• ঢাকা, বাংলাদেশ সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:৪৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
রাজশাহী রুটে একটি পুরো ট্রেন ভাড়া করেছেন সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুন্না ঢাবি ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা নামল ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রিতে নির্বাচন নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে-ড. আসাদুজ্জামান রিপন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘিরে রাজশাহীতে জমজমাট মেস ব্যবসা, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা আরও পেছাল খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রা সোমবার থেকেই খুলছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আজ মধ্যরাতে অথবা কাল ভোরে খালেদা জিয়াকে লন্ডন নেয়া হবে আরও ৩৬ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করলো বিএনপি খালেদা জিয়াকে লন্ডন নিতে চায় বিএনপি; সরকারের অনুরোধে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাঠাবে কাতার রাজশাহীতে কাপড়ের দোকানে আগুন, ১৫-২০ লাখ টাকার ক্ষতি

এবার বিএনপির সমাবেশে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী অপু বিশ্বাস

Reporter Name / ৮৪ Time View
Update : শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

প্রিয়জন ডেস্কঃ কুষ্টিয়ার খোকসায় বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস।

গত সরকারের সংসদে নারী আসনে সংসদ সদস্য হতে তদবির করা এই অভিনেত্রী এবার বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে কেক কেটেছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের এমপি নির্বাচিত হতে দুই-দুবার মনোনয়ন তোলা আলোচিত এই অভিনেত্রীর বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানের কেক কাটার ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ায় এই নিয়ে অনেকেই বিরূপ মন্তব্য করছেন।

বৃহস্পতিবার খোকসা জানিপুর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ মেহেদী আহম্মেদ রুমীর অনুসারী উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রিপন হোসেনের আয়োজনে দলটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শোডাউন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হয়। উপজেলা ও পৌর বিএনপির ব্যানারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অপু বিশ্বাস এবং চিত্রনায়ক নিরব যোগ দেন। অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেওয়ার সময় অপু বিশ্বাস বিএনপির গুণকীর্তন করেন। মঞ্চে কেক কাটায় অংশ নেন। অল্প সময় বক্তব্য রেখে মঞ্চ ছাড়েন তিনি।

অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয় খোকসা জানিপুর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভিতরে ও ফুটবল মাঠে। পরীক্ষা ও ক্লাস চালু রেখেই বিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের ভিতরে প্যান্ডেল করে বিএনপির কর্মীদের ভূরিভোজের ব্যবস্থা করা হয়। বিএনপি কর্মীদের আপ্যায়নের জন্য আগের দিন বুধবার রাতে বিদ্যালয়ের ভিতরে দুইটি গরু জবাই করা হয়। প্রায় ৫০টি পাতিলে সাত মণ মাংস ও আট মণ চালের বিরিয়ানি রান্না হয়। বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত রান্না ও ভুঁড়িভোজ চলে। বিরিয়ানির সুবাসে সারা দিনই শিশু শিক্ষার্থীরা বারবার ছুটে গেছে রান্নার কাছে। এ নিয়ে চরম বিব্রত উপজেলা ও জেলার শীর্ষ নেতারা। এ আয়োজনের দায়ভার নিতে রাজি নন উপজেলা বিএনপির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক।

কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সদস্যসচিব প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার দাবি করেন রিপনের সঙ্গে বিএনপি বা অঙ্গসংগঠনের কোনো সম্পর্ক নেই। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে এ ব্যাপারে একটি বিবৃতি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করেন তিনি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

৯৯ রান যোগ করেই শেষ রাজশাহী, রংপুরের বড় জয়জাতীয় ক্রিকেট লিগে তৃতীয় দিন শেষেই জয়ের সুবাস পাচ্ছিল রংপুর বিভাগ। জয়ের জন্য চতুর্থ দিন দরকার ছিল রাজশাহীর চার উইকেট। প্রথম সেশনে রাজশাহীর গোলাম কিবরিয়া কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও সেটি যথেষ্ট ছিল না। মঙ্গলবার রাজশাহীর জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২০১ রান। কিন্তু আগের দিন ৬২ রান করা রাজশাহী আজ আরও ৯৯ রান যোগ করেই থেমে গেছে। তাতে ১০১ রানের বড় জয় পেয়েছে রংপুর। দলটির জয়ের নায়ক আরিফুল হক। সেঞ্চুরির পাশাপাশি তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন তিনি। রাজশাহীর শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার জয়ের সুবাস নিয়েই খেলতে নেমেছিল রংপুর। লিগের চতুর্থ রাউন্ডে সোমবার ম্যাচের তৃতীয় দিন ২৬৩ রানের লক্ষ্য দেয় তারা। কিন্তু শেষ সেশনে ব্যাটিংয়ে নেমে রাজশাহী ৬২ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। চতুর্থ দিনে জয়ের জন্য রংপুরের প্রয়োজন ছিল আরও ৪ উইকেট। তার পর প্রতিপক্ষকে সহজেই ১৬১ রানে অলআউট করেছে। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন গোলাম কিবরিয়া। ৬৫ বলে খেলেছেন ৫৬ রানের ইনিংস। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসে সানজামুলের ব্যাট থেকে (২৩) রান। রংপুরের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন আরিফুল হক। তৃতীয় দিনে তার চমৎকার বোলিংয়ে মূলত ম্যাচে ফেরে রংপুর। ৩ ওভারে ১০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে রংপুরের জয়ের পথটা তিনিই তৈরি করেছেন। পরপর দুই বলে প্রিতম ও ওয়াসিকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগান তিনি। শেষ পর্যন্ত যদিও কীর্তিটি গড়তে পারেননি। এছাড়া রবিউল হক, আব্দুল গাফফার ও আবু হাসিম প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট নেন। শুরুতে টস হেরে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছিল রংপুর। প্রথম ইনিংসে আরিফুলের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে ভর করে ১৮৯ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় তারা। আরিফুল ছাড়া দলের সবাই ছিলেন ব্যর্থ। ১৬১ বলে ১০৩ রানে সতীর্থদের আসা যাওয়ার মিছিলের সাক্ষী হয়েছেন তিনি। রংপুরকে অল্পরানে গুটিয়ে দেওয়ার নায়ক ছিলেন সাব্বির হোসেন। তিনি একাই নেন ছয়টি উইকেট। এরপর রাজশাহী তাদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান ও রবিউল হকের বোলিংয়ে ১৮৯ রানে থামে দলটির ইনিংস। সাব্বির হোসেন ৪৭ ও ওয়াইসি সিদ্দিকি খেলেন ৩৯ রানের ইনিংস। জবাবে রংপুরের টপ অর্ডার ভালো শুরুর পরও ইনিংস বড় করতে পারেনি। অধিনায়ক আকবর আলী ৭৭ রানের ইনিংস খেলে দলকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করেছেন। তাছাড়া তানভীর হায়দার (৪০), মিম মোসাদ্দেক (৩৩), চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান (৩২) রানের ইনিংস খেলেছেন। তাদের অবদানে রংপুরের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৬২ রান।