• ঢাকা, বাংলাদেশ মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ০২:১৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
রাজশাহী রুটে একটি পুরো ট্রেন ভাড়া করেছেন সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুন্না রাবির রেজিস্ট্রার ও রাকসুর জিএসের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় দুই প্রীতি ম্যাচ সামনে রেখে আজ দেশে আসছেন হামজা চৌধুরী মুন্সীগঞ্জে বিএনপির দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, গুলিতে একজন নিহত আজও দেশব্যাপী শিক্ষকদের ক্লাস বর্জন কর্মসূচি, বিপাকে শিক্ষার্থীরা শহিদ মিনারে প্রাথমিক শিক্ষকদের অবস্থান, দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি পদ্মার চরে অভিযান,অস্ত্রসহ কাঁকন বাহিনীর ২১ সদস্য আটক আগামী বছরে ঈদ ও পূজার ছুটি কয়দিন, জানালো সরকার ৩৪ টাকায় ধান, ৫০ টাকা কেজি দরে সেদ্ধ চাল কিনবে সরকার তিন দফা দাবিতে শহিদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি প্রাথমিকের শিক্ষকদের ঝালকাঠি-২ আসনে প্রার্থী নিয়ে জেলা বিএনপির ভেতরে দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে

দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে ভারতীয় নারীদের প্রথম বিশ্বকাপ জয়

Reporter Name / ১৮ Time View
Update : সোমবার, ৩ নভেম্বর, ২০২৫

প্রিয়জন ডেস্কঃ নারী বিশ্বকাপে শিরোপা জয়ের নতুন গল্প লিখলো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৫২ রানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো শিরোপা জিতলো হারমানপ্রীত-স্মৃতি মানদানারা। অন্যদিকে, সম্ভাবনা জাগিয়েও ইতিহাস না লিখতে পারার ব্যর্থ গল্প নিয়ে ভারত ছাড়তে হচ্ছে প্রোটিয়া মেয়েদের। ঘরের মাঠে প্রায় ৫০ হাজার দর্শকের সামনে বিশ্বজয় ভারতের নারীদের। গতকাল (রোববার, ২ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত হয় দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারতের ম্যাচটি।

জয়ের মুহূর্তটা ছিলো একেবারে অন্যরকম। শেষ উইকেটের পতন হতেই খুশিতে আত্মহারা গোটা স্টেডিয়াম। গ্যালারি থেকে শুরু করে সবুজ গালিচায় ছুটতে থাকা ক্রিকেটার সবাই মাতেন বিশ্বজয়ের আনন্দে।

কেউ হাসছেন, কারও চোখে আনন্দ অশ্রু। ততক্ষণে নাভি মুম্বাইয়ে বিশ্বজয়ের উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে গেছে গোটা ভারতে। ভারতীয় মেয়েরাও দিলেন শিরোপার স্বাদ। লিখলেন নতুন সূর্যের গল্প।

নারী বিশ্বকাপে ইতিহাসের দ্বারপ্রান্তে ছিলো দুই ফাইনালিস্ট ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা। ফাইনালে যে দলই জিতুক বিশ্ব পাবে এক নতুন চ্যাম্পিয়ন। কারণ নিউজিল্যান্ড বাদে নারী বিশ্বকাপ শিরোপা জেতার দাপট তো শুধুই অস্ট্রেলিয়া আর ইংল্যান্ডের।

ভারতের মাটিতে ইতিহাস গড়তে হলে দক্ষিণ আফ্রিকাকে পাড়ি দিতে হবে লম্বা পথ। কারণ প্রথম ইনিংসে স্বাগতিকরা প্রোটিয়াদের ছুঁড়ে দিয়েছে পাহাড় সমান লক্ষ্য। ২৯৯ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে অবশ্য শুরুটা ভালোই করে দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ওপেনার।

তবে দলীয় ৫১ রানে ওপেনার তাজমিন ব্রিটস রান আউট হলে পাল্টে যায় চিত্র। এরপরের তিন ব্যাটার যোগ দেন আসা-যাওয়ার মিছিলে। একপাশ আগলে অধিনায়ক লরা উলভার্ডট ব্যাট করলেও বাকিরা দিতে পারেননি সঙ্গ। ৯৮ বলে ১০১ রানের মহা-গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেললেও শেষ পর্যন্ত তা জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিলো না। ২৪৬ রানে সবকটি উইকেট হারালে ৫২ রানে জয় পায় ভারত।

এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার আমন্ত্রণে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত করে ভারত। দুই ওপেনার স্মৃতি মান্দানা ও শাফালি ভার্মার ব্যাটিং নৈপুণ্যে কোনো উইকেট না হারিয়েই শত রান পূরণ করে স্বাগতিকরা। তবে বোলারদের উপর চড়াও হতে থাকা মান্দানাকে ফেরান প্রোটিয়া স্পিনার ট্রায়োন। ফেরার আগে এই ওপেনার নিজের নামের পাশে যুক্ত করেন ৫৮ বলে ৪৫ রান। আরেক ওপেনার শাফালি খেলনে ৮৭ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস।

ভারতকে ফাইনালে তোলার অন্যতম কারিগর জেমিমাহ রদ্রিগেজ। তবে শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে নিজের ইনিংসটা বড় করতে পারেননি এইদিন। ২৪ রান করে তাকে ফিরতে হয় সাজঘরে। নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি অধিনায়ক হারমানপ্রীত কর। ২০ রান করে আউট হতে হয় তাকেও।

এরপর অবশ্য দলের হাল ধরেন দিপ্তি শার্মা। শেষ দিকে তার ৫৮ ও আমানজত করের ৩৪ রানে ভর করে ভারত পায় ২৯৮ রানের বড় পুঁজি। প্রোটিয়াদের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেন আয়াবোঙ্গা খাকা।


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এই বিভাগের আরো খবর

৯৯ রান যোগ করেই শেষ রাজশাহী, রংপুরের বড় জয়জাতীয় ক্রিকেট লিগে তৃতীয় দিন শেষেই জয়ের সুবাস পাচ্ছিল রংপুর বিভাগ। জয়ের জন্য চতুর্থ দিন দরকার ছিল রাজশাহীর চার উইকেট। প্রথম সেশনে রাজশাহীর গোলাম কিবরিয়া কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও সেটি যথেষ্ট ছিল না। মঙ্গলবার রাজশাহীর জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২০১ রান। কিন্তু আগের দিন ৬২ রান করা রাজশাহী আজ আরও ৯৯ রান যোগ করেই থেমে গেছে। তাতে ১০১ রানের বড় জয় পেয়েছে রংপুর। দলটির জয়ের নায়ক আরিফুল হক। সেঞ্চুরির পাশাপাশি তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন তিনি। রাজশাহীর শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার জয়ের সুবাস নিয়েই খেলতে নেমেছিল রংপুর। লিগের চতুর্থ রাউন্ডে সোমবার ম্যাচের তৃতীয় দিন ২৬৩ রানের লক্ষ্য দেয় তারা। কিন্তু শেষ সেশনে ব্যাটিংয়ে নেমে রাজশাহী ৬২ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। চতুর্থ দিনে জয়ের জন্য রংপুরের প্রয়োজন ছিল আরও ৪ উইকেট। তার পর প্রতিপক্ষকে সহজেই ১৬১ রানে অলআউট করেছে। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন গোলাম কিবরিয়া। ৬৫ বলে খেলেছেন ৫৬ রানের ইনিংস। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসে সানজামুলের ব্যাট থেকে (২৩) রান। রংপুরের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন আরিফুল হক। তৃতীয় দিনে তার চমৎকার বোলিংয়ে মূলত ম্যাচে ফেরে রংপুর। ৩ ওভারে ১০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে রংপুরের জয়ের পথটা তিনিই তৈরি করেছেন। পরপর দুই বলে প্রিতম ও ওয়াসিকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগান তিনি। শেষ পর্যন্ত যদিও কীর্তিটি গড়তে পারেননি। এছাড়া রবিউল হক, আব্দুল গাফফার ও আবু হাসিম প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট নেন। শুরুতে টস হেরে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছিল রংপুর। প্রথম ইনিংসে আরিফুলের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে ভর করে ১৮৯ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় তারা। আরিফুল ছাড়া দলের সবাই ছিলেন ব্যর্থ। ১৬১ বলে ১০৩ রানে সতীর্থদের আসা যাওয়ার মিছিলের সাক্ষী হয়েছেন তিনি। রংপুরকে অল্পরানে গুটিয়ে দেওয়ার নায়ক ছিলেন সাব্বির হোসেন। তিনি একাই নেন ছয়টি উইকেট। এরপর রাজশাহী তাদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান ও রবিউল হকের বোলিংয়ে ১৮৯ রানে থামে দলটির ইনিংস। সাব্বির হোসেন ৪৭ ও ওয়াইসি সিদ্দিকি খেলেন ৩৯ রানের ইনিংস। জবাবে রংপুরের টপ অর্ডার ভালো শুরুর পরও ইনিংস বড় করতে পারেনি। অধিনায়ক আকবর আলী ৭৭ রানের ইনিংস খেলে দলকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করেছেন। তাছাড়া তানভীর হায়দার (৪০), মিম মোসাদ্দেক (৩৩), চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান (৩২) রানের ইনিংস খেলেছেন। তাদের অবদানে রংপুরের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৬২ রান।