• ঢাকা, বাংলাদেশ সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:১৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
রাজশাহী রুটে একটি পুরো ট্রেন ভাড়া করেছেন সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুন্না ঢাবি ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা নামল ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রিতে নির্বাচন নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে-ড. আসাদুজ্জামান রিপন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘিরে রাজশাহীতে জমজমাট মেস ব্যবসা, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা আরও পেছাল খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রা সোমবার থেকেই খুলছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আজ মধ্যরাতে অথবা কাল ভোরে খালেদা জিয়াকে লন্ডন নেয়া হবে আরও ৩৬ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করলো বিএনপি খালেদা জিয়াকে লন্ডন নিতে চায় বিএনপি; সরকারের অনুরোধে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাঠাবে কাতার রাজশাহীতে কাপড়ের দোকানে আগুন, ১৫-২০ লাখ টাকার ক্ষতি

নিকটাত্মীয়ের রক্ত নিলে ঝুঁকি থাকে!

Reporter Name / ১৩১ Time View
Update : মঙ্গলবার, ১৬ মে, ২০২৩

রক্তের প্রয়োজন হলে অনেকে ভাইবোন বা নিকটাত্মীয় খোঁজেন। কিন্তু নিকটাত্মীয় অর্থাৎ মা–বাবা, সন্তান, ভাইবোনের রক্ত নিলে একধরনের গুরুতর প্রতিক্রিয়া হওয়ার ঝুঁকি থাকে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের পরিভাষায় একে বলে ‘ট্রান্সফিউশন অ্যাসোসিয়েটেড গ্রাফট ভার্সাস হোস্ট ডিজিজ’। যদিও এই রোগ খুব বিরল, কিন্তু এই রোগে আক্রান্ত হলে মৃত্যুর ঝুঁকি ৯০ শতাংশ।

কেন হয়?

এই রোগে সাধারণত রক্তদাতা ও রক্তগ্রহীতার রক্তকণিকার ম্যাচিং বিন্যাস (এইচএলএ) এমন হয় যে গ্রহীতার রক্তের প্রতিরক্ষা প্রদানকারী কোষের কাছে রক্তদাতার কোষগুলোকে নিজের বলে প্রতীয়মান হয়। কিন্তু দাতার রক্তের প্রতিরক্ষা প্রদানকারী কোষের কাছে গ্রহীতার কোষগুলো শত্রু প্রতিপন্ন হয়। দাতার এই কোষগুলো গ্রহীতার শরীরে প্রবেশের পর সংখ্যা বৃদ্ধি করে গ্রহীতার কোষগুলোকে ধ্বংস করে দেয়।

রোগের বৈশিষ্ট্য

নিকটাত্মীয়ের রক্ত গ্রহণের দুই দিন থেকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে গ্রহীতার এই রোগ হতে পারে, যার ফলে ফুসকুড়ি, জ্বর বা ডায়রিয়া হয়। শরীরের ভেতরেও কিছু পরিবর্তন হতে পারে, যেমন যকৃৎ বড় হয়ে যেতে পারে, কমে যেত পারে রক্তের কোষ (লোহিত রক্তকণিকা, শ্বেত রক্তকণিকা, অণুচক্রিকা)। এই রোগে পুরুষের মৃত্যুঝুঁকি বেশি। বয়স্ক কিংবা হৃৎপিণ্ডের অস্ত্রোপচার হয়েছে এমন ব্যক্তির ক্ষেত্রেও মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি। যাদের ক্ষেত্রে নিকটাত্মীয়ের রক্তের সম্পূর্ণ অংশ (হোল ব্লাড) গ্রহণ করা হয়, তাদেরও ঝুঁকি বেশি।

রক্ত নেওয়ার সময় খেয়াল রাখুন

ঝুঁকি এড়াতে নিকটাত্মীয়ের কাছ থেকে রক্ত গ্রহণে বিরত থাকতে হবে। তবে একান্তই যদি নিকটাত্মীয়ের রক্ত নিতে হয়, তাহলে রক্ত পরিসঞ্চালনের আগে বিশেষ প্রযুক্তির (ইরেডিয়েশন) মাধ্যমে সেই রক্তের প্রতিরক্ষা প্রদানকারী কোষগুলোকে ধ্বংস করে নিতে হবে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এমন ব্যবস্থা রয়েছে। এ ধরনের সুযোগ অপ্রতুল বলে যে কারও রক্তের প্রয়োজন হলে একই ব্লাড গ্রুপের অনাত্মীয় আর নিরাপদ রক্ত খোঁজাই সর্বোত্তম।

