• ঢাকা, বাংলাদেশ রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:২৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম
রাজশাহী রুটে একটি পুরো ট্রেন ভাড়া করেছেন সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুন্না ঢাবি ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা নামল ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রিতে নির্বাচন নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে-ড. আসাদুজ্জামান রিপন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘিরে রাজশাহীতে জমজমাট মেস ব্যবসা, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা আরও পেছাল খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রা সোমবার থেকেই খুলছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আজ মধ্যরাতে অথবা কাল ভোরে খালেদা জিয়াকে লন্ডন নেয়া হবে আরও ৩৬ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করলো বিএনপি খালেদা জিয়াকে লন্ডন নিতে চায় বিএনপি; সরকারের অনুরোধে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাঠাবে কাতার রাজশাহীতে কাপড়ের দোকানে আগুন, ১৫-২০ লাখ টাকার ক্ষতি

বিএনপির দুপক্ষের পাল্টাপাল্টি সমাবেশের ডাক, ১৪৪ ধারা জারি

Reporter Name / ২৫ Time View
Update : শনিবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২৫

প্রিয়জন ডেস্কঃ ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় বিএনপির দুই পক্ষের সমাবেশকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন। গতকাল শুক্রবার রাত ১১টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রাসেল ইকবাল স্বাক্ষরিত ফৌজদারি কার্যবিধির আলোকে ১৪৪ ধারার আদেশ জারি করা হয়। আদেশটি ইউএনও আলফাডাঙ্গা নামে উপজেলা প্রশাসনের ফেসবুক আইডিতে প্রচার করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসেল ইকবাল জানান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও জনসাধারণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসন সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

বিএনপির দলীয় সূত্র জানায়, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়ন এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে আলফাডাঙ্গা উপজেলা ও পৌর বিএনপি আজ শনিবার (২৯ নভেম্বর) বিকেল ৩টায় পৌরসদরের আসাদুজ্জামান বালিকা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে একটি সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহ-সভাপতি এবং ফরিদপুর-১ (বোয়ালমারী, আলফাডাঙ্গা ও মধুখালী) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার নাসিরুল ইসলামের।

অন্যদিকে, একই সময়ে এবং অপর সমাবেশের পাশেই শনিবার বিকেল ৩টায় আরিফুজ্জামান উচ্চবিদ্যালয় মাঠে উপজেলা ও পৌর বিএনপির কমিটি বাতিলের দাবিতে এবং গত ৭ নভেম্বর বিপ্লবী সংহতি দিবসে বোয়ালমারীতে বিএনপির দুই পক্ষের সমাবেশকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনায় উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মিনহাজুর রহমানের ওপর হামলার প্রতিবাদে এক বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে আলফাডাঙ্গা উপজেলা ও পৌর বিএনপি। এ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী এবং বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি শামসুদ্দিন মিয়া ওরফে ঝুনুর।

একই সময়ে এবং প্রায় একই স্থানে বিএনপির পরস্পর-বিবাদমান দুই পক্ষের সমাবেশ ডাকা হওয়ায় কোনো ধরনের আইনশৃঙ্খলার অবনতি রোধে গতকাল শুক্রবার রাতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।

ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ ধারার আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে- আমি রাসেল ইকবাল, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, আলফাডাঙ্গা, ফরিদপুর- আমার উপর অর্পিত ক্ষমতাবলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ, জনসাধারণের জীবন ও সম্পদ রক্ষা এবং শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আলফাডাঙ্গা পৌরসভার স্কুল, মাঠ ও বাজার এলাকায় ২৯ নভেম্বর ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ, শনিবার সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮-এর ১৪৪ ধারার আদেশ জারি করলাম।

জারিকৃত আদেশে আরও বলা হয়েছে- উক্ত সময়ে নির্দিষ্ট এলাকায় সব ধরনের সভা-সমাবেশ, বিক্ষোভ-মিছিল, গণজমায়েত, বিস্ফোরক দ্রব্য, আগ্নেয়াস্ত্র ও সব ধরনের দেশীয় অস্ত্র বহনসহ পাঁচ বা ততোধিক ব্যক্তির একত্রে অবস্থান বা চলাফেরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

এ ব্যাপারে খন্দকার নাসিরুল ইসলাম সমর্থিত উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান খসরু জানান, এক সপ্তাহ আগে আমরা ৩১ দফা বাস্তবায়ন ও দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে সমাবেশের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। হঠাৎ দেখি ঝুনু সমর্থকেরা প্রতিবাদ সমাবেশের জন্য মাইকিং করছে। দুই পক্ষের সমাবেশের কারণেই প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছে। আমরা সমাবেশ করবো কি না- জেলা কমিটির সঙ্গে কথা বলে কিছুক্ষণ পর জানাতে পারবো।

শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনু সমর্থিত আলফাডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খোসবুর রহমান খোকন বলেন, উপজেলা ও পৌর বিএনপির কমিটি বাতিলের দাবিতে এবং ৭ নভেম্বর বোয়ালমারীতে সহিংসতায় যুবদল নেতা মিনহাজুর রহমানের ওপর হামলার প্রতিবাদে আমরা সমাবেশের আয়োজন করেছিলাম। তবে যেহেতু প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছে, তাই আপাতত আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আমরা শান্ত আছি।

