• ঢাকা, বাংলাদেশ মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ০১:৫৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
রাজশাহী রুটে একটি পুরো ট্রেন ভাড়া করেছেন সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুন্না রাবির রেজিস্ট্রার ও রাকসুর জিএসের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় দুই প্রীতি ম্যাচ সামনে রেখে আজ দেশে আসছেন হামজা চৌধুরী মুন্সীগঞ্জে বিএনপির দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, গুলিতে একজন নিহত আজও দেশব্যাপী শিক্ষকদের ক্লাস বর্জন কর্মসূচি, বিপাকে শিক্ষার্থীরা শহিদ মিনারে প্রাথমিক শিক্ষকদের অবস্থান, দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি পদ্মার চরে অভিযান,অস্ত্রসহ কাঁকন বাহিনীর ২১ সদস্য আটক আগামী বছরে ঈদ ও পূজার ছুটি কয়দিন, জানালো সরকার ৩৪ টাকায় ধান, ৫০ টাকা কেজি দরে সেদ্ধ চাল কিনবে সরকার তিন দফা দাবিতে শহিদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি প্রাথমিকের শিক্ষকদের ঝালকাঠি-২ আসনে প্রার্থী নিয়ে জেলা বিএনপির ভেতরে দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে

ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’র তাণ্ডবে নিহত ১, আহত ২

Reporter Name / ৩৮ Time View
Update : বুধবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২৫

প্রিয়জন ডেস্কঃ ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় মন্থার তাণ্ডবে একজন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে আরো দুইজন। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের রাজ্যটি। দেশটির আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি এরইমধ্যে দুর্বল হয়ে ভারতের উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে। অন্ধ্রপ্রদেশে ৩৯টি জেলায় ভারী বৃষ্টি ও ঝড় বয়ে যায়। ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাব পড়েছে প্রতিবেশী ওড়িশা রাজ্যেও।

বঙ্গোপসাগরে তৈরি ঘূর্ণিঝড় মন্থা ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে ধেয়ে আসছে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশার দিকে। রাতের মধ্যেই আঘাত হানতে পারে উপকূলে। এ সময় বাতাসের গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত। গেল ৬ ঘণ্টা ধরে ঘূর্ণিঝড়টি ঘণ্টায় ১২ কিলোমিটার বেগে এগিয়ে আসছে। থাইল্যান্ডের প্রস্তাবিত মন্থা অর্থ একটি সুগন্ধি ফুল।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দক্ষিণ ওড়িশার ৮টি জেলায় তীব্র বাতাসের সঙ্গে শুরু হয়েছে প্রবল বৃষ্টি। এসব অঞ্চলে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধ্বসের আশঙ্কায় নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে বহু বাসিন্দাদের। এরইমধ্যে মোতায়েন করা হয়েছে ৫ হাজারের বেশি উদ্ধার কর্মী। এছাড়া, অন্ধ্রপ্রদেশের ১৯টি জেলার জন্য জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা। এছাড়া, কেরালা, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ুতেও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় মন্থার প্রভাবে তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশের ৩৫টিরও বেশি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। সড়ক মহাসড়কে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে ভারী যানবাহন চলাচল। এছাড়া অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশা রাজ্যের শতাধিক ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। সমুদ্রে মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার উপকূলে থাকার নির্দেশনা দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

একজন জানান, সমুদ্রে যত মাছ ধরার ট্রলার ও নৌকা ছিল সবগুলোকে তীরে আসতে বলেছে স্থানীয় প্রশাসন। এমনকি এ পরিস্থিতিতে কোন ট্রলার যেন সমুদ্রে না যায় সে আহ্বানও করা হয়েছে।

আরেকজন জানান, মাছ ধরার সব নৌকা আপাতত নিরাপদে নোঙ্গর করে রাখা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মন্থার জন্য আগামী ৩০ তারিখ পর্যন্ত সমুদ্রে যেতে নিষেধ করেছে জেলা প্রশাসন।