ডা. জেসমিন সুলতানা: জুনিয়র কনসালট্যান্ট, ডেলটা হাসপাতাল লিমিটেড, ঢাকা


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

৯৯ রান যোগ করেই শেষ রাজশাহী, রংপুরের বড় জয়জাতীয় ক্রিকেট লিগে তৃতীয় দিন শেষেই জয়ের সুবাস পাচ্ছিল রংপুর বিভাগ। জয়ের জন্য চতুর্থ দিন দরকার ছিল রাজশাহীর চার উইকেট। প্রথম সেশনে রাজশাহীর গোলাম কিবরিয়া কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও সেটি যথেষ্ট ছিল না। মঙ্গলবার রাজশাহীর জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২০১ রান। কিন্তু আগের দিন ৬২ রান করা রাজশাহী আজ আরও ৯৯ রান যোগ করেই থেমে গেছে। তাতে ১০১ রানের বড় জয় পেয়েছে রংপুর। দলটির জয়ের নায়ক আরিফুল হক। সেঞ্চুরির পাশাপাশি তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন তিনি। রাজশাহীর শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার জয়ের সুবাস নিয়েই খেলতে নেমেছিল রংপুর। লিগের চতুর্থ রাউন্ডে সোমবার ম্যাচের তৃতীয় দিন ২৬৩ রানের লক্ষ্য দেয় তারা। কিন্তু শেষ সেশনে ব্যাটিংয়ে নেমে রাজশাহী ৬২ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। চতুর্থ দিনে জয়ের জন্য রংপুরের প্রয়োজন ছিল আরও ৪ উইকেট। তার পর প্রতিপক্ষকে সহজেই ১৬১ রানে অলআউট করেছে। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন গোলাম কিবরিয়া। ৬৫ বলে খেলেছেন ৫৬ রানের ইনিংস। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসে সানজামুলের ব্যাট থেকে (২৩) রান। রংপুরের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন আরিফুল হক। তৃতীয় দিনে তার চমৎকার বোলিংয়ে মূলত ম্যাচে ফেরে রংপুর। ৩ ওভারে ১০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে রংপুরের জয়ের পথটা তিনিই তৈরি করেছেন। পরপর দুই বলে প্রিতম ও ওয়াসিকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগান তিনি। শেষ পর্যন্ত যদিও কীর্তিটি গড়তে পারেননি। এছাড়া রবিউল হক, আব্দুল গাফফার ও আবু হাসিম প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট নেন। শুরুতে টস হেরে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছিল রংপুর। প্রথম ইনিংসে আরিফুলের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে ভর করে ১৮৯ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় তারা। আরিফুল ছাড়া দলের সবাই ছিলেন ব্যর্থ। ১৬১ বলে ১০৩ রানে সতীর্থদের আসা যাওয়ার মিছিলের সাক্ষী হয়েছেন তিনি। রংপুরকে অল্পরানে গুটিয়ে দেওয়ার নায়ক ছিলেন সাব্বির হোসেন। তিনি একাই নেন ছয়টি উইকেট। এরপর রাজশাহী তাদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান ও রবিউল হকের বোলিংয়ে ১৮৯ রানে থামে দলটির ইনিংস। সাব্বির হোসেন ৪৭ ও ওয়াইসি সিদ্দিকি খেলেন ৩৯ রানের ইনিংস। জবাবে রংপুরের টপ অর্ডার ভালো শুরুর পরও ইনিংস বড় করতে পারেনি। অধিনায়ক আকবর আলী ৭৭ রানের ইনিংস খেলে দলকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করেছেন। তাছাড়া তানভীর হায়দার (৪০), মিম মোসাদ্দেক (৩৩), চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান (৩২) রানের ইনিংস খেলেছেন। তাদের অবদানে রংপুরের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৬২ রান।