• ঢাকা, বাংলাদেশ সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৪১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
রাজশাহী রুটে একটি পুরো ট্রেন ভাড়া করেছেন সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুন্না খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা এখনও অপরিবর্তিত-বিএনপি আজ বিশ্বে সর্বোচ্চ বায়ুদূষণ ঢাকায় ঢাবি ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা নামল ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রিতে নির্বাচন নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে-ড. আসাদুজ্জামান রিপন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘিরে রাজশাহীতে জমজমাট মেস ব্যবসা, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা আরও পেছাল খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রা সোমবার থেকেই খুলছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আজ মধ্যরাতে অথবা কাল ভোরে খালেদা জিয়াকে লন্ডন নেয়া হবে আরও ৩৬ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করলো বিএনপি

নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ একটি জঙ্গী সংগঠন-সাদিক কায়েম

Reporter Name / ৪৩ Time View
Update : মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৫

প্রিয়জন ডেস্কঃ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক ও ডাকসুর ভিপি সাদেক কায়েম বলেছেন, সমগ্র দেশের মুক্তিকামী ছাত্র-জনতাকে খুনি হাসিনার দোসরদের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানাই।

আজ মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) ‘রান উইথ জবি শিবির’-এ অংশ নিয়ে এ কথা বলেন তিনি। এ দিন সকাল সাড়ে ৬টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে দুই হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে নিয়ে কর্মসূচিটি শুরু হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক হয়ে কোর্ট এলাকা, রায় সাহেববাজার মোড়, ধোলাইখাল হয়ে ধূপখোলা মাঠে গিয়ে এটি শেষ হয়।

সাদিক কায়েম বলেন, খুনি হাসিনা ও তার দোসরদের বিরুদ্ধে আমাদের সর্বদা সজাগ থাকতে হবে। জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদের দোসররা বাংলাদেশ থেকে পালিয়েছে। আগামীর বাংলাদেশ খুনি হাসিনা ও তার নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ-যুবলীগের ঠিকানা হবে না। ফ্যাসিবাদের দোসররা এখনো বিভিন্ন স্থানে গুপ্ত অবস্থায় আছে। আমরা সবাইকে শনাক্ত করে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করাব। তাদেরকে ধরে পুলিশের হাতে সোপর্দ করতে হবে। খুনি হাসিনাসহ তার দোসরদের বাংলাদেশ থেকে সমূলে উৎপাটন করতে হবে। নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ একটি জঙ্গী সংগঠন। এদেরকে প্রতিরোধ করতে হবে।

ডাকসু ভিপি বলেন, জকসু নির্বাচনের তারিখ পেছানো হয়েছে। আমার মনে হয় জকসুর তারিখ পেছানোর জন্য ওপর থেকে কারো ওহি নাজিল হয়েছে। কর্তৃপক্ষের কাছে আমার আহ্বান– আপনারা পক্ষপাতিত্ব করবেন না। আমরা চাই না শিক্ষক বনাম ছাত্র পরিস্থিতি তৈরি হোক।

এসময় তিনি বলেন, ‘রান উইথ শিবির’ কর্মসূচিতে আজ আমি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উৎসব দেখতে পেয়েছি। আজ এই কর্মসূচি থেকে মেসেজ হলো– আমরা তরুণ প্রজন্ম যদি দেশের জন্য কিছু করতে চাই তাহলে আমাদের ফিজিক্যালি ফিট থাকতে হবে। আমরা দেখছি আমাদের তরুণ প্রজন্ম বিভিন্ন ধরনের দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে। এর একটা কারণ হলো শরীরচর্চা না করা। প্রতিষ্ঠার পর থেকে ছাত্রশিবির এ ধরনের ক্রিয়েটিভ কাজগুলো করে আসছে। ফ্যাসিস্ট আমলে জনপরিসরে আমাদের এ কার্যক্রমগুলো করতে দেওয়া হয়নি।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন শিবিরের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক সিগবাতুল্লাহ সিগবা, আন্তর্জাতিক সম্পাদক মু. মু’তাসিম বিল্লাহ শাহেদী, কেন্দ্রীয় বিতর্ক সম্পাদক ও জবি শিবিরের সাবেক সভাপতি আসাদুল ইসলাম, শাখা শিবিরের সাবেক সভাপতি মাকসুদুর রহমান, শাখা সভাপতি রিয়াজুর ইসলাম, সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল আলিম আরিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ জাহেদ, অফিস সম্পাদক ইব্রাহিম খলিলসহ সংগঠনের অন্য নেতাকর্মীরা।


