• ঢাকা, বাংলাদেশ সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:১৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম
রাজশাহী রুটে একটি পুরো ট্রেন ভাড়া করেছেন সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুন্না রাইজিং স্টারস এশিয়া কাপ সুপার ওভারে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ, রেকর্ড তৃতীয়বার চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান ইনফেকশনে আক্রান্ত খালেদা জিয়ার হার্ট ও ফুসফুস-অধ্যাপক এফ এম সিদ্দিকী টেস্টে ২১৭ রানে জিতলো বাংলাদেশ শাপলা কলির ডিজাইন পাইনি, নির্বাচনী প্রচারণার কাজে নামতে পারছি না-নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ভূমিকম্প: সিলেট-চট্টগ্রাম-নরসিংদীতে ৪৮ ঘণ্টা গ্যাস কূপে ড্রিলিং স্থগিত ভূমিকম্প: ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঢাবি বন্ধ ঘোষণা, রোববার বিকেলের মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ ভূমিকম্প আতঙ্ক: রাতভর হলের বাইরে ঢাবি ও পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের অবস্থান আবারও ভূমিকম্পের আঘাত, উৎপত্তিস্থল গাজীপুরে ৬ দিনে ৪ হার ভারতের, বাংলাদেশের কাছেই দু’বার ভূমিকম্পে রাজধানীতে ১৪টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত

শাপলা কলির ডিজাইন পাইনি, নির্বাচনী প্রচারণার কাজে নামতে পারছি না-নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

Reporter Name / ১৩ Time View
Update : রবিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৫

প্রিয়জন ডেস্কঃ জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, নির্বাচন কমিশন থেকে শাপলা কলির ডিজাইন পায়নি। আমরা নির্বাচনী প্রচারণার কাজে নামতে পারছি না। এই ধরনের পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে আমরা যাচ্ছি।

আজ রোববার (২৩ নভেম্বর) সকালে শহীদ আবু সাঈদ কনভেনশন হলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, আমাদের দল গঠনের পরে রেজিস্ট্রেশনের জন্য সব পেপার সাবমিট করার পরে আমাদের প্রত্যেকটা দলীয় অফিসে হয়রানি করা হয়েছে। বিভিন্ন সংস্থার যারা ব্যক্তিবর্গ রয়েছেন, তারা সেখানে যারা ভাড়া দিয়েছিল, তাদের ডিস্টার্ব করেছিল। মাঠ পর্যায়ে তাদের হুমকি থেকে শুরু করে পারিবারিক হেনস্তা পর্যন্ত করেছিল। প্রতীকের ক্ষেত্রে আমাদের তারা জুতার তলা ক্ষয় করেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বৃহত্তর স্বার্থে দেশের পরিস্থিতি বিবেচনায় আমরা শাপলাকলি মার্কা নিয়েছিলাম। কিন্তু এখন পর্যন্ত ইলেকশন কমিশন থেকে আমরা আমাদের শাপলা কলির যে ডিজাইনটা এটা এখনো পাইনি। আমরা নির্বাচনী প্রচারণার কাজে নামতে পারছি না। এই ধরনের পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে আমরা যাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, জুলাই সনদ এবং সংস্কার প্রক্রিয়া ঐকমত্য কমিশন থেকে আদেশ বাস্তবায়ন পর্যন্ত আমাদের একটা জার্নি ছিল। আমরা বলেছিলাম, সংস্কার বিচার তারপরে হলো নির্বাচন। সংস্কারের কার্যক্রম একটা প্রক্রিয়ায় গিয়েছে। এখন আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর ওপরে এটা বাস্তবায়ন কীভাবে আমরা করব? তাদের কমিটমেন্ট ইস্যু এবং বিচারের জায়গায় শেখ হাসিনার রায় হয়েছে। আমরা গতকালকে মিছিল করেছিলাম যে তার রায়টা যেটা হয়েছে এটা বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় সরকারকে যাওয়ার জন্য। আমরা এই দুইটা প্রক্রিয়ার শেষ করে, ইলেকশন প্রসেসে যাচ্ছি। আমরা যে কমিটমেন্টটা দিয়েছিলাম সেই কমিটমেন্টটা আমরা রেখেছি। আগামীতে ইনশাআল্লাহ সংসদে গিয়ে জনগণকে যে কমিটমেন্টগুলো সেগুলো ইনশাআল্লাহ বাস্তবায়ন করার প্রচেষ্টা চালাবো।

