• ঢাকা, বাংলাদেশ রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:২৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম
রাজশাহী রুটে একটি পুরো ট্রেন ভাড়া করেছেন সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুন্না ঢাবি ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা নামল ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রিতে নির্বাচন নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে-ড. আসাদুজ্জামান রিপন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘিরে রাজশাহীতে জমজমাট মেস ব্যবসা, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা আরও পেছাল খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রা সোমবার থেকেই খুলছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আজ মধ্যরাতে অথবা কাল ভোরে খালেদা জিয়াকে লন্ডন নেয়া হবে আরও ৩৬ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করলো বিএনপি খালেদা জিয়াকে লন্ডন নিতে চায় বিএনপি; সরকারের অনুরোধে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাঠাবে কাতার রাজশাহীতে কাপড়ের দোকানে আগুন, ১৫-২০ লাখ টাকার ক্ষতি

ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে হতে যাচ্ছে আসন্ন সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল

Reporter Name / ২১ Time View
Update : শনিবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২৫

প্রিয়জন ডেস্কঃ ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে হতে যাচ্ছে আসন্ন সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল। ইসির পরবর্তী কমিশন সভাতেই চূড়ান্ত হতে যাচ্ছে ভোটের আনুষ্ঠানিক এ দিনক্ষণ। নির্বাচন বিশ্লেষকদের ধারণা- আবহাওয়া পরিস্থিতি ও ছুটির দিনের সঙ্গে মিলিয়ে ৮ কিংবা ১২ ফেব্রুয়ারিই হতে পারে নির্বাচনের ভোটগ্রহণের দিন।

২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ এবং ডিসেম্বরের শুরুতেই তফসিল। এমন পরিকল্পনা ধরে নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত হতে থাকলেও নতুনভাবে যুক্ত হওয়া গণভোটে ইসির সিলেবাস বেড়ে গেছে। তাই সকল প্রস্তুতির শেষভাগে এসে এখন আলোচনার বিষয়- কবে হবে তফসিল ঘোষণা?

 এতদিন ডিসেম্বরের শুরুর কথা বলা হলেও- এখন কমিশনের পরিকল্পনায় ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ। অর্থাৎ আগামী ৮ থেকে ১৪ ডিসেম্বরের যেকোনো দিন ঘোষণা করা হতে পারে সংসদ নির্বাচন এবং গণভোটের তফসিল।

আখতার আহমেদ বলেন, ‘কোনো কাজ তো আটকে নেই। ওখানে সিদ্ধান্তের পদ্ধতি হচ্ছে দুটি। কমিশন সভা করে আর ফাইলে মুভ করে। যথেষ্ট চেষ্টা করা হচ্ছে যেন, জিনিসগুলো নিয়ে দ্রুত কাজ করা যায়। সেজন্য অনেক ফাইলই আমরা ক্লিয়ার করে নিচ্ছি।’

এ যাবত অনুষ্ঠিত ১২টি সংসদ নির্বাচনের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, তফসিল ঘোষণার দিন থেকে ভোটের দিন পর্যন্ত সর্বোচ্চ দুই মাসের বেশি এবং সর্বনিম্ন এক মাসের মত ব্যবধান ছিল। যদিও রেওয়াজ অনুযায়ী, ৪৫ দিনের ব্যবধান রেখেই যেকোনো নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে ইসি। এবার আলোচনায় আছে- ভোটগ্রহণের আগ পর্যন্ত ৬০ দিন হাতে সময় রেখে তফসিল ঘোষণা করা হবে। সেক্ষেত্রে ভোটের সময়সীমা ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে।

আখতার আহমেদ বলেন, ‘নির্বাচনটা হতে হবে আগামী রোজার আগে, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে। সে অনুযায়ী মিনিমাম ৬০ দিন আগে আমরা তফসিল করবো। তাহলে আমাদের এটা ডিসেম্বরের প্রথমার্ধেই হতে হবে। নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হবে। আমাদের দিক থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতার চেষ্টার কোনো ত্রুটি থাকবে না।’

