• ঢাকা, বাংলাদেশ মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ১১:০৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম
রাজশাহী রুটে একটি পুরো ট্রেন ভাড়া করেছেন সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুন্না নির্বাচনি প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছেন ৪৮ হাজার পুলিশ সদস্য আশরাফুলের কোচ হওয়া প্রসঙ্গে যা বলছেন সাবেকরা চট্টগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪ নেতাকে বিএনপির বহিষ্কার ইসলামি দলগুলোর এক বাক্সে ভোট হবে-ডা. তাহের ছাব্বিশের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন, সরকারের সংকল্প পুনর্ব্যক্ত যৌথ সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে জামায়াতসহ ৮ দল খুলনায় বিএনপির কার্যালয়ে দুর্বৃত্তের বোমা হামলায় নিহত ১, আহত ২ দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে ভারতীয় নারীদের প্রথম বিশ্বকাপ জয় জেলহত্যা দিবস আজ চার বিশ্ববিদ্যায়ে শিবিরের ভূমিধস জয় রহস্যজনক-নুরুল হক নুর

মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে কেপ টাউনে আন্তর্জাতিক ঘুড়ি উৎসব

Reporter Name / ১৩ Time View
Update : শনিবার, ১ নভেম্বর, ২০২৫

প্রিয়জন ডেস্কঃ মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখবে ঘুড়ি। যার জন্য নিয়মিত উড়াতে হবে এটি। দক্ষিণ আফ্রিকার রাজধানী কেপ টাউনে আন্তর্জাতিক ঘুড়ি উৎসবে এমনই বার্তা দিয়েছেন আয়োজকরা। প্রতিবছরই দেশটিতে আয়োজন করা হয় এ উৎসবের। যার প্রাপ্ত অর্থ ব্যয় করা হয় মানসিক স্বাস্থ্য চিকিৎসায়।

নীল আকাশে, রঙিন ঘুড়ি। সাউথ আফ্রিকার কেপ টাউনের ইংয়সফিল্ড মিলিটারি বেস। আকাশে শত শত রঙিন ঘুড়ির এক ক্যানভাস।

আকাশে উড়ছে নীল তিমি, অক্টোপাস, সামুদ্রিক মাছসহ বিভিন্ন প্রাণীর আকৃতি। বাতাসের বেগে, সুতোয় বেধে লাগাম টানার চেষ্টা ঘুড়িপ্রেমীরা। বৃদ্ধ থেকে শিশু নান্দনিক এই আয়োজন দেখতে মাঠে জড়ো হন হাজারও ভক্ত।

প্রতিবছর দেশটিতে আন্তর্জাতিক এ ঘুড়ি উৎসবের আয়োজন করে কেপ মেন্টাল হেলথ। এবারের থিম- উড়তে সাহস। আয়োজকদের দাবি, মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের চ্যালেঞ্জ এবং সাহস যোগায় ঘুড়ি ওড়ানোর এ আনন্দ।

আয়োজকদের মধ্যে একজন বলেন, ‘যখন তুমি একটি ঘুড়ি বানাও এবং তুমি এটিকে লাগাম দিয়ে বেঁধে রাখো। তখন তুমি বুঝতে পারো এটিকে সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ঘুড়ি ওড়ানোর প্রতি একটা আবেগ থাকতে হবে। তোমার নিজস্ব শিল্পকর্মকে উড়তে দেখা, সত্যিই অবিশ্বাস্য। কখনও কখনও এটি দুর্দান্ত কারণ অনেক বাতাস থাকে এবং এটি বাতাসে স্থিতিশীল রাখার চেষ্টা করতে হয়। বাচ্চাদের সবাই এটি পছন্দ করে।’

অন্য একজন বলেন, ‘আপনি যখন ঘুড়ির দিকে তাকান, তখন আপনি আসলে ভাবতে পারেন, ঠিক আছে, অক্টোবর মাসে আমরা আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলি। বছরের থিম হলো উড়ার সাহস এবং আপনি জানেন, মানসিক স্বাস্থ্যের রোগ নির্ণয়ের সঙ্গে বেঁচে থাকার জন্য আপনার অনেক সাহসের প্রয়োজন। আমরা এক বিপর্যয়ের বছরে বাস করছি, একটি বিশ্বব্যাপী বিপর্যয় এবং এর ফলে আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব পড়ছে। সংঘাত এবং যুদ্ধের পরিমাণের সাথে হতাশার অনুভূতির সঙ্গে লড়াই করছি আমরা।’

অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে একজন বলেন, ‘ঘুড়ি ওড়ানো একটি আবেগ। এটি চাপকে দূরে যেতে সাহায্য করে। আমি মনে করি এটি মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য একটি ভাল কাজ।’

অন্য একজন বলেন, ‘ইউরোপ থেকে এসেছি। আকাশটা সুন্দর, আমার ঘুড়ির রঙগুলিকে ভালোভাবে দেখতে পাচ্ছি, বাতাস উপভোগ করছি, যদিও বাতাসের তীব্রতা বেশি।’

আয়োজন থেকে প্রাপ্ত অর্থ, কেউ টাউনের প্রায় ৭০ হাজার শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্কদের কাউন্সেলিং, মানসিক স্বাস্থ্য এবং পুনর্বাসন কর্মসূচিতে ব্যয় করা হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এই বিভাগের আরো খবর

৯৯ রান যোগ করেই শেষ রাজশাহী, রংপুরের বড় জয়জাতীয় ক্রিকেট লিগে তৃতীয় দিন শেষেই জয়ের সুবাস পাচ্ছিল রংপুর বিভাগ। জয়ের জন্য চতুর্থ দিন দরকার ছিল রাজশাহীর চার উইকেট। প্রথম সেশনে রাজশাহীর গোলাম কিবরিয়া কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও সেটি যথেষ্ট ছিল না। মঙ্গলবার রাজশাহীর জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২০১ রান। কিন্তু আগের দিন ৬২ রান করা রাজশাহী আজ আরও ৯৯ রান যোগ করেই থেমে গেছে। তাতে ১০১ রানের বড় জয় পেয়েছে রংপুর। দলটির জয়ের নায়ক আরিফুল হক। সেঞ্চুরির পাশাপাশি তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন তিনি। রাজশাহীর শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার জয়ের সুবাস নিয়েই খেলতে নেমেছিল রংপুর। লিগের চতুর্থ রাউন্ডে সোমবার ম্যাচের তৃতীয় দিন ২৬৩ রানের লক্ষ্য দেয় তারা। কিন্তু শেষ সেশনে ব্যাটিংয়ে নেমে রাজশাহী ৬২ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। চতুর্থ দিনে জয়ের জন্য রংপুরের প্রয়োজন ছিল আরও ৪ উইকেট। তার পর প্রতিপক্ষকে সহজেই ১৬১ রানে অলআউট করেছে। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন গোলাম কিবরিয়া। ৬৫ বলে খেলেছেন ৫৬ রানের ইনিংস। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসে সানজামুলের ব্যাট থেকে (২৩) রান। রংপুরের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন আরিফুল হক। তৃতীয় দিনে তার চমৎকার বোলিংয়ে মূলত ম্যাচে ফেরে রংপুর। ৩ ওভারে ১০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে রংপুরের জয়ের পথটা তিনিই তৈরি করেছেন। পরপর দুই বলে প্রিতম ও ওয়াসিকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগান তিনি। শেষ পর্যন্ত যদিও কীর্তিটি গড়তে পারেননি। এছাড়া রবিউল হক, আব্দুল গাফফার ও আবু হাসিম প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট নেন। শুরুতে টস হেরে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছিল রংপুর। প্রথম ইনিংসে আরিফুলের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে ভর করে ১৮৯ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় তারা। আরিফুল ছাড়া দলের সবাই ছিলেন ব্যর্থ। ১৬১ বলে ১০৩ রানে সতীর্থদের আসা যাওয়ার মিছিলের সাক্ষী হয়েছেন তিনি। রংপুরকে অল্পরানে গুটিয়ে দেওয়ার নায়ক ছিলেন সাব্বির হোসেন। তিনি একাই নেন ছয়টি উইকেট। এরপর রাজশাহী তাদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান ও রবিউল হকের বোলিংয়ে ১৮৯ রানে থামে দলটির ইনিংস। সাব্বির হোসেন ৪৭ ও ওয়াইসি সিদ্দিকি খেলেন ৩৯ রানের ইনিংস। জবাবে রংপুরের টপ অর্ডার ভালো শুরুর পরও ইনিংস বড় করতে পারেনি। অধিনায়ক আকবর আলী ৭৭ রানের ইনিংস খেলে দলকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করেছেন। তাছাড়া তানভীর হায়দার (৪০), মিম মোসাদ্দেক (৩৩), চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান (৩২) রানের ইনিংস খেলেছেন। তাদের অবদানে রংপুরের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৬২ রান।