• ঢাকা, বাংলাদেশ মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ০১:৩৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
রাজশাহী রুটে একটি পুরো ট্রেন ভাড়া করেছেন সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুন্না রাবির রেজিস্ট্রার ও রাকসুর জিএসের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় দুই প্রীতি ম্যাচ সামনে রেখে আজ দেশে আসছেন হামজা চৌধুরী মুন্সীগঞ্জে বিএনপির দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, গুলিতে একজন নিহত আজও দেশব্যাপী শিক্ষকদের ক্লাস বর্জন কর্মসূচি, বিপাকে শিক্ষার্থীরা শহিদ মিনারে প্রাথমিক শিক্ষকদের অবস্থান, দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি পদ্মার চরে অভিযান,অস্ত্রসহ কাঁকন বাহিনীর ২১ সদস্য আটক আগামী বছরে ঈদ ও পূজার ছুটি কয়দিন, জানালো সরকার ৩৪ টাকায় ধান, ৫০ টাকা কেজি দরে সেদ্ধ চাল কিনবে সরকার তিন দফা দাবিতে শহিদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি প্রাথমিকের শিক্ষকদের ঝালকাঠি-২ আসনে প্রার্থী নিয়ে জেলা বিএনপির ভেতরে দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে

পাকিস্তানের বাজারে টমেটোর কেজি ৬০০ রুপি

Reporter Name / ৩৮ Time View
Update : শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫

প্রিয়জন ডেস্কঃ সংঘাতের জেরে আফগান সীমান্ত বন্ধ থাকায় পাকিস্তানের বাজারে কেজিপ্রতি টমেটোর দাম পৌঁছেছে ৬০০ রুপিতে। বিপাকে বিক্রেতা ও ক্রেতারা। সরবরাহ বাড়াতে আফগানিস্তানের বিকল্প হিসেবে ইরান থেকে টমেটো আমদানি শুরু করেছে ইসলামাবাদ। বিক্রেতাদের প্রত্যাশা, এতে সহনীয় পর্যায়ে আসবে পণ্যটির দাম। এদিকে, ২৫ অক্টোবর যুদ্ধবিরতির বিষয়ে ইস্তাম্বুলে আরেকদফা আলোচনার বসবে ইসলামাবাদ ও কাবুল।

কাতার ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় পাকিস্তান ও আফগানিস্তান দুই পক্ষ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হলেও, সাম্প্রতিক উত্তেজনার জেরে বন্ধ রয়েছে দুই দেশের মধ্যকার প্রধান সীমান্ত ক্রসিংগুলো দিয়ে যান চলাচল। যার রেশ পাকিস্তানের নিত্যপণ্যের বাজারে। সীমান্ত বন্ধ থাকায় দেশটিতে টমেটোর দাম বেড়েছে ৪০০ শতাংশ। পাকিস্তানের খুচরা বাজারগুলোতে কেজিপ্রতি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৬০০ রুপিতে।

সাধারণত পাকিস্তানে উৎপাদন কম হলে উত্তর পশ্চিমের টরখাম ও দক্ষিণ পশ্চিমের চমন সীমান্ত দিয়ে টমেটো ও আপেল রপ্তানি করে আফগানিস্তান। তবে গত ১১ অক্টোবর থেকে বন্ধ সীমান্ত বাণিজ্য।

পাকিস্তানের গণমাধ্যম ডন জানায়, দুই দেশের মধ্যে বার্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় দুই বিলিয়নের বেশি। যার বেশিরভাগই খাদ্যসামগ্রী। তবে সাম্প্রতিক বাণিজ্য বন্ধের জেরে প্রতিদিন অন্তত ১০ লাখ ডলার ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে উভয় পক্ষ। সীমান্তের উভয় পাশে আটকা পড়েছে ৫ হাজার কন্টেইনার পণ্য।

ব্যবসায়ীদের একজন বলেন, ‘বাজারের দিকে তাকান। কোনো পণ্য মজুত নেই। বর্ডারে বেশিরভাগ পণ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক ট্রাক আটকা পড়ে আছে।’

এ অবস্থায় ইরান থেকে টমেটো আমদানি শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা, এতে দাম কিছুটা কমতে শুরু করেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন- স্থানীয় উৎপাদিত টমেটো বাজারে আসলে দাম আরও কমবে।