২৪ গণঅভ্যুত্থানের চেতনা বিক্রি করা হচ্ছে? এমন প্রশ্ন তুলে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল সেখানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিল সাম্য, মানবিক মর্যাদা এবং ন্যায়বিচার। এই তিনটি চেতনা থেকে মুক্তিযুদ্ধকে শুধু আওয়ামী লীগ নিজের পকেটস্থ করেছিল। ফলে চেতনা অর্থ খারাপ না, স্পিরিট জিনিসটা খারাপ না, যদি সাম্য, মানবিক, মর্যাদা এবং ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে একটি দেশ আমরা গড়তে পারতাম, তাহলে আজকে ২০২৪ এ এসে আমাদের ২০০০ শহীদ হতো না। তেমনিভাবে যারা কুলি, মজুর শ্রমিক আমাদের শিক্ষার্থী ভাইয়েরা রাজপথে এসে রক্ত দিয়ে ছিলেন। তারা একটা স্পিরিটের জন্য রক্ত দিয়েছিলেন। তাদের স্পিরিটটা ছিল বাংলাদেশে একটা নিউ সেটেলমেন্ট হবে। বাংলাদেশে একটা সোশ্যাল কন্টাক্ট হবে। বাংলাদেশের পলিটিক্যাল কালচার যেটা রয়েছে সেটার পরিবর্তন হবে। এই অভ্যুত্থানের স্পিরিট ছিল আর কোনো ব্যক্তি বা পরিবার করতে পারবে না। এই অভ্যুত্থানের স্পিরিট ছিল আমরা নারীদের জন্য একটি সুন্দর সমাজ তৈরি করব। এই অভ্যুত্থানের স্পিরিট ছিল আমাদের যারা মিডিয়া সেক্টরে ভাইয়েরা কাজ করছেন তাদের জন্য আমরা সুন্দর এনভায়রনমেন্ট সৃষ্টি করে দেব।

বিচার বিভাগ স্বাধীন নয় জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা বিচার বিভাগ স্বাধীন করতে চাই। এটা গণঅভ্যুত্থানের চেতনা। যেই চেতনাগুলার কথা বলি আমরা সেগুলো যদি সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশে বাস্তবায়ন করতে পারি, তাহলেই ভবিষ্যৎ যে বাংলাদেশের স্বপ্নটা আমি আপনি দেখি সেটা আমাদের গঠন করা সম্ভব।

এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক বলেন, নির্বাচন কমিশনে যারা আওয়ামী লীগ ছিল, তাদের তারা রিমুভ করে নাই। প্রশাসনে যারা আওয়ামী লীগ ছিল তাদের এখনো রেখে দিয়েছে। প্রস্তাবনা উঠেছিল দলীয় বিবেচনায় বিভিন্ন জায়গায় প্রশাসনিক নিয়োগ না দিয়ে স্বচ্ছ একটা প্রক্রিয়ার মধ্যমে দেওয়া। আমাদের প্রশাসনের যিনি এখন হেড এই কার্যক্রমটা ইউনূস স্যার হাতে নিয়েছেন।

আমাদের যে রাজনৈতিক কালচার রয়েছে, সেই দলগুলোকে বিভিন্নভাবে আগে যেভাবে ডিজিএফআই থেকে শুরু করে বিভিন্ন সংস্থা ব্যবহার করে হুমকি-ধামকি দিয়ে বিভিন্ন অ্যালায়েন্সে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। সেভাবেই এখন এই প্রক্রিয়াগুলো চলমান রয়েছে।

এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক বলেন, আমরা একটা রেভলেশনারি ফোর্স হিসেবে কাজ করেছিলাম। আমরা এখন ডেমোক্রেটিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যাচ্ছি। কিন্তু এই ডেমোক্রেটিক প্রক্রিয়ায় আমরা যখন তরুণদের নিয়ে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, আজকে আমরা যেখানে উপস্থিত হয়েছি আমাদের ১০টা বোর্ড রয়েছে। প্রত্যেকটা বোর্ডে ১০ জন করে মেম্বার রয়েছেন। আমাদের এই পর্যন্ত ১ হাজার ৪৮৪ আবেদন ফর্ম দিতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের প্রতি আসনে গড়ে পাঁচজন করে প্রার্থী রয়েছেন। আমরা অনলাইন এবং অফলাইন দুটি প্রক্রিয়ায় ফর্ম ছেড়েছিলাম। আমাদের অফলাইনে ৭৬১ জন ফর্ম নিয়েছে। আমাদের অনলাইনে ৭২৩ জন ফর্ম নিয়েছিলেন। সুতরাং আমরা আজকে তাদের ভাইভা শুরু করেছি। আমাদের যারা বিভাগীয় সম্পাদক আপনারা জানেন তাদের নিয়ে আমরা বসেছি। এখানে ১০টা সাংগঠনিক বিভাগ আমরা করেছি।