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এই বিভাগের আরো খবর

৯৯ রান যোগ করেই শেষ রাজশাহী, রংপুরের বড় জয়জাতীয় ক্রিকেট লিগে তৃতীয় দিন শেষেই জয়ের সুবাস পাচ্ছিল রংপুর বিভাগ। জয়ের জন্য চতুর্থ দিন দরকার ছিল রাজশাহীর চার উইকেট। প্রথম সেশনে রাজশাহীর গোলাম কিবরিয়া কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও সেটি যথেষ্ট ছিল না। মঙ্গলবার রাজশাহীর জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২০১ রান। কিন্তু আগের দিন ৬২ রান করা রাজশাহী আজ আরও ৯৯ রান যোগ করেই থেমে গেছে। তাতে ১০১ রানের বড় জয় পেয়েছে রংপুর। দলটির জয়ের নায়ক আরিফুল হক। সেঞ্চুরির পাশাপাশি তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন তিনি। রাজশাহীর শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার জয়ের সুবাস নিয়েই খেলতে নেমেছিল রংপুর। লিগের চতুর্থ রাউন্ডে সোমবার ম্যাচের তৃতীয় দিন ২৬৩ রানের লক্ষ্য দেয় তারা। কিন্তু শেষ সেশনে ব্যাটিংয়ে নেমে রাজশাহী ৬২ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। চতুর্থ দিনে জয়ের জন্য রংপুরের প্রয়োজন ছিল আরও ৪ উইকেট। তার পর প্রতিপক্ষকে সহজেই ১৬১ রানে অলআউট করেছে। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন গোলাম কিবরিয়া। ৬৫ বলে খেলেছেন ৫৬ রানের ইনিংস। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসে সানজামুলের ব্যাট থেকে (২৩) রান। রংপুরের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন আরিফুল হক। তৃতীয় দিনে তার চমৎকার বোলিংয়ে মূলত ম্যাচে ফেরে রংপুর। ৩ ওভারে ১০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে রংপুরের জয়ের পথটা তিনিই তৈরি করেছেন। পরপর দুই বলে প্রিতম ও ওয়াসিকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগান তিনি। শেষ পর্যন্ত যদিও কীর্তিটি গড়তে পারেননি। এছাড়া রবিউল হক, আব্দুল গাফফার ও আবু হাসিম প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট নেন। শুরুতে টস হেরে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছিল রংপুর। প্রথম ইনিংসে আরিফুলের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে ভর করে ১৮৯ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় তারা। আরিফুল ছাড়া দলের সবাই ছিলেন ব্যর্থ। ১৬১ বলে ১০৩ রানে সতীর্থদের আসা যাওয়ার মিছিলের সাক্ষী হয়েছেন তিনি। রংপুরকে অল্পরানে গুটিয়ে দেওয়ার নায়ক ছিলেন সাব্বির হোসেন। তিনি একাই নেন ছয়টি উইকেট। এরপর রাজশাহী তাদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান ও রবিউল হকের বোলিংয়ে ১৮৯ রানে থামে দলটির ইনিংস। সাব্বির হোসেন ৪৭ ও ওয়াইসি সিদ্দিকি খেলেন ৩৯ রানের ইনিংস। জবাবে রংপুরের টপ অর্ডার ভালো শুরুর পরও ইনিংস বড় করতে পারেনি। অধিনায়ক আকবর আলী ৭৭ রানের ইনিংস খেলে দলকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করেছেন। তাছাড়া তানভীর হায়দার (৪০), মিম মোসাদ্দেক (৩৩), চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান (৩২) রানের ইনিংস খেলেছেন। তাদের অবদানে রংপুরের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৬২ রান।