ব্যবসায়ীদের আরেকজন বলেন, ‘বৃষ্টিপাতের কারণে সিন্ধুতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতির প্রভাবে টমেটোর বাজার ঊর্ধ্বমুখী। আশা করছি খুব দ্রুত সিন্ধুর টমেটো বাজারে আসবে। আগামী ১০-১৫ দিনের মধ্যে দাম কমার সম্ভাবনা আছে।’

পাল্টাপাল্টি হামলার অভিযোগে চলতি মাসে গত কয়েক বছরের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষে জড়ায় ইসলামাবাদ ও কাবুল। দুই দেশের মধ্যকার ২ হাজার ৬০০ কিলোমিটার সীমান্তের বিভিন্ন স্থানে টানা কয়েকদিনের সংঘাতে প্রাণ হারায় উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন। এরপর কাতারের দোহায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় দুই দেশ।

ডন জানায়, আগামী ২৫ অক্টোবর ইস্তাম্বুলে আরেক দফা আলোচনায় বসবে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

৯৯ রান যোগ করেই শেষ রাজশাহী, রংপুরের বড় জয়জাতীয় ক্রিকেট লিগে তৃতীয় দিন শেষেই জয়ের সুবাস পাচ্ছিল রংপুর বিভাগ। জয়ের জন্য চতুর্থ দিন দরকার ছিল রাজশাহীর চার উইকেট। প্রথম সেশনে রাজশাহীর গোলাম কিবরিয়া কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও সেটি যথেষ্ট ছিল না। মঙ্গলবার রাজশাহীর জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২০১ রান। কিন্তু আগের দিন ৬২ রান করা রাজশাহী আজ আরও ৯৯ রান যোগ করেই থেমে গেছে। তাতে ১০১ রানের বড় জয় পেয়েছে রংপুর। দলটির জয়ের নায়ক আরিফুল হক। সেঞ্চুরির পাশাপাশি তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন তিনি। রাজশাহীর শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার জয়ের সুবাস নিয়েই খেলতে নেমেছিল রংপুর। লিগের চতুর্থ রাউন্ডে সোমবার ম্যাচের তৃতীয় দিন ২৬৩ রানের লক্ষ্য দেয় তারা। কিন্তু শেষ সেশনে ব্যাটিংয়ে নেমে রাজশাহী ৬২ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। চতুর্থ দিনে জয়ের জন্য রংপুরের প্রয়োজন ছিল আরও ৪ উইকেট। তার পর প্রতিপক্ষকে সহজেই ১৬১ রানে অলআউট করেছে। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন গোলাম কিবরিয়া। ৬৫ বলে খেলেছেন ৫৬ রানের ইনিংস। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসে সানজামুলের ব্যাট থেকে (২৩) রান। রংপুরের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন আরিফুল হক। তৃতীয় দিনে তার চমৎকার বোলিংয়ে মূলত ম্যাচে ফেরে রংপুর। ৩ ওভারে ১০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে রংপুরের জয়ের পথটা তিনিই তৈরি করেছেন। পরপর দুই বলে প্রিতম ও ওয়াসিকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগান তিনি। শেষ পর্যন্ত যদিও কীর্তিটি গড়তে পারেননি। এছাড়া রবিউল হক, আব্দুল গাফফার ও আবু হাসিম প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট নেন। শুরুতে টস হেরে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছিল রংপুর। প্রথম ইনিংসে আরিফুলের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে ভর করে ১৮৯ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় তারা। আরিফুল ছাড়া দলের সবাই ছিলেন ব্যর্থ। ১৬১ বলে ১০৩ রানে সতীর্থদের আসা যাওয়ার মিছিলের সাক্ষী হয়েছেন তিনি। রংপুরকে অল্পরানে গুটিয়ে দেওয়ার নায়ক ছিলেন সাব্বির হোসেন। তিনি একাই নেন ছয়টি উইকেট। এরপর রাজশাহী তাদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান ও রবিউল হকের বোলিংয়ে ১৮৯ রানে থামে দলটির ইনিংস। সাব্বির হোসেন ৪৭ ও ওয়াইসি সিদ্দিকি খেলেন ৩৯ রানের ইনিংস। জবাবে রংপুরের টপ অর্ডার ভালো শুরুর পরও ইনিংস বড় করতে পারেনি। অধিনায়ক আকবর আলী ৭৭ রানের ইনিংস খেলে দলকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করেছেন। তাছাড়া তানভীর হায়দার (৪০), মিম মোসাদ্দেক (৩৩), চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান (৩২) রানের ইনিংস খেলেছেন। তাদের অবদানে রংপুরের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৬২ রান।