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এই বিভাগের আরো খবর

৯৯ রান যোগ করেই শেষ রাজশাহী, রংপুরের বড় জয়জাতীয় ক্রিকেট লিগে তৃতীয় দিন শেষেই জয়ের সুবাস পাচ্ছিল রংপুর বিভাগ। জয়ের জন্য চতুর্থ দিন দরকার ছিল রাজশাহীর চার উইকেট। প্রথম সেশনে রাজশাহীর গোলাম কিবরিয়া কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও সেটি যথেষ্ট ছিল না। মঙ্গলবার রাজশাহীর জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২০১ রান। কিন্তু আগের দিন ৬২ রান করা রাজশাহী আজ আরও ৯৯ রান যোগ করেই থেমে গেছে। তাতে ১০১ রানের বড় জয় পেয়েছে রংপুর। দলটির জয়ের নায়ক আরিফুল হক। সেঞ্চুরির পাশাপাশি তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন তিনি। রাজশাহীর শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার জয়ের সুবাস নিয়েই খেলতে নেমেছিল রংপুর। লিগের চতুর্থ রাউন্ডে সোমবার ম্যাচের তৃতীয় দিন ২৬৩ রানের লক্ষ্য দেয় তারা। কিন্তু শেষ সেশনে ব্যাটিংয়ে নেমে রাজশাহী ৬২ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। চতুর্থ দিনে জয়ের জন্য রংপুরের প্রয়োজন ছিল আরও ৪ উইকেট। তার পর প্রতিপক্ষকে সহজেই ১৬১ রানে অলআউট করেছে। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন গোলাম কিবরিয়া। ৬৫ বলে খেলেছেন ৫৬ রানের ইনিংস। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসে সানজামুলের ব্যাট থেকে (২৩) রান। রংপুরের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন আরিফুল হক। তৃতীয় দিনে তার চমৎকার বোলিংয়ে মূলত ম্যাচে ফেরে রংপুর। ৩ ওভারে ১০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে রংপুরের জয়ের পথটা তিনিই তৈরি করেছেন। পরপর দুই বলে প্রিতম ও ওয়াসিকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগান তিনি। শেষ পর্যন্ত যদিও কীর্তিটি গড়তে পারেননি। এছাড়া রবিউল হক, আব্দুল গাফফার ও আবু হাসিম প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট নেন। শুরুতে টস হেরে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছিল রংপুর। প্রথম ইনিংসে আরিফুলের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে ভর করে ১৮৯ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় তারা। আরিফুল ছাড়া দলের সবাই ছিলেন ব্যর্থ। ১৬১ বলে ১০৩ রানে সতীর্থদের আসা যাওয়ার মিছিলের সাক্ষী হয়েছেন তিনি। রংপুরকে অল্পরানে গুটিয়ে দেওয়ার নায়ক ছিলেন সাব্বির হোসেন। তিনি একাই নেন ছয়টি উইকেট। এরপর রাজশাহী তাদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান ও রবিউল হকের বোলিংয়ে ১৮৯ রানে থামে দলটির ইনিংস। সাব্বির হোসেন ৪৭ ও ওয়াইসি সিদ্দিকি খেলেন ৩৯ রানের ইনিংস। জবাবে রংপুরের টপ অর্ডার ভালো শুরুর পরও ইনিংস বড় করতে পারেনি। অধিনায়ক আকবর আলী ৭৭ রানের ইনিংস খেলে দলকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করেছেন। তাছাড়া তানভীর হায়দার (৪০), মিম মোসাদ্দেক (৩৩), চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান (৩২) রানের ইনিংস খেলেছেন। তাদের অবদানে রংপুরের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৬২ রান।