ঘূর্ণিঝড় মন্থা অন্ধ্রপ্রদেশের উত্তর এবং ওড়িশা দক্ষিণাঞ্চল দিয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে। বুধবার সকালের দিকে ঘূর্ণিঝড়টি নিম্নচাপে পরিণত হবে। তবে এর প্রভাবে আগামী দুই দিন ভারী বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে।


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এই বিভাগের আরো খবর

৯৯ রান যোগ করেই শেষ রাজশাহী, রংপুরের বড় জয়জাতীয় ক্রিকেট লিগে তৃতীয় দিন শেষেই জয়ের সুবাস পাচ্ছিল রংপুর বিভাগ। জয়ের জন্য চতুর্থ দিন দরকার ছিল রাজশাহীর চার উইকেট। প্রথম সেশনে রাজশাহীর গোলাম কিবরিয়া কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও সেটি যথেষ্ট ছিল না। মঙ্গলবার রাজশাহীর জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২০১ রান। কিন্তু আগের দিন ৬২ রান করা রাজশাহী আজ আরও ৯৯ রান যোগ করেই থেমে গেছে। তাতে ১০১ রানের বড় জয় পেয়েছে রংপুর। দলটির জয়ের নায়ক আরিফুল হক। সেঞ্চুরির পাশাপাশি তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন তিনি। রাজশাহীর শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার জয়ের সুবাস নিয়েই খেলতে নেমেছিল রংপুর। লিগের চতুর্থ রাউন্ডে সোমবার ম্যাচের তৃতীয় দিন ২৬৩ রানের লক্ষ্য দেয় তারা। কিন্তু শেষ সেশনে ব্যাটিংয়ে নেমে রাজশাহী ৬২ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। চতুর্থ দিনে জয়ের জন্য রংপুরের প্রয়োজন ছিল আরও ৪ উইকেট। তার পর প্রতিপক্ষকে সহজেই ১৬১ রানে অলআউট করেছে। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন গোলাম কিবরিয়া। ৬৫ বলে খেলেছেন ৫৬ রানের ইনিংস। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসে সানজামুলের ব্যাট থেকে (২৩) রান। রংপুরের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন আরিফুল হক। তৃতীয় দিনে তার চমৎকার বোলিংয়ে মূলত ম্যাচে ফেরে রংপুর। ৩ ওভারে ১০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে রংপুরের জয়ের পথটা তিনিই তৈরি করেছেন। পরপর দুই বলে প্রিতম ও ওয়াসিকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগান তিনি। শেষ পর্যন্ত যদিও কীর্তিটি গড়তে পারেননি। এছাড়া রবিউল হক, আব্দুল গাফফার ও আবু হাসিম প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট নেন। শুরুতে টস হেরে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছিল রংপুর। প্রথম ইনিংসে আরিফুলের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে ভর করে ১৮৯ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় তারা। আরিফুল ছাড়া দলের সবাই ছিলেন ব্যর্থ। ১৬১ বলে ১০৩ রানে সতীর্থদের আসা যাওয়ার মিছিলের সাক্ষী হয়েছেন তিনি। রংপুরকে অল্পরানে গুটিয়ে দেওয়ার নায়ক ছিলেন সাব্বির হোসেন। তিনি একাই নেন ছয়টি উইকেট। এরপর রাজশাহী তাদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান ও রবিউল হকের বোলিংয়ে ১৮৯ রানে থামে দলটির ইনিংস। সাব্বির হোসেন ৪৭ ও ওয়াইসি সিদ্দিকি খেলেন ৩৯ রানের ইনিংস। জবাবে রংপুরের টপ অর্ডার ভালো শুরুর পরও ইনিংস বড় করতে পারেনি। অধিনায়ক আকবর আলী ৭৭ রানের ইনিংস খেলে দলকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করেছেন। তাছাড়া তানভীর হায়দার (৪০), মিম মোসাদ্দেক (৩৩), চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান (৩২) রানের ইনিংস খেলেছেন। তাদের অবদানে রংপুরের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৬২ রান।