বঙ্গোপসাগরে তৈরি ঘূর্ণিঝড় মন্থা ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে ধেয়ে আসছে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশার দিকে। রাতের মধ্যেই আঘাত হানতে পারে উপকূলে। এ সময় বাতাসের গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত। গেল ৬ ঘণ্টা ধরে ঘূর্ণিঝড়টি ঘণ্টায় ১২ কিলোমিটার বেগে এগিয়ে আসছে। থাইল্যান্ডের প্রস্তাবিত মন্থা অর্থ একটি সুগন্ধি ফুল।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দক্ষিণ ওড়িশার ৮টি জেলায় তীব্র বাতাসের সঙ্গে শুরু হয়েছে প্রবল বৃষ্টি। এসব অঞ্চলে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধ্বসের আশঙ্কায় নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে বহু বাসিন্দাদের। এরইমধ্যে মোতায়েন করা হয়েছে ৫ হাজারের বেশি উদ্ধার কর্মী। এছাড়া, অন্ধ্রপ্রদেশের ১৯টি জেলার জন্য জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা। এছাড়া, কেরালা, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ুতেও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় মন্থার প্রভাবে তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশের ৩৫টিরও বেশি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। সড়ক মহাসড়কে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে ভারী যানবাহন চলাচল। এছাড়া অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশা রাজ্যের শতাধিক ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। সমুদ্রে মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার উপকূলে থাকার নির্দেশনা দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
একজন জানান, সমুদ্রে যত মাছ ধরার ট্রলার ও নৌকা ছিল সবগুলোকে তীরে আসতে বলেছে স্থানীয় প্রশাসন। এমনকি এ পরিস্থিতিতে কোন ট্রলার যেন সমুদ্রে না যায় সে আহ্বানও করা হয়েছে।
আরেকজন জানান, মাছ ধরার সব নৌকা আপাতত নিরাপদে নোঙ্গর করে রাখা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মন্থার জন্য আগামী ৩০ তারিখ পর্যন্ত সমুদ্রে যেতে নিষেধ করেছে জেলা প্রশাসন।
ঘূর্ণিঝড় মন্থা অন্ধ্রপ্রদেশের উত্তর এবং ওড়িশা দক্ষিণাঞ্চল দিয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে। বুধবার সকালের দিকে ঘূর্ণিঝড়টি নিম্নচাপে পরিণত হবে। তবে এর প্রভাবে আগামী দুই দিন ভারী বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে।






















