প্রিয়জন ডেস্কঃ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতালে সংকটাপন্ন অবস্থায় চিকিৎসাধীন। তার শারীরিক অবস্থা অবনতি হওয়ায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার আলোচনা এখন রাজনৈতিক অঙ্গনের সবচেয়ে আলোচিত বিষয়।
দলীয় সূত্র বলছে, খুব শিগগিরই দেশে ফিরতে পারেন তারেক রহমান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। সোমবার রাতে গুলশানে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে তিনি জানান, তারেক রহমান দ্রুতই দেশে ফিরবেন, যদিও নির্দিষ্ট তারিখ এখনো জানানো হয়নি।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তারেক রহমানের দেশে ফেরায় কোনো বাধা নেই। একই মত দেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, তারেক রহমান দেশে ফিরলে নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকার সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে।
দলীয় নেতারা জানান, তারেক রহমানের জন্য গুলশান এভিনিউয়ের ১৯৬ নম্বর বাড়ি প্রস্তুত রাখা হয়েছে। কৌশলগত কারণে তার আগমনের তারিখ প্রকাশ করা হচ্ছে না।
এদিকে খালেদা জিয়ার অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে “অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি” ঘোষণা করা হয়েছে। তার নিরাপত্তায় স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) নিয়োগের প্রক্রিয়াও চলছে। হাসপাতালের নিরাপত্তা ইতোমধ্যে বাড়ানো হয়েছে, মূল ফটকে ব্যারিকেড বসানো হয়েছে।
৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া আর্থ্রাইটিস, কিডনি, লিভার, ডায়াবেটিসসহ একাধিক জটিল রোগে ভুগছেন। ২৩ নভেম্বর বুকে সংক্রমণ ধরা পড়ার পর তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধানে আছেন।
২০০৮ সালে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে যান তারেক রহমান। ওয়ান-ইলেভেনের পর থেকে সেখানেই অবস্থান করছেন এবং বিদেশ থেকেই বিএনপি পরিচালনা করছেন।
গত বছরের জুলাইয়ে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বিভিন্ন মামলায় তার দণ্ড বাতিল হওয়ায় দীর্ঘদিন পর দেশে ফেরার পথ সুগম হয়। ডিসেম্বরেই তিনি ফিরলে ১৭ বছর পর দেশের মাটিতে পা রাখবেন।