উপজেলা বিএনপি সূত্র জানায়, গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহ-সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার নাসিরুল ইসলাম এবং বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনু জাতীয় ও স্থানীয় বিভিন্ন সভা-সমাবেশ করে আসছিলেন। দুই পক্ষের মধ্যে বিভিন্ন সময় সহিংসতাও ঘটেছে।

গত ২৩ অক্টোবর ১০ বছর পর ফরিদপুর-১ আসনের মধুখালী, বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা উপজেলা এবং পৌর বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করে জেলা বিএনপি। এসব কমিটিতে খন্দকার নাসিরুল ইসলাম সমর্থকেরা প্রাধান্য পাওয়ায় খন্দকার নাসির ও শামসুদ্দিন মিয়ার বিরোধ আরও বৃদ্ধি পায়।

কমিটি ঘোষণার পর থেকে বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গায় কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ ও মশাল মিছিল চালিয়ে আসছে শামসুদ্দিন মিয়ার অনুসারীরা। গত ৭ নভেম্বর বিপ্লবী ও সংহতি দিবসে বোয়ালমারীতে খন্দকার নাসির ও শামসুদ্দিন মিয়া গ্রুপ আলাদা সমাবেশ ডাকলে তা রক্তক্ষয়ী সহিংসতায় রূপ নেয়। এ ঘটনায় উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মিনহাজুর রহমান লিপনসহ দুই পক্ষের ১৫-২০ জন আহত হন। এ ঘটনার পর দুই পক্ষই একে অপরকে আসামি করে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের করে।


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এই বিভাগের আরো খবর

৯৯ রান যোগ করেই শেষ রাজশাহী, রংপুরের বড় জয়জাতীয় ক্রিকেট লিগে তৃতীয় দিন শেষেই জয়ের সুবাস পাচ্ছিল রংপুর বিভাগ। জয়ের জন্য চতুর্থ দিন দরকার ছিল রাজশাহীর চার উইকেট। প্রথম সেশনে রাজশাহীর গোলাম কিবরিয়া কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও সেটি যথেষ্ট ছিল না। মঙ্গলবার রাজশাহীর জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২০১ রান। কিন্তু আগের দিন ৬২ রান করা রাজশাহী আজ আরও ৯৯ রান যোগ করেই থেমে গেছে। তাতে ১০১ রানের বড় জয় পেয়েছে রংপুর। দলটির জয়ের নায়ক আরিফুল হক। সেঞ্চুরির পাশাপাশি তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন তিনি। রাজশাহীর শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার জয়ের সুবাস নিয়েই খেলতে নেমেছিল রংপুর। লিগের চতুর্থ রাউন্ডে সোমবার ম্যাচের তৃতীয় দিন ২৬৩ রানের লক্ষ্য দেয় তারা। কিন্তু শেষ সেশনে ব্যাটিংয়ে নেমে রাজশাহী ৬২ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। চতুর্থ দিনে জয়ের জন্য রংপুরের প্রয়োজন ছিল আরও ৪ উইকেট। তার পর প্রতিপক্ষকে সহজেই ১৬১ রানে অলআউট করেছে। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন গোলাম কিবরিয়া। ৬৫ বলে খেলেছেন ৫৬ রানের ইনিংস। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসে সানজামুলের ব্যাট থেকে (২৩) রান। রংপুরের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন আরিফুল হক। তৃতীয় দিনে তার চমৎকার বোলিংয়ে মূলত ম্যাচে ফেরে রংপুর। ৩ ওভারে ১০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে রংপুরের জয়ের পথটা তিনিই তৈরি করেছেন। পরপর দুই বলে প্রিতম ও ওয়াসিকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগান তিনি। শেষ পর্যন্ত যদিও কীর্তিটি গড়তে পারেননি। এছাড়া রবিউল হক, আব্দুল গাফফার ও আবু হাসিম প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট নেন। শুরুতে টস হেরে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছিল রংপুর। প্রথম ইনিংসে আরিফুলের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে ভর করে ১৮৯ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় তারা। আরিফুল ছাড়া দলের সবাই ছিলেন ব্যর্থ। ১৬১ বলে ১০৩ রানে সতীর্থদের আসা যাওয়ার মিছিলের সাক্ষী হয়েছেন তিনি। রংপুরকে অল্পরানে গুটিয়ে দেওয়ার নায়ক ছিলেন সাব্বির হোসেন। তিনি একাই নেন ছয়টি উইকেট। এরপর রাজশাহী তাদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান ও রবিউল হকের বোলিংয়ে ১৮৯ রানে থামে দলটির ইনিংস। সাব্বির হোসেন ৪৭ ও ওয়াইসি সিদ্দিকি খেলেন ৩৯ রানের ইনিংস। জবাবে রংপুরের টপ অর্ডার ভালো শুরুর পরও ইনিংস বড় করতে পারেনি। অধিনায়ক আকবর আলী ৭৭ রানের ইনিংস খেলে দলকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করেছেন। তাছাড়া তানভীর হায়দার (৪০), মিম মোসাদ্দেক (৩৩), চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান (৩২) রানের ইনিংস খেলেছেন। তাদের অবদানে রংপুরের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৬২ রান।