আলোচনায় আছে ৮ কিংবা ১২ ফেব্রুয়ারি হতে পারে ভোটের জন্য ভালো সময়। নির্বাচন বিশ্লেষকরাও বলছেন, ভোটের দিনক্ষণ নির্ধারণে রোববার বা বৃহস্পতিবারকে বেছে নেয়ার নজিরই বেশি।

তারা বলছেন, এবার যেহেতু সংসদ নির্বাচনের দিনই গণভোটও আয়োজন করতে হবে, তাই জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা তৈরি এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দিকে বিশেষভাবে নজরদারি রাখতে হবে নির্বাচন কমিশনকে।


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এই বিভাগের আরো খবর

৯৯ রান যোগ করেই শেষ রাজশাহী, রংপুরের বড় জয়জাতীয় ক্রিকেট লিগে তৃতীয় দিন শেষেই জয়ের সুবাস পাচ্ছিল রংপুর বিভাগ। জয়ের জন্য চতুর্থ দিন দরকার ছিল রাজশাহীর চার উইকেট। প্রথম সেশনে রাজশাহীর গোলাম কিবরিয়া কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও সেটি যথেষ্ট ছিল না। মঙ্গলবার রাজশাহীর জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২০১ রান। কিন্তু আগের দিন ৬২ রান করা রাজশাহী আজ আরও ৯৯ রান যোগ করেই থেমে গেছে। তাতে ১০১ রানের বড় জয় পেয়েছে রংপুর। দলটির জয়ের নায়ক আরিফুল হক। সেঞ্চুরির পাশাপাশি তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন তিনি। রাজশাহীর শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার জয়ের সুবাস নিয়েই খেলতে নেমেছিল রংপুর। লিগের চতুর্থ রাউন্ডে সোমবার ম্যাচের তৃতীয় দিন ২৬৩ রানের লক্ষ্য দেয় তারা। কিন্তু শেষ সেশনে ব্যাটিংয়ে নেমে রাজশাহী ৬২ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। চতুর্থ দিনে জয়ের জন্য রংপুরের প্রয়োজন ছিল আরও ৪ উইকেট। তার পর প্রতিপক্ষকে সহজেই ১৬১ রানে অলআউট করেছে। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন গোলাম কিবরিয়া। ৬৫ বলে খেলেছেন ৫৬ রানের ইনিংস। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসে সানজামুলের ব্যাট থেকে (২৩) রান। রংপুরের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন আরিফুল হক। তৃতীয় দিনে তার চমৎকার বোলিংয়ে মূলত ম্যাচে ফেরে রংপুর। ৩ ওভারে ১০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে রংপুরের জয়ের পথটা তিনিই তৈরি করেছেন। পরপর দুই বলে প্রিতম ও ওয়াসিকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগান তিনি। শেষ পর্যন্ত যদিও কীর্তিটি গড়তে পারেননি। এছাড়া রবিউল হক, আব্দুল গাফফার ও আবু হাসিম প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট নেন। শুরুতে টস হেরে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছিল রংপুর। প্রথম ইনিংসে আরিফুলের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে ভর করে ১৮৯ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় তারা। আরিফুল ছাড়া দলের সবাই ছিলেন ব্যর্থ। ১৬১ বলে ১০৩ রানে সতীর্থদের আসা যাওয়ার মিছিলের সাক্ষী হয়েছেন তিনি। রংপুরকে অল্পরানে গুটিয়ে দেওয়ার নায়ক ছিলেন সাব্বির হোসেন। তিনি একাই নেন ছয়টি উইকেট। এরপর রাজশাহী তাদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান ও রবিউল হকের বোলিংয়ে ১৮৯ রানে থামে দলটির ইনিংস। সাব্বির হোসেন ৪৭ ও ওয়াইসি সিদ্দিকি খেলেন ৩৯ রানের ইনিংস। জবাবে রংপুরের টপ অর্ডার ভালো শুরুর পরও ইনিংস বড় করতে পারেনি। অধিনায়ক আকবর আলী ৭৭ রানের ইনিংস খেলে দলকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করেছেন। তাছাড়া তানভীর হায়দার (৪০), মিম মোসাদ্দেক (৩৩), চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান (৩২) রানের ইনিংস খেলেছেন। তাদের অবদানে রংপুরের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৬২ রান।