দ্বিতীয় মেয়াদে মসনদে বসার পর থেকেই, নোবেল পুরস্কার পেতে বেশ তৎপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সম্প্রতি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে নিজেকে বিশ্বশান্তির অগ্রদূত হিসেবে আখ্যা দেন ট্রাম্প। জানান, জাতিসংঘের সহায়তা ছাড়াই বিশ্বের সাতটি যুদ্ধ থামিয়েছেন তিনি।
এর আগেও, বিভিন্ন সময়ে দেয়া বক্তব্যে ট্রাম্প বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় তার নেয়া বিভিন্ন উদ্যোগের কথা বারবার উল্লেখ করেন। কিন্তু ট্রাম্প ও তার ঘনিষ্ঠরা যতই নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য তাকে এগিয়ে রাখুক না কেন, বিভিন্ন কারণে চলতি বছরে তার পুরস্কারটি পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
গাজায় চলমান ইসরাইলি গণহত্যায় নেতানিয়াহুকে সমর্থন, গেল আগস্টে যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলাস্কায় বৈঠক ও বিশ্বব্যাপী চলমান বাণিজ্য অস্থিরতার জন্য ট্রাম্পকে নোবেল পুরস্কারের জন্য পিছিয়ে রাখছেন অনেক বিশেষজ্ঞ।
নোবেল জয়ী ইতিহাসবিদ আসলে সুইন বলেন, ‘পুরস্কারের জন্য ট্রাম্পকে বিবেচনার কোনো প্রশ্নই আসে না। বর্তমানে সংঘটিত সবচেয়ে বড় গণহত্যার সমর্থক তিনি। অথচ মুখে মানুষ হত্যার নিন্দা করেন তিনি।’
ট্রাম্পকে নোবেল পুরস্কার দেয়া হলে নোবেল কমিটি ও নরওয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে বলে জানান অসলো পিচ রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক। গাজা যুদ্ধ ছাড়াও, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা থেকে ট্রাম্পের অর্থায়ন বাতিলের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন তিনি।
পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক নিনা গ্রেগার বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও প্যারিস জলবায়ু চুক্তির মতো গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্মগুলো থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নিয়েছেন ট্রাম্প। পাশাপাশি ক্ষমতার কয়েক মাসের মধ্যেই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাণিজ্য উত্তেজনা বাড়িয়েছেন তিনি।’
চলতি বছর শান্তি পুরস্কারের জন্য বিভিন্ন দেশে কাজ করা কয়েকটি আঞ্চলিক সংগঠনের অবদানের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন স্টকহোম পিস ইনস্টিটিউটের পরিচালক।
স্টকহোম পিস ইনস্টিটিউটের পরিচালক করিম হ্যাগাগ বলেন, ‘সুদানে ইমার্জেন্সি রুমস নামে একটি সংগঠন আছে। এছাড়া, দারফুরে একটি কমিটি আছে। এরা অঞ্চলভিত্তিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। স্থানীয় জনগোষ্ঠীর কাছে এদের দারুণ প্রভাব আছে।’






















