌঁছেছে সুদানে শান্তিরক্ষা মিশনে নিহত ৬ সেনাসদস্যের মরদেহ একের পর এক মিছিল মানিক মিয়া এভিনিউয়ে রাজশাহীতে হিমেল বাতাসে বেড়েছে শীতের তীব্রতা লন্ডনের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন ডা. জুবাইদা প্রাপ্য সম্মান পেলে রাশিয়া আর কোনো যুদ্ধে জড়াবে না: পুতিন শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে আজ (শনিবার) একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ওসমান হাদি মারা গেছেন ওসমান হাদিকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয় সাভারের রিসোর্টে, তিন ঘণ্টা চলে বৈঠক আইপিএলের পুরো আসরে খেলার সুযোগ পাচ্ছেন না মোস্তাফিজ হাদির স্বাস্থ্য স্থিতিশীল হওয়ার অপেক্ষায়; ব্রেন সক্রিয় করতে প্রয়োজন অপারেশন

মুশফিকের ১০০-তে ১০০

Reporter Name / ৪১ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর, ২০২৫

প্রিয়জন ডেস্কঃ ক্যারিয়ারের মাইলফলক শততম টেস্ট ম্যাচটি স্মরণীয় করে রাখলেন মুশফিকুর রহিম। গতকাল (বুধবার, ১৯ নভেম্বর) ঢাকা টেস্টের প্রথম দিনে ৯৯ রানে অপরাজিত থাকা এই ব্যাটার আজ (বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর) সকালে তুলে নিলেন দুর্দান্ত সেঞ্চুরি। ৪ উইকেটে ২৯২ রান নিয়ে দিনের শুরু করে বাংলাদেশ। প্রথম ওভারটি সতর্কভাবে খেলেন মুশফিক, তবে পরের ওভারেই ইতিহাস গড়া মুহূর্তটি স্পর্শ করেন তিনি। ১৯৫ বল খেলেই তুলে নেন ক্যারিয়ারের ১৩তম টেস্ট সেঞ্চুরি, যেখানে ছিল মাত্র ৫টি চার।

১৪৭ বছরের টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে মুশফিকই মাত্র ১১তম ব্যাটার, যিনি নিজের শততম টেস্টে সেঞ্চুরি করলেন। এই কীর্তির সূচনা হয়েছিল ১৯৬৮ সালে ইংল্যান্ডের কলিন কাউড্রের মাধ্যমে। এরপর পাকিস্তানের জাভেদ মিয়াঁদাদ, অ্যালেক স্টুয়ার্ট, ইনজামাম-উল-হক, কার্টলি গ্রিনিজ, রিকি পন্টিং, গ্রায়েম স্মিথ, হাশিম আমলা, জো রুট ও ডেভিড ওয়ার্নার যুক্ত হন এই সম্মানজনক তালিকায়।

তালিকার সবচেয়ে অনন্য কীর্তিটি অবশ্য রিকি পন্টিংয়ের—২০০৬ সালে শততম টেস্টে দুই ইনিংসেই করেছিলেন সেঞ্চুরি। শততম টেস্টে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোরের রেকর্ডটি জো রুটের—চেন্নাইয়ে ভারতের বিপক্ষে তার ২১৮ রানের ইনিংস।

২০২২ সালে ডেভিড ওয়ার্নার ২০০ রানের ইনিংস খেলে এই তালিকার সর্বশেষ সদস্য হয়েছিলেন। আর আজ এই অভিজাত অধ্যায়ে নতুন নাম যোগ করলেন বাংলাদেশের মুশফিকুর রহিম।


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এই বিভাগের আরো খবর

৯৯ রান যোগ করেই শেষ রাজশাহী, রংপুরের বড় জয়জাতীয় ক্রিকেট লিগে তৃতীয় দিন শেষেই জয়ের সুবাস পাচ্ছিল রংপুর বিভাগ। জয়ের জন্য চতুর্থ দিন দরকার ছিল রাজশাহীর চার উইকেট। প্রথম সেশনে রাজশাহীর গোলাম কিবরিয়া কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও সেটি যথেষ্ট ছিল না। মঙ্গলবার রাজশাহীর জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২০১ রান। কিন্তু আগের দিন ৬২ রান করা রাজশাহী আজ আরও ৯৯ রান যোগ করেই থেমে গেছে। তাতে ১০১ রানের বড় জয় পেয়েছে রংপুর। দলটির জয়ের নায়ক আরিফুল হক। সেঞ্চুরির পাশাপাশি তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন তিনি। রাজশাহীর শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার জয়ের সুবাস নিয়েই খেলতে নেমেছিল রংপুর। লিগের চতুর্থ রাউন্ডে সোমবার ম্যাচের তৃতীয় দিন ২৬৩ রানের লক্ষ্য দেয় তারা। কিন্তু শেষ সেশনে ব্যাটিংয়ে নেমে রাজশাহী ৬২ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। চতুর্থ দিনে জয়ের জন্য রংপুরের প্রয়োজন ছিল আরও ৪ উইকেট। তার পর প্রতিপক্ষকে সহজেই ১৬১ রানে অলআউট করেছে। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন গোলাম কিবরিয়া। ৬৫ বলে খেলেছেন ৫৬ রানের ইনিংস। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসে সানজামুলের ব্যাট থেকে (২৩) রান। রংপুরের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন আরিফুল হক। তৃতীয় দিনে তার চমৎকার বোলিংয়ে মূলত ম্যাচে ফেরে রংপুর। ৩ ওভারে ১০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে রংপুরের জয়ের পথটা তিনিই তৈরি করেছেন। পরপর দুই বলে প্রিতম ও ওয়াসিকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগান তিনি। শেষ পর্যন্ত যদিও কীর্তিটি গড়তে পারেননি। এছাড়া রবিউল হক, আব্দুল গাফফার ও আবু হাসিম প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট নেন। শুরুতে টস হেরে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছিল রংপুর। প্রথম ইনিংসে আরিফুলের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে ভর করে ১৮৯ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় তারা। আরিফুল ছাড়া দলের সবাই ছিলেন ব্যর্থ। ১৬১ বলে ১০৩ রানে সতীর্থদের আসা যাওয়ার মিছিলের সাক্ষী হয়েছেন তিনি। রংপুরকে অল্পরানে গুটিয়ে দেওয়ার নায়ক ছিলেন সাব্বির হোসেন। তিনি একাই নেন ছয়টি উইকেট। এরপর রাজশাহী তাদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান ও রবিউল হকের বোলিংয়ে ১৮৯ রানে থামে দলটির ইনিংস। সাব্বির হোসেন ৪৭ ও ওয়াইসি সিদ্দিকি খেলেন ৩৯ রানের ইনিংস। জবাবে রংপুরের টপ অর্ডার ভালো শুরুর পরও ইনিংস বড় করতে পারেনি। অধিনায়ক আকবর আলী ৭৭ রানের ইনিংস খেলে দলকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করেছেন। তাছাড়া তানভীর হায়দার (৪০), মিম মোসাদ্দেক (৩৩), চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান (৩২) রানের ইনিংস খেলেছেন। তাদের অবদানে রংপুরের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৬২ রান।